সম্রাট ও সুমন বাহিনীর সদস্যসহ গ্রেফতার ৭
jugantor
বেগমগঞ্জে সাঁড়াশি অভিযান শুরু
সম্রাট ও সুমন বাহিনীর সদস্যসহ গ্রেফতার ৭

  যুগান্তর রিপোর্ট, নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি  

২০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। আটক করা হয়েছে উপজেলার ত্রাস সম্রাট ও সুমন বাহিনীর সদস্যসহ ৭ জনকে। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত একলাশপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চলে এ অভিযান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। সম্রাট বাহিনী, সুমন বাহিনী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

এদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন সম্রাট বাহিনীর সদস্য মধ্য একলাশপুর গ্রামের আহম্মদ মাস্টারের ছেলে নাসরোল্লাহ নেহাল (৩৩), সুমন বাহিনীর সদস্য একলাশপুরের লাজ মিয়াজী বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে মোরশেদ আলম বাবু (১৮), একই এলাকার গাড়িয়াল বাড়ির আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. জহির (১৭), কিশোর গ্যাং হৃদয় গ্রুপের সদস্য নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইমাম উদ্দিন সাব্বির (১৯), মিয়াজী বাড়ির শহীদ উল্যার ছেলে তানজিদ মেহরাজ (১৮), কাজী বাড়ির মোশারফ হোসেন স্বপনের ছেলে দাইমুল ইসলাম পাভেল (১৯) এবং পশ্চিম একলাশপুরের কিশোর গ্যাং তুফান গ্রুপের সদস্য শাহ আলম মাস্টারের ছেলে জাবেদ (১৮)।

সম্প্রতি বেগমগঞ্জের সন্ত্রাসী বাহিনী ও এদের প্রশ্রয়দাতাদের ওপর যুগান্তরে তিনটি আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে ৮টি ইউনিয়নের ১৯টি সন্ত্রাসী বাহিনীর কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর সন্ত্রাসীদের দমনে সাঁড়াশি অভিযানে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।

রোববার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেছিলেন, কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীকে ছাড় দেয়া হবে না। জেলা পুলিশকে এ বিষয়ে কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তারা যুগান্তরের রিপোর্ট ধরে কাজ করছে। সব সন্ত্রাসী বাহিনীর মূলোৎপাটন করা হবে। আটকদের বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই দুষ্কৃতকারী ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও জনমনে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। এছাড়া ওই এলাকায় কোনো অপরিচিত লোক এলে তাকে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাংয়ে ভরপুর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন। তারা কিশোর গ্যাং দমনে অভিযান অব্যাহত রাখারও দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার যুগান্তরকে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সম্রাট বাহিনীর সদস্য নাসরোল্লাহ নেহালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।

একাধিক মামলায় আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত চলবে এ অভিযান।

বেগমগঞ্জে সাঁড়াশি অভিযান শুরু

সম্রাট ও সুমন বাহিনীর সদস্যসহ গ্রেফতার ৭

 যুগান্তর রিপোর্ট, নোয়াখালী ও কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি 
২০ অক্টোবর ২০২০, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। আটক করা হয়েছে উপজেলার ত্রাস সম্রাট ও সুমন বাহিনীর সদস্যসহ ৭ জনকে। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত একলাশপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চলে এ অভিযান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। সম্রাট বাহিনী, সুমন বাহিনী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

এদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন সম্রাট বাহিনীর সদস্য মধ্য একলাশপুর গ্রামের আহম্মদ মাস্টারের ছেলে নাসরোল্লাহ নেহাল (৩৩), সুমন বাহিনীর সদস্য একলাশপুরের লাজ মিয়াজী বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে মোরশেদ আলম বাবু (১৮), একই এলাকার গাড়িয়াল বাড়ির আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. জহির (১৭), কিশোর গ্যাং হৃদয় গ্রুপের সদস্য নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইমাম উদ্দিন সাব্বির (১৯), মিয়াজী বাড়ির শহীদ উল্যার ছেলে তানজিদ মেহরাজ (১৮), কাজী বাড়ির মোশারফ হোসেন স্বপনের ছেলে দাইমুল ইসলাম পাভেল (১৯) এবং পশ্চিম একলাশপুরের কিশোর গ্যাং তুফান গ্রুপের সদস্য শাহ আলম মাস্টারের ছেলে জাবেদ (১৮)।

সম্প্রতি বেগমগঞ্জের সন্ত্রাসী বাহিনী ও এদের প্রশ্রয়দাতাদের ওপর যুগান্তরে তিনটি আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে ৮টি ইউনিয়নের ১৯টি সন্ত্রাসী বাহিনীর কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর সন্ত্রাসীদের দমনে সাঁড়াশি অভিযানে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।

রোববার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেছিলেন, কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীকে ছাড় দেয়া হবে না। জেলা পুলিশকে এ বিষয়ে কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তারা যুগান্তরের রিপোর্ট ধরে কাজ করছে। সব সন্ত্রাসী বাহিনীর মূলোৎপাটন করা হবে। আটকদের বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই দুষ্কৃতকারী ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও জনমনে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। এছাড়া ওই এলাকায় কোনো অপরিচিত লোক এলে তাকে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাংয়ে ভরপুর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন। তারা কিশোর গ্যাং দমনে অভিযান অব্যাহত রাখারও দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার যুগান্তরকে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সম্রাট বাহিনীর সদস্য নাসরোল্লাহ নেহালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।

একাধিক মামলায় আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত চলবে এ অভিযান।
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন