একই সমাবর্তনে মা-মেয়ের একসঙ্গে সনদ গ্রহণ
মো. সামছুল আলম শিবলী
১৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। এ সমাবর্তনের প্রধান আকর্ষণ ছিল মা ও মেয়ের একইসঙ্গে সনদ গ্রহণ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদ গ্রহণের জন্য এসেছিলেন টাঙ্গাইল সা’দত সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাহমিনা খান ও তার কনিষ্ঠ কন্যা তাসমিয়াহ খান।
একজন কৃতী ইতিহাসবিদই নন, একজন কৃতী মা হিসাবেও অধ্যাপক ড. তাহমিনা খানের জীবনের আরেকটি সার্থক দিন ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি গর্বিত তার সন্তানের জন্যও।
এ তীব্র প্রতিযোগিতার যুগেও দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তার এ কনিষ্ঠ কন্যা পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর নিজেকে যোগ্য করার পেছনেও রয়েছে মায়ের নীরবে নিরলস প্রচেষ্টা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন ঘটনা আরও ঘটেছে কিনা জানি না। মা-মেয়ে একসঙ্গে একই সমাবর্তনে নিজেদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে অংশগ্রহণ করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে এমনটিই ঘটেছে। ড. তাহমিনা খান অংশগ্রহণ করেছেন কলা ও মানবিক অনুষদের ইতিহাস বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড অর্জনের জন্য এবং তার কনিষ্ঠ কন্যা তাসমিয়াহ খান অংশগ্রহণ করেছেন বাণিজ্য অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে ২০১৪ সালের বিবিএ ডিগ্রির সনদ গ্রহণের জন্য।
মা ১৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন সরকারি সা’দত কলেজের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক পদে। দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগীয় প্রধান হিসাবেও। কন্যা একজন ব্যাংকার। মজার ব্যাপার হলো, মা-মেয়ে উভয়ের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন টাঙ্গাইল জেলা শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর একই জেলার দেশব্যাপী সুপরিচিত বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও স্বনামধন্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে।
ড. তাহমিনা তার সংগ্রামী জীবনে সফলতার পাশাপাশি একজন আদর্শ নারী। তার দুই কন্যাসন্তান। তারা দুজনই নিজেদের সফল করে তুলেছেন মায়ের মতোই। নিজ নিজ মহিমায় উদ্ভাসিত তারা। জ্যেষ্ঠ কন্যা তাসমিনা খান সমাজকর্ম বিষয়ে মাস্টার্স শেষে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে সমাজে নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছেন।
জীবনের শুরুতে ড. তাহমিনা যেমন একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন, তেমনই নিবেদিত ছিলেন লোকগীতি চর্চায়ও। সেই সঙ্গে শখ ছিল তার লেখক হওয়ারও। কিন্তু সঠিক সময়ের আগেই সংসার জীবনে প্রবেশের কারণে তিনি সাংস্কৃতিক জীবন থেকে দূরে সরে কেবল একাডেমিক দিকেই নিজেকে নিয়োজিত রাখার সংগ্রাম করেছেন।
১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক সহযোগিতা না পেয়ে ২য় বর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সা’দত কলেজ টাঙ্গাইলে মাইগ্রেশন নিয়ে শিক্ষাজীবন শেষে ১৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হন।
কিন্তু ১৪তম বিসিএসে নিয়োগ আগেই পাওয়ায় প্রভাষক পদে যোগদান করেন সরকারি সা’দত কলেজ, টাঙ্গাইলে (১৯৯৩ সাল)। তখন তিনি দুই কন্যাসন্তানের জননী। সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তির পর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল পর্যায়ে গবেষণা শুরু করে অ্যাওয়ার্ড পান ২০১১ সালে।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে তার একটি স্বপ্নপূরণ হয়। গবেষণার পাশাপাশি সুনামের সঙ্গে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদেও কর্মকাল অতিবাহিত করেন নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে।
