রমজানে মুখের যত্ন
রমজান মাস আসন্ন, এসময়ে মুখের মধ্যে বেশ কয়েক ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, যেমন-
মুখে দুর্গন্ধ : গন্ধ ও স্বাদবিহীন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। একান্তই না পারলে মেসওয়াক দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে রোজা রাখা অবস্থায় মুখ পরিষ্কার করা যায়।
করণীয় : ইফতার ও সেহরির পর অন্তত দু’মিনিট করে নিয়ম অনুযায়ী দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করা, সঙ্গে সেহরির পর ডেন্টাল ফ্লস করা, প্রয়োজনে অ্যালকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার, অজুর সময় ভালোমতো কুলি করা ও মাড়ি ম্যাসেজ করা প্রয়োজন।
মুখের শুষ্কতা : সারা দিন পানি পান না করা ও না চিবানোর কারণে মুখে লালা নিঃসরণ কমে যাওয়ায় মুখ শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে লালার স্বাভাবিক কাজ যেমন, দাঁতকে পরিষ্কার রাখা, জীবাণুকে প্রতিহত করা, মুখকে পিচ্ছিল রেখে কথা বলতে সাহায্য করা ও ঘর্ষণজনিত ক্ষুদ্র ক্ষত থেকে রক্ষা করা সহ নানা বিষয় ব্যাহত হয়। শুষ্ক মুখ রোগ তৈরির অনুকূলে থাকে।
করণীয় : ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত তরল পান করতে হবে। বাজারজাত কোমল পানীয় বা কৃত্রিম ফলের জুস পরিহার করে বিশুদ্ধ পানি ও শরীরের অন্য রোগ বিবেচনা করে লেবু শরবত, মৌসুমি ফলের জুস যেমন, কাঁচা আম, মালটা, বেল, আনারস, তরমুজ, ইসবগুলের ভুসি জাতীয় তরল পানীয় পান করতে হবে, তবে চিনিমুক্ত রাখা শ্রেয়। মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা ও শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিনির তৈরি খাবার কমাতে হবে।
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও অন্য রোগ : মুখের শুষ্কতা বা মুখ পরিষ্কারে অনীহার পাশাপাশি আমাদের খাদ্য তালিকাটিও মুখের জন্য স্বাস্থ্যবান্ধব অনেক সময় থাকে না। রুচির জন্য চিনির শরবত, জিলাপি, ইত্যাদি বেশি খাই যা দাঁতের ক্ষতি করে। অন্যদিকে ভাজাপোড়া থেকে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটির ফলে পেটের অ্যাসিড মুখে এসে দাঁত ক্ষয় করতে পারে। যাদের ক্রনিক অসুখ যেমন, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ আছে তাদের ওষুধের মাত্রা ও সময় পরিবর্তনে অসুখের মাত্রা বেড়ে মুখের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
করণীয় : খাবারের তালিকা স্বাস্থ্যবান্ধব হতে হবে। সেহরি খেতে হবে। পরিমিত ভাত সঙ্গে ছোটমাছ, সামুদ্রিক মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ, এককাপ দুধ বা টক দই, মিষ্টি ফল খেতে হবে। প্রচলিত মিনিকেট চাল না খেয়ে সিদ্ধ মোটা চাল বা লালচালের ভাত খেতে পারেন। ভাজা পোড়া খাবারমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে, ছোলা ভাজার পরিবর্তে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে আদা কুঁচি করে ইফতারিতে খাওয়া ভালো। খেজুরের উপকারিতা অনেক, সঙ্গে ১টা আপেল বা কলা খাওয়া যেতে পারে। শসা, ক্ষীরা, পেয়ারা বেশি খেতে পারবেন। মুড়ি বা চিড়া খাওয়া যায়। সেহরিতে রুটি, খিচুড়ি, বাদাম, ভাজাপোড়া খাবার পিপাসা বাড়াতে পারে। রোজা রেখে ডেন্টালের চিকিৎসা নেওয়া যায়।
-ডা: মো. আসাফুজ্জোহা রাজ
রাজ ডেন্টাল সেন্টার, কলাবাগান, ঢাকা, মহাসচিব, বিএফডিএস
রমজানে মুখের যত্ন
-ডা: মো. আসাফুজ্জোহা রাজ
