তবু যাই এগিয়ে
সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী
ধীরে ধীরে রক্ষণশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। প্রথমবারের মতো মহাকাশে নারী নভোচারী পাঠিয়েছে দেশটি। সৌভাগ্যবান এ নারীর নাম রায়ানাহ বার্নাবি। মনুষ্যবাহী মহাকাশ ফ্লাইটে সক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং বিশ্বব্যাপী মহাকাশ খাতের দেয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। যুবরাজ সালমানের সংস্কার নীতির কারণে গত কয়েক বছর ধরেই রক্ষণশীলতার খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। সৌদি এখন হাঁটতে শুরু করেছে পাশ্চাত্যের আদলে। আর তাই একে একে নারীদের ওপর থেকে কড়াকড়ি উঠিয়ে নিচ্ছে দেশটি। নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি, মাঠে বসে খেলা দেখা, পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ভ্রমণ, এমনকি সিনেমা হল থেকে শুরু করে হালাল নাইট ক্লাবও চালু হয়েছে যুবরাজ সালমানের আমলে।
৩৩ বছর বয়সি সৌদি নাগরিক বার্নাবি বায়োমেডিকেল সায়েন্সে দুটি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বিষয়ে স্নাতক এবং আলফাইসাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এ ছাড়া গবেষণাগারে বিশেষজ্ঞ হিসাবে বেশ খ্যাতি রয়েছে তার। ক্যানসার স্টেম সেল গবেষণায় প্রায় এক দশকের মতো কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এ নারীর।
যাত্রা শুরুর আগে রায়ানাহ বার্নাবি বলেন, ‘সবার জন্য এটি একটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্ত। আমি শুধু বুঝতে পেরেছি যে এটা সম্ভব। আমি ও আলী এটা করতে পারলে অন্যরাও পারবেন।’ এ মহাকাশযাত্রার আয়োজক হিউস্টনভিত্তিক কোম্পানি ‘এক্সিওম স্পেস’। আর দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন নাসার সাবেক নভোচারী পেগি হুইটসন। মহাকাশে সবচেয়ে বেশি সময় (৬৬৫ দিন) কাটানো রেকর্ড এখনো হুইটসনের দখলে। এ যাত্রা দলের আরেক সদস্য হলেন মার্কিন ব্যবসায়ী জন শফনার, যিনি একটি স্পোর্টস কার রেসিং দলেরও মালিক।
বেশ কয়েক দশক ধরে মহাকাশ পর্যটনকে নিরুৎসাহিত করলেও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এখন এ বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। বছরে অন্তত ২টি এ ধরনের অভিযান আয়োজনের কথা ভাবছে সংস্থাটি। বেশ কয়েক দশক ধরে রুশ মহাকাশ এজেন্সি এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
টানা ৮ দিন মহাকাশে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরেছেন সৌদি আরবের নারী নভোচারী রায়ানাহসহ চার জন। রায়ানাহ বার্নাবির সঙ্গে মিশন থেকে ফিরেছেন সৌদি আরবের আরও এক পুরুষ নভোচারী। তার নাম আলী আল-কারনি। তিনি পেশায় একজন ফাইটার পাইলট। গত রোববার (২২ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ‘স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯’ রকেটে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) যান তারা। নভোচারীরা ৮ দিন ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। ৩১ মে তারা ফ্লোরিডায় ফিরে আসেন। তাদের বহনকারী ‘স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলটি মেক্সিকো উপসাগরের ফ্লোরিডার পানামা সিটিতে অবতরণ করে। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে তাদের সময় লাগে ১২ ঘণ্টা। ড্রাগন ক্যাপসুলের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ‘থাম্বস আপ’ দেখিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রায়ানাহ। সেখানে উপস্থিত অন্যদের সহায়তায় একের পর এক ক্যাপসুল থেকে নেমে আসেন চার নভোচারী। আর এর মাধ্যমে সৌদি নারীদের কাছে এক প্রেরণার নাম হয়ে উঠেছেন রায়ানাহ।
সৌদি আরবের প্রথম নারী নভোচারী
তবু যাই এগিয়ে
সুমন্ত গুপ্ত
