স্থূলতা কতটা মারাত্মক
শেষ পর্ব
প্রফেসর ডা. এইচ. এন. সরকার
২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতিবছর বিশ্বে ২৮ লাখেরও বেশি মানুষ স্থূলতা বা শরীরে অতিরিক্ত ওজন হওয়ার জন্য মৃত্যুবরণ করে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ অনেক ক্রনিক রোগ যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, যকৃতের রোগ, নানা ধরনের ক্যানসারের কারণ। স্থূলতার ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে লিখেছেন প্রফেসর ডা. এইচ. এন. সরকার। ধারাবাহিক এ প্রতিবেদনটির শেষ পর্বে স্থূলতার প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
(প্রথম পর্বের পর)
অতীতে মানুষের ধারণা ছিল, মোটা হলেই স্বাস্থ্যবান। জ্ঞান বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তন হয়েছে। স্থূলতা একটি শারীরিক ব্যাধি। মোটা-তাজা সুঠামদেহ মানেই স্থূলত্ব নয়। স্থূলত্ব মানে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা। বিশ্বের সব দেশেই স্থূলতা একটি সমস্যা। ১৯৫টি দেশে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতার এপিডেমিওলজিক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরে ৭৩টি দেশে স্থূলতার প্রাদুর্ভাব ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালের হিসাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক স্থূল প্রাপ্তবয়স্ক এবং চীন ও ভারতে স্থূল শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১৮ সালে ৪২ শতাংশ আমেরিকানরা স্থূল ছিল। স্থূলত্ব নিয়ে বিশেষ আয়োজনের প্রথম পর্ব প্রকাশ হয়েছে গত শনিবার।
আজ প্রকাশ হলো শেষ পর্ব।
স্থূলতার ব্যবস্থাপনা
অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশিরভাগ কমানো সম্ভব যদি তা শুরুতেই চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হয়। ওজন হ্রাস করার পরিকল্পনা চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ছয় মাসে ব্যক্তির বর্তমান ওজনের ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ ওজন হ্রাস করার সুপারিশ করেছে। এগুলো নিুলিখিত উপায়ে সম্পন্ন করা যায়-
* জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে, যেমন- খাদ্য, ব্যায়াম, পরিবেশের পরিবর্তন
* স্থূলত্বের ওষুধ
* সার্জারি
খাদ্যনিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামই হলো স্থূলতার মূল চিকিৎসা। খাদ্যনিয়ন্ত্রণ স্বল্পমেয়াদে ওজন হ্রাস করতে পারে; তবে এই ওজন হ্রাস ধরে রাখতে হলে ব্যায়াম ও স্বল্প ক্যালরিসম্পন্ন খাদ্য জীবনযাত্রার স্থায়ী অংশ হতে হবে।
জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলো-
খাদ্য : ওজন হ্রাস করে এমন খাদ্যগুলোকে সাধারণত চারটি বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়-
* কম চর্বিযুক্ত খাদ্য : সাধারণ খাদ্যে ৩০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১৩ শতাংশ চর্বি থাকে।
* কম শর্করাযুক্ত খাদ্য : ৬০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১০ শতাংশ শর্করা থাকে।
* কম ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য : দৈনিক মোট শক্তি চাহিদার চেয়ে ৬০০ কিলোক্যালরি কম থাকে। খুব কম ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য দৈনিক মহিলাদের জন্য ৪০০ কিলোক্যালরি এবং পুরুষদের জন্য ৫০০ কিলোক্যালরি শক্তি খাদ্য সরবরাহ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট নির্বিশেষে ২-৪ কেজি ওজন হ্রাসের জন্য মূল তিনটি খাদ্য (কম ক্যালরি, কম কার্বোহাইড্রেট এবং কম ফ্যাটযুক্ত খাদ্য) এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বেশি প্রোটিনযুক্ত খাদ্যের কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। বেশি চিনিযুক্ত খাদ্য, যেমন- কোমল পানীয় ওজন বাড়ায়।
