হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে, শেষ ম্যাচেও দাপুটে জয়ে দারুণ দুই কীর্তি
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ মার্চ ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতিপক্ষ যতই দুর্বল হোক, নিজেদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দর্শনে অবিচল থাকতে হবে- শেষ ম্যাচের আগে সতীর্থদের কানে এ মন্ত্রই জপে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মাঠেও তার স্পষ্ট প্রতিফলন। দুঃস্বপ্নের সফরের শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পেল না জিম্বাবুয়ে।
বুধবার মিরপুরে আরেকটি একপেশে ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে নয় উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচের টি ২০ সিরিজ ২-০তে জিতে নিল বাংলাদেশ। ওয়ানডের পর টি ২০তেও হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ পেল সফরকারীরা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই রেখেছিলেন মোস্তাফিজ, আল-আমিনরা।
ওপেনার ব্রেন্ডন টেলরের অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসের পরও সাত উইকেটে মাত্র ১১৯ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ম্যাচ ও সিরিজসেরা লিটন দাসের টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ২৫ বল হাতে রেখেই নয় উইকেটের অনায়াস জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে ৫৯ রান করা লিটন কাল আট চারে ৪৫ বলে করেন অপরাজিত ৬০ রান। তামিম ইকবালের বিশ্রামে সুযোগ পাওয়া তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখকে নিয়ে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই ম্যাচের ফল নিয়ে সব সংশয় মুছে দিয়েছিলেন লিটন। নাঈম ৩৩ রানে থামার পর সৌম্য সরকারকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন লিটন। দুই ছক্কায় ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাল যোগ হল নতুন দুটি কীর্তি। প্রথমবারের মতো কোনো দলের বিপক্ষে এক দফায় তিন সংস্করণেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। পাশাপাশি এক সিরিজে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সব ম্যাচ জয়ের কীর্তিও এই প্রথম। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি ২০ মিলিয়ে সফরের ছয় ম্যাচেই হেরেছে জিম্বাবুয়ে।
ওয়ানডে ও টি ২০ মিলিয়ে সফরের শেষ ম্যাচে এসে প্রথমবারের মতো আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কাল টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যাটিং আগে হোক বা পরে, ছন্নছাড়া জিম্বাবুয়ের পারফরম্যান্সে উন্নতির কোনো ছাপ নেই।
শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলাররা যথারীতি দাপট দেখালেন। ব্রেন্ডন টেলরের ফিফটিতে সাত উইকেটে সাকুল্যে ১১৯ রান তুলতে পারে সফরকারীরা। টি ২০তে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই জিম্বাবুয়ের সর্বনিম্ন স্কোর। গোটা সফরে রানখরার মধ্যে থাকা টেলরের ব্যাট থেকে এসেছে কাল ৪৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস।
কার্যত তিনি একাই টেনেছেন দলকে। ৫৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে টেলরের সঙ্গী ক্রেগ আরভিন (২৯) ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। বাংলাদেশ নেমেছিল চার পেসার নিয়ে। এ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হল তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের।
উইকেট না পেলেও অভিষেকে ভালোই বল করেছেন হাসান। চার ওভারে ২৫ রান দেন তিনি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দারুণ বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন। একটি করে উইকেট মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেনের। তামিম ইকবালকে বিশ্রাম দিয়ে তার জায়গায় কাল খেলানো হয়েছে মোহাম্মদ নাঈমকে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে, শেষ ম্যাচেও দাপুটে জয়ে দারুণ দুই কীর্তি
প্রতিপক্ষ যতই দুর্বল হোক, নিজেদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দর্শনে অবিচল থাকতে হবে- শেষ ম্যাচের আগে সতীর্থদের কানে এ মন্ত্রই জপে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মাঠেও তার স্পষ্ট প্রতিফলন। দুঃস্বপ্নের সফরের শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পেল না জিম্বাবুয়ে।
বুধবার মিরপুরে আরেকটি একপেশে ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে নয় উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচের টি ২০ সিরিজ ২-০তে জিতে নিল বাংলাদেশ। ওয়ানডের পর টি ২০তেও হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ পেল সফরকারীরা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই রেখেছিলেন মোস্তাফিজ, আল-আমিনরা।
ওপেনার ব্রেন্ডন টেলরের অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসের পরও সাত উইকেটে মাত্র ১১৯ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ম্যাচ ও সিরিজসেরা লিটন দাসের টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ২৫ বল হাতে রেখেই নয় উইকেটের অনায়াস জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে ৫৯ রান করা লিটন কাল আট চারে ৪৫ বলে করেন অপরাজিত ৬০ রান। তামিম ইকবালের বিশ্রামে সুযোগ পাওয়া তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখকে নিয়ে ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই ম্যাচের ফল নিয়ে সব সংশয় মুছে দিয়েছিলেন লিটন। নাঈম ৩৩ রানে থামার পর সৌম্য সরকারকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন লিটন। দুই ছক্কায় ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাল যোগ হল নতুন দুটি কীর্তি। প্রথমবারের মতো কোনো দলের বিপক্ষে এক দফায় তিন সংস্করণেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। পাশাপাশি এক সিরিজে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সব ম্যাচ জয়ের কীর্তিও এই প্রথম। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি ২০ মিলিয়ে সফরের ছয় ম্যাচেই হেরেছে জিম্বাবুয়ে।
ওয়ানডে ও টি ২০ মিলিয়ে সফরের শেষ ম্যাচে এসে প্রথমবারের মতো আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কাল টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যাটিং আগে হোক বা পরে, ছন্নছাড়া জিম্বাবুয়ের পারফরম্যান্সে উন্নতির কোনো ছাপ নেই।
শেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলাররা যথারীতি দাপট দেখালেন। ব্রেন্ডন টেলরের ফিফটিতে সাত উইকেটে সাকুল্যে ১১৯ রান তুলতে পারে সফরকারীরা। টি ২০তে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই জিম্বাবুয়ের সর্বনিম্ন স্কোর। গোটা সফরে রানখরার মধ্যে থাকা টেলরের ব্যাট থেকে এসেছে কাল ৪৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস।
কার্যত তিনি একাই টেনেছেন দলকে। ৫৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে টেলরের সঙ্গী ক্রেগ আরভিন (২৯) ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। বাংলাদেশ নেমেছিল চার পেসার নিয়ে। এ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হল তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের।
উইকেট না পেলেও অভিষেকে ভালোই বল করেছেন হাসান। চার ওভারে ২৫ রান দেন তিনি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দারুণ বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন। একটি করে উইকেট মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেনের। তামিম ইকবালকে বিশ্রাম দিয়ে তার জায়গায় কাল খেলানো হয়েছে মোহাম্মদ নাঈমকে।