ইতোমধ্যে তার কন্যা তাসমিয়াহ খান ভর্তি হন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ মার্কেটিং ১ম ব্যাচে। যথাসময়ে ফলাফল না পাওয়ার কারণে তাসমিয়াহ ২০১৫ সালের পরিবর্তে ২০২৩ সালের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন। স্বভাবতই মায়ের পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড অর্জন তার জন্যও একটি অনন্য প্রাপ্তি।
মা তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি জানি না এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আরও আছে কিনা। আমি এবং আমার সন্তান একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে একসঙ্গে অ্যাওয়ার্ড নেব কখনো কল্পনাও করিনি। এর মাধ্যমে আমি মনে করি, আমার সংগ্রামী জীবনের সব সাধনার পূর্ণতা পেয়েছি। এর পেছনে আমার সন্তানের বাবার অবদানও কম নয়। নীরবে তার অবদানও অসীম।’
মেয়ে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া আমার মমতাময়ী মা ও আমি একই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একজন সন্তান হয়ে এমন একজন মা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমরা এমন রত্নগর্ভা মাকে নিয়ে গর্ব অনুভব করি।’
একাডেমিক ক্যারিয়ার ছাড়াও ড. তাহমিনা একজন সুপরিচিত রোটারিয়ান। তিনবার ক্লাব প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮২তে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্নর এবং ৩২৮১তে ছিলেন ডেপুটি গভর্নর। তিনি একজন সফল শুটারও। সে গুণের কারণেই তিনি টাঙ্গাইল রাইফেল ক্লাবের আজীবন সদস্য।
স্কুলজীবনে জাতীয় জারিগান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং লোকগীতিতে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন ড. তাহমিনা। বর্তমানে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সেও নতুন করে সংগীতচর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। নেমেছেন হারিয়ে যাওয়া লোকগীতির সন্ধানে।
এখন তিনি একজন লেখকও। ইতিহাস বিষয়ে গবেষণাধর্মী বই প্রকাশ হয়েছে তার দুটি এবং কবিতা গ্রন্থ তিনটি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
একই সমাবর্তনে মা-মেয়ের একসঙ্গে সনদ গ্রহণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। এ সমাবর্তনের প্রধান আকর্ষণ ছিল মা ও মেয়ের একইসঙ্গে সনদ গ্রহণ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদ গ্রহণের জন্য এসেছিলেন টাঙ্গাইল সা’দত সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাহমিনা খান ও তার কনিষ্ঠ কন্যা তাসমিয়াহ খান।
একজন কৃতী ইতিহাসবিদই নন, একজন কৃতী মা হিসাবেও অধ্যাপক ড. তাহমিনা খানের জীবনের আরেকটি সার্থক দিন ছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি গর্বিত তার সন্তানের জন্যও।
এ তীব্র প্রতিযোগিতার যুগেও দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তার এ কনিষ্ঠ কন্যা পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর নিজেকে যোগ্য করার পেছনেও রয়েছে মায়ের নীরবে নিরলস প্রচেষ্টা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন ঘটনা আরও ঘটেছে কিনা জানি না। মা-মেয়ে একসঙ্গে একই সমাবর্তনে নিজেদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে অংশগ্রহণ করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে এমনটিই ঘটেছে। ড. তাহমিনা খান অংশগ্রহণ করেছেন কলা ও মানবিক অনুষদের ইতিহাস বিভাগ থেকে ২০১৯ সালে পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড অর্জনের জন্য এবং তার কনিষ্ঠ কন্যা তাসমিয়াহ খান অংশগ্রহণ করেছেন বাণিজ্য অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে ২০১৪ সালের বিবিএ ডিগ্রির সনদ গ্রহণের জন্য।
মা ১৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে কর্মরত আছেন সরকারি সা’দত কলেজের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক পদে। দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগীয় প্রধান হিসাবেও। কন্যা একজন ব্যাংকার। মজার ব্যাপার হলো, মা-মেয়ে উভয়ের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন টাঙ্গাইল জেলা শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর একই জেলার দেশব্যাপী সুপরিচিত বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও স্বনামধন্য মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে।
