সুস্পষ্টভাবেই প্রতিবাদ করা উচিত
শুধু ‘হুই’ নামেই রাজনৈতিক বিশ্বে এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম। পুরো নাম চেই সন-হুই। জন্ম ১৯৬৪ সালের ১০ আগস্ট। জন্মসূত্রে উত্তর কোরিয়ার নাগরিক। ইতিহাস গড়ে হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সে অর্থে, উত্তর কোরিয়া পেল তাদের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে অভিজ্ঞ কূটনীতিক হুইকে নিয়োগ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। নিজের দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে কিম জং আস্থা রাখলেন হুইয়ের ওপর।
কিম জং দলীয় বৈঠকে হুইকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন। সন হুই বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি সন গওনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। নতুন দায়িত্বের আগে সন হুই দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার সময় কিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে কাজ করেছিলেন হুই। কিম জংয়ের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন। উত্তর কারিয়ার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সম্মেলনে কিম জং বলেছেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই মাঝেমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে তার দেশ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সমালোচনার তোপে পড়ে উত্তর কোরিয়া। কারণ উত্তর কোরিয়া কয়েক দিনের ব্যবধানে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। সিউল ও ওয়াশিংটন আশঙ্কা করছে, পিয়ংইয়ং আরেকটি পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ অবস্থায় এবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কারণ ব্যাখ্যা করলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
সর্বশেষ ১০ জুন রাজনৈতিক সম্মেলনের শেষ দিনে উত্তর কোরিয়ার কিম জং বলেন, দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেননি কিম।
চীন, অস্ট্রিয়া আর মাল্টা থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেছেন। দত্তক পিতার সন্তান হুই তেমন কোনো পারিবারিক বন্ধনে বেড়ে ওঠেননি। ইংরেজি ভাষার প্রতি অদম্য আগ্রহের কারণে নারী হিসাবেও তিনি এখন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ রাষ্ট্রীয় পদে যেতে পেরেছেন। দেশটির নারীদের জন্য তিনি এখন প্রেরণার উদাহরণ।
হুই এমন সময় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন, যখন দেশটি একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষার কারণে সারা বিশ্বের নজরে এসেছে। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার আহ্বানও সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম কেসিএনএ সূত্র বলছে, হুই এখন উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হুই ইংরেজি আর কূটনৈতিক ভাষায় বাকপটু। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের আলোচনার সময়ও সশরীরে উপস্থিত ছিলেন হুই।
২০১৯ সালে হ্যানয়তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ার পর সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের খুঁটিনাটি উত্তর দেন হুই নিজেই। তখন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র সুবর্ণ সুযোগ হারিয়েছে।
পিয়ংইয়ং আর ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা স্থবির বললেই চলে। বহুল আলোচিত ‘পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি’ নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বারবার আহ্বানে সাড়া দেয়নি উত্তর কোরিয়া। উল্টো উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০১৭ সালের পর প্রথমবার উত্তর কোরিয়া শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। যার সিনেম্যাটিক মহড়া সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা সতর্কতা জারি করে বলেন, উত্তর কোরিয়া সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইন্ডি শেরম্যান সতর্কতা জারি করে বলেন, এমনটা ঘটলে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া হুইয়ের জন্য সময়টা মোটেও সহজ নয়।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বিশ্ব এখন এক অস্থির অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উত্তর কোরিয়া নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। ঠিক তারই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদল নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বৈশ্বিক কূটনৈতিক আলোচনায় চেই হুই যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রাখতে দক্ষ বলেই কিম জং তাকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে ইতিহাস অপেক্ষায় থাকবে, বিশ্ব রাজনীতির জটিল কূটনৈতিক সমাধানে চেই হুই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। যা সংঘাত নয়, বরং শান্তি রক্ষার ভূমিকা রাখবে।
নিজের অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। নিজের দাবিকে অন্যের কাছে জোরালোভাবে উপস্থাপন করার সক্ষমতা অর্জন করা। সৎসাহস আর অদম্য ইচ্ছা দিয়ে জয় করা যায় সবকিছু। আর দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। কথাগুলো বলেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেই সন হুই।
সুস্পষ্টভাবেই প্রতিবাদ করা উচিত
সাব্বিন হাসান
