ব্যবসা খাতে ঋণসীমা ১০ শতাংশ বাড়ল
করোনার প্রভাব মোকাবেলায় কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের নীতিমালা আরও শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মোট ঋণের ৩০ শতাংশ ব্যবসা বা ট্রেডিং খাতে বিতরণ করতে পারবে।
আগে এ হার ছিল ২০ শতাংশ। ব্যবসা খাতে চাহিদা বেশি থাকায় ঋণ বিতরণের হার বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ব্যবসা খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণের হার আগের চেয়ে ১০ শতাংশ বাড়ানোর ফলে উৎপাদন ও সেবা খাতে ঋণ প্রবাহ ১০ শতাংশ কমবে।
ফলে এখন থেকে উৎপাদন ও সেবা খাতে মোট ঋণের ৭০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যবসা খাতে ২০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করলেও তবে কোনো ক্রমেই ৩০ শতাংশের বেশি করা যাবে না।
ব্যবসা খাতে ২০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করলে উৎপাদন ও সেবা খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুটি খাতে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে। সূত্র জানায়, করোনার প্রভাবে সব খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ কারণে প্রণোদনার ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবসা খাতে ঋণের চাহিদা বেশি। কিন্তু এ খাতে বেশি ঋণ দিলে উৎপাদন ও সেবা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশের অর্থনীতিতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে উৎপাদন খাত। এরপরেই রয়েছে সেবা খাত। এ কারণে এ দুটি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
গত ১৩ এপ্রিল করোনার প্রভাব মোকাবেলায় কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে জোগান দেয়া হবে।
বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা জোগান দেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এর সুদের হার ৯ শতাংশ। তবে গ্রাহককে দিতে হবে ৪ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ সরকার থেকে ভর্তুকি দেয়া হবে।
১৩ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে তহবিল থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মোট ঋণের উৎপাদন খাতে ৫০ শতাংশ, সেবা খাতে ৩০ শতাংশ এবং ব্যবসা খাতে ২০ শতাংশ বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্জন করতে পারছিল না। পরে ৭ আগস্ট উৎপাদন ও সেবা খাতে আলাদাভাবে লক্ষ্যমাত্রা না রেখে দুই খাতে গড়ে ৮০ শতাংশ ঋণ বিতরণের শর্ত আরোপ করা হয়।
তারপরও ঋণের বিতরণের হার কম হওয়ায় আবার তা শিথিল করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ব্যবসা খাতে ঋণসীমা ১০ শতাংশ বাড়ল
করোনার প্রভাব মোকাবেলায় কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের নীতিমালা আরও শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মোট ঋণের ৩০ শতাংশ ব্যবসা বা ট্রেডিং খাতে বিতরণ করতে পারবে।
আগে এ হার ছিল ২০ শতাংশ। ব্যবসা খাতে চাহিদা বেশি থাকায় ঋণ বিতরণের হার বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ব্যবসা খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণের হার আগের চেয়ে ১০ শতাংশ বাড়ানোর ফলে উৎপাদন ও সেবা খাতে ঋণ প্রবাহ ১০ শতাংশ কমবে।
ফলে এখন থেকে উৎপাদন ও সেবা খাতে মোট ঋণের ৭০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যবসা খাতে ২০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করলেও তবে কোনো ক্রমেই ৩০ শতাংশের বেশি করা যাবে না।
ব্যবসা খাতে ২০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করলে উৎপাদন ও সেবা খাতে ঋণ প্রবাহ কমে যাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুটি খাতে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে। সূত্র জানায়, করোনার প্রভাবে সব খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ কারণে প্রণোদনার ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবসা খাতে ঋণের চাহিদা বেশি। কিন্তু এ খাতে বেশি ঋণ দিলে উৎপাদন ও সেবা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশের অর্থনীতিতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে উৎপাদন খাত। এরপরেই রয়েছে সেবা খাত। এ কারণে এ দুটি খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
গত ১৩ এপ্রিল করোনার প্রভাব মোকাবেলায় কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে জোগান দেয়া হবে।
বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা জোগান দেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এর সুদের হার ৯ শতাংশ। তবে গ্রাহককে দিতে হবে ৪ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ সরকার থেকে ভর্তুকি দেয়া হবে।
১৩ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে তহবিল থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মোট ঋণের উৎপাদন খাতে ৫০ শতাংশ, সেবা খাতে ৩০ শতাংশ এবং ব্যবসা খাতে ২০ শতাংশ বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্জন করতে পারছিল না। পরে ৭ আগস্ট উৎপাদন ও সেবা খাতে আলাদাভাবে লক্ষ্যমাত্রা না রেখে দুই খাতে গড়ে ৮০ শতাংশ ঋণ বিতরণের শর্ত আরোপ করা হয়।
তারপরও ঋণের বিতরণের হার কম হওয়ায় আবার তা শিথিল করা হয়।