১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রমজান মাস আসন্ন, এসময়ে মুখের মধ্যে বেশ কয়েক ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, যেমন-
মুখে দুর্গন্ধ : গন্ধ ও স্বাদবিহীন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। একান্তই না পারলে মেসওয়াক দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে রোজা রাখা অবস্থায় মুখ পরিষ্কার করা যায়।
করণীয় : ইফতার ও সেহরির পর অন্তত দু’মিনিট করে নিয়ম অনুযায়ী দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করা, সঙ্গে সেহরির পর ডেন্টাল ফ্লস করা, প্রয়োজনে অ্যালকোহল মুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার, অজুর সময় ভালোমতো কুলি করা ও মাড়ি ম্যাসেজ করা প্রয়োজন।
মুখের শুষ্কতা : সারা দিন পানি পান না করা ও না চিবানোর কারণে মুখে লালা নিঃসরণ কমে যাওয়ায় মুখ শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে লালার স্বাভাবিক কাজ যেমন, দাঁতকে পরিষ্কার রাখা, জীবাণুকে প্রতিহত করা, মুখকে পিচ্ছিল রেখে কথা বলতে সাহায্য করা ও ঘর্ষণজনিত ক্ষুদ্র ক্ষত থেকে রক্ষা করা সহ নানা বিষয় ব্যাহত হয়। শুষ্ক মুখ রোগ তৈরির অনুকূলে থাকে।
করণীয় : ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত তরল পান করতে হবে। বাজারজাত কোমল পানীয় বা কৃত্রিম ফলের জুস পরিহার করে বিশুদ্ধ পানি ও শরীরের অন্য রোগ বিবেচনা করে লেবু শরবত, মৌসুমি ফলের জুস যেমন, কাঁচা আম, মালটা, বেল, আনারস, তরমুজ, ইসবগুলের ভুসি জাতীয় তরল পানীয় পান করতে হবে, তবে চিনিমুক্ত রাখা শ্রেয়। মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা ও শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিনির তৈরি খাবার কমাতে হবে।
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ও অন্য রোগ : মুখের শুষ্কতা বা মুখ পরিষ্কারে অনীহার পাশাপাশি আমাদের খাদ্য তালিকাটিও মুখের জন্য স্বাস্থ্যবান্ধব অনেক সময় থাকে না। রুচির জন্য চিনির শরবত, জিলাপি, ইত্যাদি বেশি খাই যা দাঁতের ক্ষতি করে। অন্যদিকে ভাজাপোড়া থেকে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটির ফলে পেটের অ্যাসিড মুখে এসে দাঁত ক্ষয় করতে পারে। যাদের ক্রনিক অসুখ যেমন, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ আছে তাদের ওষুধের মাত্রা ও সময় পরিবর্তনে অসুখের মাত্রা বেড়ে মুখের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
করণীয় : খাবারের তালিকা স্বাস্থ্যবান্ধব হতে হবে। সেহরি খেতে হবে। পরিমিত ভাত সঙ্গে ছোটমাছ, সামুদ্রিক মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ, এককাপ দুধ বা টক দই, মিষ্টি ফল খেতে হবে। প্রচলিত মিনিকেট চাল না খেয়ে সিদ্ধ মোটা চাল বা লালচালের ভাত খেতে পারেন। ভাজা পোড়া খাবারমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে, ছোলা ভাজার পরিবর্তে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে আদা কুঁচি করে ইফতারিতে খাওয়া ভালো। খেজুরের উপকারিতা অনেক, সঙ্গে ১টা আপেল বা কলা খাওয়া যেতে পারে। শসা, ক্ষীরা, পেয়ারা বেশি খেতে পারবেন। মুড়ি বা চিড়া খাওয়া যায়। সেহরিতে রুটি, খিচুড়ি, বাদাম, ভাজাপোড়া খাবার পিপাসা বাড়াতে পারে। রোজা রেখে ডেন্টালের চিকিৎসা নেওয়া যায়।
-ডা: মো. আসাফুজ্জোহা রাজ
রাজ ডেন্টাল সেন্টার, কলাবাগান, ঢাকা, মহাসচিব, বিএফডিএস
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023