প্রসঙ্গ : হাইপোথায়রয়েড
শিশু-কিশোররাও থায়রয়েড সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে এবং তা তাদের দেহে-মনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করতে পারে। শিশু-কিশোররা থায়রয়েড হরমোনের ঘাটতি (হাইপোথায়রয়েডিজম) এবং অতিরিক্ত পরিমাণে থায়রয়েড হরমোনের উপস্থিতি (হাইপারথায়রয়েডিজম)-এর যে কোনোটিতেই আক্রান্ত হতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিজমে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, সেগুলো হলো-
অস্থিরতা দেখা দেয়, মেজাজ খিটখিটে থাকে, বুক ধড়ফড় করে। হৃদস্পন্দন হার বেড়ে যায়। দুর্বল লাগে, যে কোনো কাজে অনিহা দেখা দেয়,
শিশুরা খেলাধুলা করতে চায় না, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তা সত্ত্বেও হাত ঘামে, খিদে বেড়ে গেলেও ওজন কমতে থাকে, মেয়েদের মাসিকের সমস্যা হয়, ত্বক কালো হয়ে যায়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়, বেশি বয়সে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে, চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসে, ঘন ঘন পায়খানা হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা না করলে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
* রোগ শনাক্তকরণ : হাইপারথায়রয়েডিজম শনাক্তকরণের জন্য প্রথমেই রোগীর শারীরিক লক্ষণগুলোকে সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নিম্নলিখিত ল্যাবরেটরি পরীক্ষাগুলোর সাহায্য নেওয়া হয়।
* থায়রয়েড হরমোন পরীক্ষা (FT4, TSH, FT3)।
* থায়রয়েড এন্টিবডি (TRAb, Antithyroid Antibodies)।
* থায়রয়েড আল্ট্রাসনোগ্রাম : এটি ক্রমশ খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসাবে জায়গা করে নিচ্ছে।
* থায়রয়েড রেডিও আপটেক ও স্ক্যান : নিউক্লিয়ার মেডিসিন কেন্দ্রগুলো এ পরীক্ষাটি করতে সহায়তা করে। হাইপারথায়রয়েডিজমে এটি একটি আদর্শ পরীক্ষা। ফাইন নিডেল এস্পিরেশন : কোন কোন সময় এ পরীক্ষাটি প্রয়োজন হতে পারে।
* চিকিৎসা : হাইপোথায়রয়েডিজমের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স, এ রোগের কারণ এবং বিদ্যমান চিকিৎসা প্রতুলতাকে বিবেচনায় এনে নিম্নলিখিত তিনটির যে কোনো একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
* এন্টিথায়রয়েড ওষুধ।
* রেডিওএবলাশন।
* অপারেশন করে নডিউল দূর করা।
হলেখক : সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রসঙ্গ : হাইপোথায়রয়েড
শিশু-কিশোররাও থায়রয়েড সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে এবং তা তাদের দেহে-মনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করতে পারে। শিশু-কিশোররা থায়রয়েড হরমোনের ঘাটতি (হাইপোথায়রয়েডিজম) এবং অতিরিক্ত পরিমাণে থায়রয়েড হরমোনের উপস্থিতি (হাইপারথায়রয়েডিজম)-এর যে কোনোটিতেই আক্রান্ত হতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিজমে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, সেগুলো হলো-
অস্থিরতা দেখা দেয়, মেজাজ খিটখিটে থাকে, বুক ধড়ফড় করে। হৃদস্পন্দন হার বেড়ে যায়। দুর্বল লাগে, যে কোনো কাজে অনিহা দেখা দেয়,
শিশুরা খেলাধুলা করতে চায় না, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তা সত্ত্বেও হাত ঘামে, খিদে বেড়ে গেলেও ওজন কমতে থাকে, মেয়েদের মাসিকের সমস্যা হয়, ত্বক কালো হয়ে যায়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়, বেশি বয়সে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে, চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসে, ঘন ঘন পায়খানা হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা না করলে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
* রোগ শনাক্তকরণ : হাইপারথায়রয়েডিজম শনাক্তকরণের জন্য প্রথমেই রোগীর শারীরিক লক্ষণগুলোকে সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে নিম্নলিখিত ল্যাবরেটরি পরীক্ষাগুলোর সাহায্য নেওয়া হয়।
* থায়রয়েড হরমোন পরীক্ষা (FT4, TSH, FT3)।
* থায়রয়েড এন্টিবডি (TRAb, Antithyroid Antibodies)।
* থায়রয়েড আল্ট্রাসনোগ্রাম : এটি ক্রমশ খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসাবে জায়গা করে নিচ্ছে।
* থায়রয়েড রেডিও আপটেক ও স্ক্যান : নিউক্লিয়ার মেডিসিন কেন্দ্রগুলো এ পরীক্ষাটি করতে সহায়তা করে। হাইপারথায়রয়েডিজমে এটি একটি আদর্শ পরীক্ষা। ফাইন নিডেল এস্পিরেশন : কোন কোন সময় এ পরীক্ষাটি প্রয়োজন হতে পারে।
* চিকিৎসা : হাইপোথায়রয়েডিজমের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স, এ রোগের কারণ এবং বিদ্যমান চিকিৎসা প্রতুলতাকে বিবেচনায় এনে নিম্নলিখিত তিনটির যে কোনো একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
* এন্টিথায়রয়েড ওষুধ।
* রেডিওএবলাশন।
* অপারেশন করে নডিউল দূর করা।
হলেখক : সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়