নির্যাতন সইতে করতে না পেরে...
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন মাদারীপুরের কালকিনির রিমা বেগম। বাবার বাড়ি কয়ারিয়া এলাকার পূর্বচর আলীমাবাদ গ্রামে। সাত বছর আগে তার বিয়ে হয় একই এলাকার আলী আহম্মেদ খানের ছেলে শুরুজ খানের সঙ্গে। কৃষক বাবা জলিল ফকির মেয়ে রিমা বেগমের বিয়েতে নগদ ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। বিয়ের পর থেকেই শুরুজ খান আরও যৌতুকের দাবিতে রিমাকে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
এ প্রসঙ্গে রিমা বেগম বলেন, আমাদের ঘর আলো করে দুই কন্যা সন্তান আসে। মেয়ে হওয়ার কারণে শুরুজ বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। আরও ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করে। আমার দরিদ্র বাবা এ টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার ওপর অমানবিক নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে স্বামী শুরুজ খান ও শ্বশুর আলী আহম্মেদকে আসামি করে মাদারীপুর কোর্টে যৌতুক ও নির্যাতন মামলা দায়ের করি। এ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে। আমি মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় শুরুজ কৌশলে ১৩ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় ডাক্তার দেখানোর কথা বলে। আমি সরল বিশ্বাসে ওর সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হলে আমাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে বেদম মারধর করে। এরপর গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে যৌতুকলোভী শুরুজ খান পালিয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে দুটি সন্তান নিয়ে চলে এসেছি। রিমার ভাই লিটন ফকির বলেন, আমরা শুরুজের সঠিক বিচার চাই।
শুরুজ খান ঘটনা অস্বীকার করে বলে, বিষয়টি আমাগো চেয়ারম্যান মীমাংসা করে দেবেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসিরউদ্দিন বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নির্যাতন সইতে করতে না পেরে...
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন মাদারীপুরের কালকিনির রিমা বেগম। বাবার বাড়ি কয়ারিয়া এলাকার পূর্বচর আলীমাবাদ গ্রামে। সাত বছর আগে তার বিয়ে হয় একই এলাকার আলী আহম্মেদ খানের ছেলে শুরুজ খানের সঙ্গে। কৃষক বাবা জলিল ফকির মেয়ে রিমা বেগমের বিয়েতে নগদ ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। বিয়ের পর থেকেই শুরুজ খান আরও যৌতুকের দাবিতে রিমাকে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
এ প্রসঙ্গে রিমা বেগম বলেন, আমাদের ঘর আলো করে দুই কন্যা সন্তান আসে। মেয়ে হওয়ার কারণে শুরুজ বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। আরও ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করে। আমার দরিদ্র বাবা এ টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার ওপর অমানবিক নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে স্বামী শুরুজ খান ও শ্বশুর আলী আহম্মেদকে আসামি করে মাদারীপুর কোর্টে যৌতুক ও নির্যাতন মামলা দায়ের করি। এ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে। আমি মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় শুরুজ কৌশলে ১৩ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় ডাক্তার দেখানোর কথা বলে। আমি সরল বিশ্বাসে ওর সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হলে আমাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে বেদম মারধর করে। এরপর গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে যৌতুকলোভী শুরুজ খান পালিয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে দুটি সন্তান নিয়ে চলে এসেছি। রিমার ভাই লিটন ফকির বলেন, আমরা শুরুজের সঠিক বিচার চাই।
শুরুজ খান ঘটনা অস্বীকার করে বলে, বিষয়টি আমাগো চেয়ারম্যান মীমাংসা করে দেবেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসিরউদ্দিন বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।