০৫ জুন ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ধীরে ধীরে রক্ষণশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। প্রথমবারের মতো মহাকাশে নারী নভোচারী পাঠিয়েছে দেশটি। সৌভাগ্যবান এ নারীর নাম রায়ানাহ বার্নাবি। মনুষ্যবাহী মহাকাশ ফ্লাইটে সক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং বিশ্বব্যাপী মহাকাশ খাতের দেয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। যুবরাজ সালমানের সংস্কার নীতির কারণে গত কয়েক বছর ধরেই রক্ষণশীলতার খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। সৌদি এখন হাঁটতে শুরু করেছে পাশ্চাত্যের আদলে। আর তাই একে একে নারীদের ওপর থেকে কড়াকড়ি উঠিয়ে নিচ্ছে দেশটি। নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি, মাঠে বসে খেলা দেখা, পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই ভ্রমণ, এমনকি সিনেমা হল থেকে শুরু করে হালাল নাইট ক্লাবও চালু হয়েছে যুবরাজ সালমানের আমলে।
৩৩ বছর বয়সি সৌদি নাগরিক বার্নাবি বায়োমেডিকেল সায়েন্সে দুটি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বিষয়ে স্নাতক এবং আলফাইসাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এ ছাড়া গবেষণাগারে বিশেষজ্ঞ হিসাবে বেশ খ্যাতি রয়েছে তার। ক্যানসার স্টেম সেল গবেষণায় প্রায় এক দশকের মতো কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এ নারীর।
যাত্রা শুরুর আগে রায়ানাহ বার্নাবি বলেন, ‘সবার জন্য এটি একটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মুহূর্ত। আমি শুধু বুঝতে পেরেছি যে এটা সম্ভব। আমি ও আলী এটা করতে পারলে অন্যরাও পারবেন।’ এ মহাকাশযাত্রার আয়োজক হিউস্টনভিত্তিক কোম্পানি ‘এক্সিওম স্পেস’। আর দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন নাসার সাবেক নভোচারী পেগি হুইটসন। মহাকাশে সবচেয়ে বেশি সময় (৬৬৫ দিন) কাটানো রেকর্ড এখনো হুইটসনের দখলে। এ যাত্রা দলের আরেক সদস্য হলেন মার্কিন ব্যবসায়ী জন শফনার, যিনি একটি স্পোর্টস কার রেসিং দলেরও মালিক।
বেশ কয়েক দশক ধরে মহাকাশ পর্যটনকে নিরুৎসাহিত করলেও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এখন এ বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। বছরে অন্তত ২টি এ ধরনের অভিযান আয়োজনের কথা ভাবছে সংস্থাটি। বেশ কয়েক দশক ধরে রুশ মহাকাশ এজেন্সি এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
টানা ৮ দিন মহাকাশে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরেছেন সৌদি আরবের নারী নভোচারী রায়ানাহসহ চার জন। রায়ানাহ বার্নাবির সঙ্গে মিশন থেকে ফিরেছেন সৌদি আরবের আরও এক পুরুষ নভোচারী। তার নাম আলী আল-কারনি। তিনি পেশায় একজন ফাইটার পাইলট। গত রোববার (২২ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ‘স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯’ রকেটে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) যান তারা। নভোচারীরা ৮ দিন ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। ৩১ মে তারা ফ্লোরিডায় ফিরে আসেন। তাদের বহনকারী ‘স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলটি মেক্সিকো উপসাগরের ফ্লোরিডার পানামা সিটিতে অবতরণ করে। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে তাদের সময় লাগে ১২ ঘণ্টা। ড্রাগন ক্যাপসুলের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ‘থাম্বস আপ’ দেখিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রায়ানাহ। সেখানে উপস্থিত অন্যদের সহায়তায় একের পর এক ক্যাপসুল থেকে নেমে আসেন চার নভোচারী। আর এর মাধ্যমে সৌদি নারীদের কাছে এক প্রেরণার নাম হয়ে উঠেছেন রায়ানাহ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023