* স্বল্প ক্যালরিযুক্ত খাদ্য : একটি সুষম খাদ্য যা মহিলাদের জন্য ১২০০ থেকে ১৪০০ কিলোক্যালরি এবং পুরুষদের জন্য ১৫০০ থেকে ১৮০০ কিলোক্যালরি পরিমাণের মধ্যে সীমিত রাখে। যা দৈনিক মোট শক্তি গ্রহণের তুলনায় ৬০০ কিলোক্যালরি কম, এই খাদ্য সপ্তাহে ০.৫ কেজি ওজন হ্রাস করে।
* খুব কম ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য : এটি দৈনিক ৪০০-৫০০ কিলোক্যালরি সরবরাহ করে। প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বজায় রাখে তবে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট উভয় থেকে ক্যালরি সীমিত করে এবং এটি প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১.৫-২.৫ কেজি ওজন হ্রাস করে। এই খাদ্যগুলো সাধারণের ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না। কারণ এগুলো ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন- মাংসপেশির ওজন হ্রাস, গাউটের ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।
খাদ্য দিয়ে স্থূলত্বের চিকিৎসা
* দীর্ঘমেয়াদি ওজন হ্রাস প্রোগ্রামগুলোর সফলতা খাদ্যসামগ্রীর ওপর নির্ভরের চেয়ে কত ক্যালরি গ্রহণ করলেন এবং ব্যায়াম ও প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে কত ক্যালরি খরচ করলেন তার ওপর বেশি নির্ভর করে।
* উপবাসের ফলে দ্রুত ওজন হ্রাস পেতে পারে, তবে চর্বির সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পাতলা মাংসপেশি হারাতে পারেন।
* ওজন হ্রাস করতে এবং এটি বজায় রাখতে, খাদ্যের চিন্তা না করে একটি স্বতন্ত্র খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করুন। পছন্দসই একটি পরিকল্পনা স্থায়ী ওজন হ্রাস উৎপাদন একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।
* একজন ডায়েটিশিয়ান বিশেষ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে একটি স্বতন্ত্র খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।
* একটি সুষম খাদ্য যা মহিলাদের জন্য ১২০০ থেকে ১৪০০ কিলোক্যালরি এবং পুরুষদের জন্য ১৫০০ থেকে ১৮০০ কিলোক্যালরির মধ্যে সীমিত রেখে ভালো কাজ করতে পারে।
* খাদ্যপরিকল্পনায় বিভিন্ন ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সাদা ভাত এবং সাদা রুটির চেয়ে পুরো দানা যেমন ব্রাউন রাইস এবং গোটা গমের রুটি বেছে নিন। পুরো শস্য জাতীয় খাবার পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং আঁশ (ফাইবার) বেশি থাকে, তাই দেহ এগুলি ধীরে ধীরে শোষণ করে। এর অর্থ তারা ইনসুলিন নিঃসরণে দ্রুত উচ্চমাত্রা সৃষ্টি করতে পারে না, যা ক্ষুধা এবং বাসনার উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে।
* বিভিন্ন ফলমূল এবং শাকসবজির কমপক্ষে পাঁচটি পরিবেশনা গ্রহণ করুন। বিভিন্ন ফল এবং শাকসবজিতে বিভিন্ন পরিমাণে এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি থাকে।
* সব চর্বিই খারাপ হয় না। হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোআনস্যাচুরেটেড চর্বিগুলো উপকারী। তাই বাদাম, বীজ এবং কিছু ধরনের তেল যেমন জলপাই, কুসুম এবং ক্যানোলা স্বাস্থ্যকর খাবার পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।
* বাইরে বেরোনোর সময় একটি টিফিন বাক্সে খাবার নিয়ে নেবেন এবং রেঁস্তোরার খাবার এড়িয়ে চলুন।