ড. তাহমিনা তার সংগ্রামী জীবনে সফলতার পাশাপাশি একজন আদর্শ নারী। তার দুই কন্যাসন্তান। তারা দুজনই নিজেদের সফল করে তুলেছেন মায়ের মতোই। নিজ নিজ মহিমায় উদ্ভাসিত তারা। জ্যেষ্ঠ কন্যা তাসমিনা খান সমাজকর্ম বিষয়ে মাস্টার্স শেষে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে সমাজে নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছেন।
জীবনের শুরুতে ড. তাহমিনা যেমন একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন, তেমনই নিবেদিত ছিলেন লোকগীতি চর্চায়ও। সেই সঙ্গে শখ ছিল তার লেখক হওয়ারও। কিন্তু সঠিক সময়ের আগেই সংসার জীবনে প্রবেশের কারণে তিনি সাংস্কৃতিক জীবন থেকে দূরে সরে কেবল একাডেমিক দিকেই নিজেকে নিয়োজিত রাখার সংগ্রাম করেছেন।
১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক সহযোগিতা না পেয়ে ২য় বর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সা’দত কলেজ টাঙ্গাইলে মাইগ্রেশন নিয়ে শিক্ষাজীবন শেষে ১৩তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হন।
কিন্তু ১৪তম বিসিএসে নিয়োগ আগেই পাওয়ায় প্রভাষক পদে যোগদান করেন সরকারি সা’দত কলেজ, টাঙ্গাইলে (১৯৯৩ সাল)। তখন তিনি দুই কন্যাসন্তানের জননী। সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তির পর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল পর্যায়ে গবেষণা শুরু করে অ্যাওয়ার্ড পান ২০১১ সালে।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে তার একটি স্বপ্নপূরণ হয়। গবেষণার পাশাপাশি সুনামের সঙ্গে তিনি সহযোগী অধ্যাপক পদেও কর্মকাল অতিবাহিত করেন নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ও মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে।
ইতোমধ্যে তার কন্যা তাসমিয়াহ খান ভর্তি হন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ মার্কেটিং ১ম ব্যাচে। যথাসময়ে ফলাফল না পাওয়ার কারণে তাসমিয়াহ ২০১৫ সালের পরিবর্তে ২০২৩ সালের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন। স্বভাবতই মায়ের পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড অর্জন তার জন্যও একটি অনন্য প্রাপ্তি।
মা তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি জানি না এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আরও আছে কিনা। আমি এবং আমার সন্তান একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে একসঙ্গে অ্যাওয়ার্ড নেব কখনো কল্পনাও করিনি। এর মাধ্যমে আমি মনে করি, আমার সংগ্রামী জীবনের সব সাধনার পূর্ণতা পেয়েছি। এর পেছনে আমার সন্তানের বাবার অবদানও কম নয়। নীরবে তার অবদানও অসীম।’
মেয়ে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া আমার মমতাময়ী মা ও আমি একই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। একজন সন্তান হয়ে এমন একজন মা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমরা এমন রত্নগর্ভা মাকে নিয়ে গর্ব অনুভব করি।’
একাডেমিক ক্যারিয়ার ছাড়াও ড. তাহমিনা একজন সুপরিচিত রোটারিয়ান। তিনবার ক্লাব প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮২তে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্নর এবং ৩২৮১তে ছিলেন ডেপুটি গভর্নর। তিনি একজন সফল শুটারও। সে গুণের কারণেই তিনি টাঙ্গাইল রাইফেল ক্লাবের আজীবন সদস্য।
স্কুলজীবনে জাতীয় জারিগান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং লোকগীতিতে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন ড. তাহমিনা। বর্তমানে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সেও নতুন করে সংগীতচর্চায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। নেমেছেন হারিয়ে যাওয়া লোকগীতির সন্ধানে।
এখন তিনি একজন লেখকও। ইতিহাস বিষয়ে গবেষণাধর্মী বই প্রকাশ হয়েছে তার দুটি এবং কবিতা গ্রন্থ তিনটি।