ডেঙ্গিজ্বর হলে কী করবেন
এখন ডেঙ্গিজ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। ডেঙ্গি মুহূর্তে মারাত্মক হতে পারে; ফলে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসাও লাগতে পারে। তিন-চার দিন টানা জ্বর থাকলে সম্ভব হলে টিসি ডিসি, এসজিপিটি, ডেঙ্গি এনএস-১ অ্যান্টিজেন টেস্ট করা যেতে পারে। আক্রান্তদের প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ নয়। পরিমিত পানিই সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা। পরিমিত হলো-যে পরিমাণ পানি পান করলে প্রেশার ও প্রস্রাব ঠিক থাকে; বিশেষ করে পালস প্রেশার (ওপরের ও নিচের প্রেশারের বিয়োগফল হলো পালস প্রেশার; সর্বাবস্থায় এটাকে ২০ এর বেশি রাখতে হবে)। বয়স্কদের বেলায় ৩-৪ লিটার পানি; বাচ্চাদের ৫০-১০০ মি/কেজি। প্রতিদিনের প্রস্রাবের পরিমাণও মনিটর করতে হবে। ক্রিটিক্যাল পিরিয়ডে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। এ সময় পানি কম লাগবে। কারণ, রক্তনালির লিকিং হয়। আর বেশি পানি দিলে সেটা পেট ও ফুসফুসে জমবে। বাচ্চাদের বেলায় অতিরিক্ত পানি দিলে ব্রেইন ফুলে যাবে। সবচেয়ে বাস্তব হলো নরমাল স্যালাইন শুরু করে পালস প্রেশার দেখে মনিটর করা। শিশু, গর্ভবতী মা, অশীতিপর প্রবীণ, অন্য এক বা একাধিক ঝুঁকি (কো-মরবিডিটি) যাদের আছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। জ্বর নেমে গেলে পর পর তিন দিন সতর্ক থাকতে হবে। মশা না কামড়ালে জ্বর হবে না। মশা ঠেকাতে হবে, ফুল হাতা জামা পরতে হবে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্লাটিলেটের কার্যকারিতা নেই। সংখ্যা দশ হাজারের নিচে গেলে অনেকে দিতে বলেন। মারাত্মক রক্তক্ষরণ হলে ব্লাড ফর ব্লাড দিতে হয়।
লেখক : মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ডেঙ্গিজ্বর হলে কী করবেন
এখন ডেঙ্গিজ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। ডেঙ্গি মুহূর্তে মারাত্মক হতে পারে; ফলে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসাও লাগতে পারে। তিন-চার দিন টানা জ্বর থাকলে সম্ভব হলে টিসি ডিসি, এসজিপিটি, ডেঙ্গি এনএস-১ অ্যান্টিজেন টেস্ট করা যেতে পারে। আক্রান্তদের প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ নয়। পরিমিত পানিই সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা। পরিমিত হলো-যে পরিমাণ পানি পান করলে প্রেশার ও প্রস্রাব ঠিক থাকে; বিশেষ করে পালস প্রেশার (ওপরের ও নিচের প্রেশারের বিয়োগফল হলো পালস প্রেশার; সর্বাবস্থায় এটাকে ২০ এর বেশি রাখতে হবে)। বয়স্কদের বেলায় ৩-৪ লিটার পানি; বাচ্চাদের ৫০-১০০ মি/কেজি। প্রতিদিনের প্রস্রাবের পরিমাণও মনিটর করতে হবে। ক্রিটিক্যাল পিরিয়ডে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। এ সময় পানি কম লাগবে। কারণ, রক্তনালির লিকিং হয়। আর বেশি পানি দিলে সেটা পেট ও ফুসফুসে জমবে। বাচ্চাদের বেলায় অতিরিক্ত পানি দিলে ব্রেইন ফুলে যাবে। সবচেয়ে বাস্তব হলো নরমাল স্যালাইন শুরু করে পালস প্রেশার দেখে মনিটর করা। শিশু, গর্ভবতী মা, অশীতিপর প্রবীণ, অন্য এক বা একাধিক ঝুঁকি (কো-মরবিডিটি) যাদের আছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। জ্বর নেমে গেলে পর পর তিন দিন সতর্ক থাকতে হবে। মশা না কামড়ালে জ্বর হবে না। মশা ঠেকাতে হবে, ফুল হাতা জামা পরতে হবে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় প্লাটিলেটের কার্যকারিতা নেই। সংখ্যা দশ হাজারের নিচে গেলে অনেকে দিতে বলেন। মারাত্মক রক্তক্ষরণ হলে ব্লাড ফর ব্লাড দিতে হয়।
লেখক : মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, বারডেম।