* যদি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করেন তবে পণ্যটির পরিবেশন সংখ্যা এবং পরিবেশনার আকার নির্ধারণ করতে খাদ্য লেবেলগুলো সাবধানে পড়ুন। যদি লেবেলটি বলে যে, একটি পরিবেশনায় ২০০ কিলোক্যালরি এবং প্রতি ধারকে তিনটি পরিবেশন রয়েছে, আপনি যদি ধারকটির পুরো খাবার খান তবে আপনি ৬০০ কিলোক্যালরি গ্রহণ করেছেন।
ব্যায়াম
ওজন হ্রাসে ব্যায়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু ব্যায়ামে সীমিত ওজন হ্রাস হতে পারে তবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে একত্রে শুধু খাদ্য নিয়ন্ত্রণের চেয়ে ১ কেজি বেশি ওজন হ্রাস করতে পারে।
* ব্যায়াম ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে। কারণ মাংসপেশি কাজের সময় শক্তি উৎপাদনে গ্লাইকোজেন এবং ফ্যাটকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে।
* ব্যায়াম উপকারী, কারণ এটি চর্বি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি রক্ষা করতে এবং বাড়াতে সহায়তা করে এবং কারণ মাংসপেশির বিপাকীয় হার উচ্চ এবং দ্রুত ক্যালরি নিঃশেষ করে।
* পায়ের পেশিগুলো বিশাল আকারের কারণে হাঁটাচলা, দৌড়ানো এবং সাইকেল চালানো শরীরের মেদ কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী ব্যায়াম। দ্রুত হাঁটার মতো মাঝারি ব্যায়ামের সময় জ্বালানি হিসাবে চর্বির বৃহত্তর ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটে।
* স্থূল লোকদের জন্য হাঁটাচলা একটি চমৎকার ব্যায়াম।
* আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন সর্বনিু ৩০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছে।
* চর্বি হ্রাস ছাড়া ব্যায়ামের অতিরিক্ত উপকার রয়েছে; ব্যায়াম রক্তচাপ এবং খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি ক্ষুধা কমাতে, ঘুম এবং মানসিক সুস্থতাকে উন্নত করতেও সহায়তা করে।
পরিবেশগত পরিবর্তন
আধুনিকীকরণের কারণে আমরা আরও বেশি করে অলস জীবনযাত্রা উপভোগ করছি, যেমন- গাড়ি করে অফিসে যাওয়া, ডেস্কে কাজ করা, টেলিভিশন দেখে বা কম্পিউটারে বসে প্রচুর সময় ব্যয় করা এবং ব্যস্ততার কারণে কেউ কেউ নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় পান না। সক্রিয় হওয়ার জন্য, প্রত্যেকেই কিছু চেষ্টা করতে পারেন; মনে রাখবেন, প্রতিটি সামান্য ব্যায়ামও সাহায্য করতে পারে।
প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপ বাড়ানোর জন্য কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ-
* অফিস যদি হাঁটার দূরত্ব এবং নিরাপদ অঞ্চলের মধ্যে হয়, তবে হেঁটে যান।
* যদি অঞ্চলটি হাঁটার জন্য নিরাপদ হয় তবে এক ষ্টেশন আগে নেমে পড়ুন।
* পার্কিংয়ের দূরপ্রান্তে গাড়ি পার্ক করুন এবং হেঁটে অফিসে যান।
* লিফট বা এসকেলেটারের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
* বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ির কাজ করুন।
* টেলিভিশন বা ভিডিও গেম বন্ধ করুন এবং বাগান বা বাড়ি পরিষ্কার করুন, নিজের গাড়ি ধুয়ে ফেলুন বা একটু হাঁটুন।
* আপনার পুরো পরিবার মিলে টেনিস বল খেলুন বা বাগানে কাজ করুন।
ওষুধ
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়াম দ্বারা ওজন হ্রাসে ব্যর্থ হয়েছেন এবং যারা স্থূলতা থেকে জটিলতার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সাধারণত তাদের জন্যই ওষুধ। বেশ কয়েকটি স্থূলতাবিরোধী ওষুধ রয়েছে, যার বেশিরভাগই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্লিস্ট্যাট নামক ওষুধটি বহু বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। স্থূলতাবিরোধী ওষুধ ব্যবহারের আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সার্জারি