২০ জুন ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শুধু ‘হুই’ নামেই রাজনৈতিক বিশ্বে এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম। পুরো নাম চেই সন-হুই। জন্ম ১৯৬৪ সালের ১০ আগস্ট। জন্মসূত্রে উত্তর কোরিয়ার নাগরিক। ইতিহাস গড়ে হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সে অর্থে, উত্তর কোরিয়া পেল তাদের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে অভিজ্ঞ কূটনীতিক হুইকে নিয়োগ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। নিজের দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে কিম জং আস্থা রাখলেন হুইয়ের ওপর।
কিম জং দলীয় বৈঠকে হুইকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন। সন হুই বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি সন গওনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। নতুন দায়িত্বের আগে সন হুই দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার সময় কিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে কাজ করেছিলেন হুই। কিম জংয়ের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন। উত্তর কারিয়ার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সম্মেলনে কিম জং বলেছেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই মাঝেমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে তার দেশ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সমালোচনার তোপে পড়ে উত্তর কোরিয়া। কারণ উত্তর কোরিয়া কয়েক দিনের ব্যবধানে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। সিউল ও ওয়াশিংটন আশঙ্কা করছে, পিয়ংইয়ং আরেকটি পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ অবস্থায় এবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কারণ ব্যাখ্যা করলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
সর্বশেষ ১০ জুন রাজনৈতিক সম্মেলনের শেষ দিনে উত্তর কোরিয়ার কিম জং বলেন, দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেননি কিম।
চীন, অস্ট্রিয়া আর মাল্টা থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেছেন। দত্তক পিতার সন্তান হুই তেমন কোনো পারিবারিক বন্ধনে বেড়ে ওঠেননি। ইংরেজি ভাষার প্রতি অদম্য আগ্রহের কারণে নারী হিসাবেও তিনি এখন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ রাষ্ট্রীয় পদে যেতে পেরেছেন। দেশটির নারীদের জন্য তিনি এখন প্রেরণার উদাহরণ।
হুই এমন সময় উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন, যখন দেশটি একের পর এক পারমাণবিক পরীক্ষার কারণে সারা বিশ্বের নজরে এসেছে। পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার আহ্বানও সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম কেসিএনএ সূত্র বলছে, হুই এখন উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হুই ইংরেজি আর কূটনৈতিক ভাষায় বাকপটু। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের আলোচনার সময়ও সশরীরে উপস্থিত ছিলেন হুই।
২০১৯ সালে হ্যানয়তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ার পর সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের খুঁটিনাটি উত্তর দেন হুই নিজেই। তখন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র সুবর্ণ সুযোগ হারিয়েছে।
পিয়ংইয়ং আর ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা স্থবির বললেই চলে। বহুল আলোচিত ‘পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি’ নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বারবার আহ্বানে সাড়া দেয়নি উত্তর কোরিয়া। উল্টো উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েকটি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০১৭ সালের পর প্রথমবার উত্তর কোরিয়া শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। যার সিনেম্যাটিক মহড়া সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা সতর্কতা জারি করে বলেন, উত্তর কোরিয়া সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইন্ডি শেরম্যান সতর্কতা জারি করে বলেন, এমনটা ঘটলে জোরালো প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া হুইয়ের জন্য সময়টা মোটেও সহজ নয়।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বিশ্ব এখন এক অস্থির অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উত্তর কোরিয়া নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। ঠিক তারই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদল নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বৈশ্বিক কূটনৈতিক আলোচনায় চেই হুই যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রাখতে দক্ষ বলেই কিম জং তাকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে ইতিহাস অপেক্ষায় থাকবে, বিশ্ব রাজনীতির জটিল কূটনৈতিক সমাধানে চেই হুই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। যা সংঘাত নয়, বরং শান্তি রক্ষার ভূমিকা রাখবে।
নিজের অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। নিজের দাবিকে অন্যের কাছে জোরালোভাবে উপস্থাপন করার সক্ষমতা অর্জন করা। সৎসাহস আর অদম্য ইচ্ছা দিয়ে জয় করা যায় সবকিছু। আর দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। কথাগুলো বলেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেই সন হুই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023