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ব্যায়াম ও ওষুধে নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাধিগ্রস্ত স্থূলতার জন্য শৈল্য চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারী চিকিৎসা। ‘বেরিয়েট্রিক’ সার্জারি হলো একমাত্র মৃত্যুর হার হ্রাসকারী চিকিৎসা।
বেরিয়েট্রিক শল্য চিকিৎসা নিুবর্ণিত অবস্থার জন্য সংরক্ষিত থাকে-
* ৪০ কেজি/মিটার২ এর চেয়ে বেশি বিএমআইযুক্ত লোকদের জন্য
* ৩৫ কেজি/মিটার২ এর চেয়ে বেশি বিএমআইযুক্ত লোকদের যাদের উল্লেখযোগ্য জটিলতা, যেমন টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা বাধাজনিত ঘুমের শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগ রয়েছে।
* দুটি সর্বাধিক প্রচলিত শৈল্য পদ্ধতি হলো-
১. পাকস্থলীর আয়তন হ্রাস করা (যেমন অ্যাডজাস্টাবল গ্যাস্ট্রিক ব্যান্ডিং এবং উল্লম্ব ব্যান্ডযুক্ত গ্যাস্ট্রোপ্লাস্টি) যা আগেভাগে তৃপ্তিবোধ সৃষ্টি করে।
২. খাবারের সংস্পর্শে আসা অন্ত্রের দৈর্ঘ্য হ্রাস করে (যেমন গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি বা এন্ডোস্কোপিক ডুডোনাল-জেজুনাল বাইপাস সার্জারি) যা সরাসরি শোষণকে হ্রাস করে।
অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলত্বের চিকিৎসা কঠিন এবং প্রায়ই অসফল হয়। ওজন হ্রাসের পর তা বজায় রাখা আরও কঠিন। স্থূলতা প্রতিরোধে সবাইকে সজাগ হতে হবে এবং সময়মতো প্রাথমিক প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
লেখক : বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং ভারতের মাদ্রাজ শ্রী বালাজী মেডিকেল ইউনিভর্সিটির (চেন্নাই) ভিজিটিং প্রফেসর
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শেষ পর্ব
স্থূলতা কতটা মারাত্মক
প্রতিবছর বিশ্বে ২৮ লাখেরও বেশি মানুষ স্থূলতা বা শরীরে অতিরিক্ত ওজন হওয়ার জন্য মৃত্যুবরণ করে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ অনেক ক্রনিক রোগ যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, যকৃতের রোগ, নানা ধরনের ক্যানসারের কারণ। স্থূলতার ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে লিখেছেন প্রফেসর ডা. এইচ. এন. সরকার। ধারাবাহিক এ প্রতিবেদনটির শেষ পর্বে স্থূলতার প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
(প্রথম পর্বের পর)
অতীতে মানুষের ধারণা ছিল, মোটা হলেই স্বাস্থ্যবান। জ্ঞান বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তন হয়েছে। স্থূলতা একটি শারীরিক ব্যাধি। মোটা-তাজা সুঠামদেহ মানেই স্থূলত্ব নয়। স্থূলত্ব মানে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা। বিশ্বের সব দেশেই স্থূলতা একটি সমস্যা। ১৯৫টি দেশে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতার এপিডেমিওলজিক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরে ৭৩টি দেশে স্থূলতার প্রাদুর্ভাব ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালের হিসাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক স্থূল প্রাপ্তবয়স্ক এবং চীন ও ভারতে স্থূল শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০১৮ সালে ৪২ শতাংশ আমেরিকানরা স্থূল ছিল। স্থূলত্ব নিয়ে বিশেষ আয়োজনের প্রথম পর্ব প্রকাশ হয়েছে গত শনিবার।
আজ প্রকাশ হলো শেষ পর্ব।
স্থূলতার ব্যবস্থাপনা
অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশিরভাগ কমানো সম্ভব যদি তা শুরুতেই চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হয়। ওজন হ্রাস করার পরিকল্পনা চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ছয় মাসে ব্যক্তির বর্তমান ওজনের ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ ওজন হ্রাস করার সুপারিশ করেছে। এগুলো নিুলিখিত উপায়ে সম্পন্ন করা যায়-
* জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে, যেমন- খাদ্য, ব্যায়াম, পরিবেশের পরিবর্তন
* স্থূলত্বের ওষুধ
* সার্জারি
খাদ্যনিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামই হলো স্থূলতার মূল চিকিৎসা। খাদ্যনিয়ন্ত্রণ স্বল্পমেয়াদে ওজন হ্রাস করতে পারে; তবে এই ওজন হ্রাস ধরে রাখতে হলে ব্যায়াম ও স্বল্প ক্যালরিসম্পন্ন খাদ্য জীবনযাত্রার স্থায়ী অংশ হতে হবে।
জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলো-
খাদ্য : ওজন হ্রাস করে এমন খাদ্যগুলোকে সাধারণত চারটি বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়-
* কম চর্বিযুক্ত খাদ্য : সাধারণ খাদ্যে ৩০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১৩ শতাংশ চর্বি থাকে।
* কম শর্করাযুক্ত খাদ্য : ৬০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১০ শতাংশ শর্করা থাকে।
* কম ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য : দৈনিক মোট শক্তি চাহিদার চেয়ে ৬০০ কিলোক্যালরি কম থাকে। খুব কম ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য দৈনিক মহিলাদের জন্য ৪০০ কিলোক্যালরি এবং পুরুষদের জন্য ৫০০ কিলোক্যালরি শক্তি খাদ্য সরবরাহ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট নির্বিশেষে ২-৪ কেজি ওজন হ্রাসের জন্য মূল তিনটি খাদ্য (কম ক্যালরি, কম কার্বোহাইড্রেট এবং কম ফ্যাটযুক্ত খাদ্য) এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বেশি প্রোটিনযুক্ত খাদ্যের কোনো পার্থক্য দেখা যায় না। বেশি চিনিযুক্ত খাদ্য, যেমন- কোমল পানীয় ওজন বাড়ায়।
* স্বল্প ক্যালরিযুক্ত খাদ্য : একটি সুষম খাদ্য যা মহিলাদের জন্য ১২০০ থেকে ১৪০০ কিলোক্যালরি এবং পুরুষদের জন্য ১৫০০ থেকে ১৮০০ কিলোক্যালরি পরিমাণের মধ্যে সীমিত রাখে। যা দৈনিক মোট শক্তি গ্রহণের তুলনায় ৬০০ কিলোক্যালরি কম, এই খাদ্য সপ্তাহে ০.৫ কেজি ওজন হ্রাস করে।
* খুব কম ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য : এটি দৈনিক ৪০০-৫০০ কিলোক্যালরি সরবরাহ করে। প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ বজায় রাখে তবে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট উভয় থেকে ক্যালরি সীমিত করে এবং এটি প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১.৫-২.৫ কেজি ওজন হ্রাস করে। এই খাদ্যগুলো সাধারণের ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না। কারণ এগুলো ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন- মাংসপেশির ওজন হ্রাস, গাউটের ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।
খাদ্য দিয়ে স্থূলত্বের চিকিৎসা
* দীর্ঘমেয়াদি ওজন হ্রাস প্রোগ্রামগুলোর সফলতা খাদ্যসামগ্রীর ওপর নির্ভরের চেয়ে কত ক্যালরি গ্রহণ করলেন এবং ব্যায়াম ও প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে কত ক্যালরি খরচ করলেন তার ওপর বেশি নির্ভর করে।
* উপবাসের ফলে দ্রুত ওজন হ্রাস পেতে পারে, তবে চর্বির সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পাতলা মাংসপেশি হারাতে পারেন।
* ওজন হ্রাস করতে এবং এটি বজায় রাখতে, খাদ্যের চিন্তা না করে একটি স্বতন্ত্র খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করুন। পছন্দসই একটি পরিকল্পনা স্থায়ী ওজন হ্রাস উৎপাদন একটি ভালো সুযোগ হতে পারে।
* একজন ডায়েটিশিয়ান বিশেষ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে একটি স্বতন্ত্র খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।
* একটি সুষম খাদ্য যা মহিলাদের জন্য ১২০০ থেকে ১৪০০ কিলোক্যালরি এবং পুরুষদের জন্য ১৫০০ থেকে ১৮০০ কিলোক্যালরির মধ্যে সীমিত রেখে ভালো কাজ করতে পারে।
* খাদ্যপরিকল্পনায় বিভিন্ন ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সাদা ভাত এবং সাদা রুটির চেয়ে পুরো দানা যেমন ব্রাউন রাইস এবং গোটা গমের রুটি বেছে নিন। পুরো শস্য জাতীয় খাবার পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং আঁশ (ফাইবার) বেশি থাকে, তাই দেহ এগুলি ধীরে ধীরে শোষণ করে। এর অর্থ তারা ইনসুলিন নিঃসরণে দ্রুত উচ্চমাত্রা সৃষ্টি করতে পারে না, যা ক্ষুধা এবং বাসনার উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে।
* বিভিন্ন ফলমূল এবং শাকসবজির কমপক্ষে পাঁচটি পরিবেশনা গ্রহণ করুন। বিভিন্ন ফল এবং শাকসবজিতে বিভিন্ন পরিমাণে এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি থাকে।
* সব চর্বিই খারাপ হয় না। হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোআনস্যাচুরেটেড চর্বিগুলো উপকারী। তাই বাদাম, বীজ এবং কিছু ধরনের তেল যেমন জলপাই, কুসুম এবং ক্যানোলা স্বাস্থ্যকর খাবার পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।
* বাইরে বেরোনোর সময় একটি টিফিন বাক্সে খাবার নিয়ে নেবেন এবং রেঁস্তোরার খাবার এড়িয়ে চলুন।
* যদি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করেন তবে পণ্যটির পরিবেশন সংখ্যা এবং পরিবেশনার আকার নির্ধারণ করতে খাদ্য লেবেলগুলো সাবধানে পড়ুন। যদি লেবেলটি বলে যে, একটি পরিবেশনায় ২০০ কিলোক্যালরি এবং প্রতি ধারকে তিনটি পরিবেশন রয়েছে, আপনি যদি ধারকটির পুরো খাবার খান তবে আপনি ৬০০ কিলোক্যালরি গ্রহণ করেছেন।
ব্যায়াম
ওজন হ্রাসে ব্যায়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু ব্যায়ামে সীমিত ওজন হ্রাস হতে পারে তবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে একত্রে শুধু খাদ্য নিয়ন্ত্রণের চেয়ে ১ কেজি বেশি ওজন হ্রাস করতে পারে।
* ব্যায়াম ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে। কারণ মাংসপেশি কাজের সময় শক্তি উৎপাদনে গ্লাইকোজেন এবং ফ্যাটকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে।
* ব্যায়াম উপকারী, কারণ এটি চর্বি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি রক্ষা করতে এবং বাড়াতে সহায়তা করে এবং কারণ মাংসপেশির বিপাকীয় হার উচ্চ এবং দ্রুত ক্যালরি নিঃশেষ করে।
* পায়ের পেশিগুলো বিশাল আকারের কারণে হাঁটাচলা, দৌড়ানো এবং সাইকেল চালানো শরীরের মেদ কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী ব্যায়াম। দ্রুত হাঁটার মতো মাঝারি ব্যায়ামের সময় জ্বালানি হিসাবে চর্বির বৃহত্তর ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটে।
* স্থূল লোকদের জন্য হাঁটাচলা একটি চমৎকার ব্যায়াম।
* আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন সর্বনিু ৩০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছে।
* চর্বি হ্রাস ছাড়া ব্যায়ামের অতিরিক্ত উপকার রয়েছে; ব্যায়াম রক্তচাপ এবং খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি ক্ষুধা কমাতে, ঘুম এবং মানসিক সুস্থতাকে উন্নত করতেও সহায়তা করে।
পরিবেশগত পরিবর্তন
আধুনিকীকরণের কারণে আমরা আরও বেশি করে অলস জীবনযাত্রা উপভোগ করছি, যেমন- গাড়ি করে অফিসে যাওয়া, ডেস্কে কাজ করা, টেলিভিশন দেখে বা কম্পিউটারে বসে প্রচুর সময় ব্যয় করা এবং ব্যস্ততার কারণে কেউ কেউ নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় পান না। সক্রিয় হওয়ার জন্য, প্রত্যেকেই কিছু চেষ্টা করতে পারেন; মনে রাখবেন, প্রতিটি সামান্য ব্যায়ামও সাহায্য করতে পারে।
প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপ বাড়ানোর জন্য কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ-
* অফিস যদি হাঁটার দূরত্ব এবং নিরাপদ অঞ্চলের মধ্যে হয়, তবে হেঁটে যান।
* যদি অঞ্চলটি হাঁটার জন্য নিরাপদ হয় তবে এক ষ্টেশন আগে নেমে পড়ুন।
* পার্কিংয়ের দূরপ্রান্তে গাড়ি পার্ক করুন এবং হেঁটে অফিসে যান।
* লিফট বা এসকেলেটারের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
* বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ির কাজ করুন।
* টেলিভিশন বা ভিডিও গেম বন্ধ করুন এবং বাগান বা বাড়ি পরিষ্কার করুন, নিজের গাড়ি ধুয়ে ফেলুন বা একটু হাঁটুন।
* আপনার পুরো পরিবার মিলে টেনিস বল খেলুন বা বাগানে কাজ করুন।
ওষুধ
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়াম দ্বারা ওজন হ্রাসে ব্যর্থ হয়েছেন এবং যারা স্থূলতা থেকে জটিলতার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ সাধারণত তাদের জন্যই ওষুধ। বেশ কয়েকটি স্থূলতাবিরোধী ওষুধ রয়েছে, যার বেশিরভাগই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্লিস্ট্যাট নামক ওষুধটি বহু বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। স্থূলতাবিরোধী ওষুধ ব্যবহারের আগে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সার্জারি
খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ব্যায়াম ও ওষুধে নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাধিগ্রস্ত স্থূলতার জন্য শৈল্য চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারী চিকিৎসা। ‘বেরিয়েট্রিক’ সার্জারি হলো একমাত্র মৃত্যুর হার হ্রাসকারী চিকিৎসা।
বেরিয়েট্রিক শল্য চিকিৎসা নিুবর্ণিত অবস্থার জন্য সংরক্ষিত থাকে-
* ৪০ কেজি/মিটার২ এর চেয়ে বেশি বিএমআইযুক্ত লোকদের জন্য
* ৩৫ কেজি/মিটার২ এর চেয়ে বেশি বিএমআইযুক্ত লোকদের যাদের উল্লেখযোগ্য জটিলতা, যেমন টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা বাধাজনিত ঘুমের শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগ রয়েছে।
* দুটি সর্বাধিক প্রচলিত শৈল্য পদ্ধতি হলো-
১. পাকস্থলীর আয়তন হ্রাস করা (যেমন অ্যাডজাস্টাবল গ্যাস্ট্রিক ব্যান্ডিং এবং উল্লম্ব ব্যান্ডযুক্ত গ্যাস্ট্রোপ্লাস্টি) যা আগেভাগে তৃপ্তিবোধ সৃষ্টি করে।
২. খাবারের সংস্পর্শে আসা অন্ত্রের দৈর্ঘ্য হ্রাস করে (যেমন গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি বা এন্ডোস্কোপিক ডুডোনাল-জেজুনাল বাইপাস সার্জারি) যা সরাসরি শোষণকে হ্রাস করে।
অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলত্বের চিকিৎসা কঠিন এবং প্রায়ই অসফল হয়। ওজন হ্রাসের পর তা বজায় রাখা আরও কঠিন। স্থূলতা প্রতিরোধে সবাইকে সজাগ হতে হবে এবং সময়মতো প্রাথমিক প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
লেখক : বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং ভারতের মাদ্রাজ শ্রী বালাজী মেডিকেল ইউনিভর্সিটির (চেন্নাই) ভিজিটিং প্রফেসর