কোতোয়ালি থানার তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত
সিলেটে রায়হান হত্যা
সিলেট ব্যুরো
২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানার আরও তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন ঘটনার দিন কোতোয়ালি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সৌমেন মৈত্র, রায়হান হত্যা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবদুল বাতেন ভূইয়া এবং ঘটনার সময়ে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এএসআই কুতুব আলী।
এসএমপি কমিশনার নিশারুল আরিফ বুধবার যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসআই আকবর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইন্সপেক্টর সৌমেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করে ক্লোজ করা হয়েছে। বাতেন ও কুতুব আলীকে সিলেট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় আকবরসহ ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দায়িত্বে অবহেলার দায়ে আরও ৫ কর্মকর্তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠানো হয়েছে।
বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ১০ অক্টোবর গভীর রাতে নির্যাতনের পরদিন সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রায়হান। ওই দিনই রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। তখন এসএমপির তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নির্যাতনে সরাসরি অংশ নেয়ার দায়ে বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া, টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে আনার জন্য বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই আশেক এলাহী, কুতুব আলী, কনস্টেবল সজীব হোসেনকে। তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ অক্টোবর ছয় জনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হলেও আকবরকে খুঁজে পায়নি এসএমপি।
এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আকবর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশের কেউ দায়ী কি না তা অনুসন্ধানে ১৯ অক্টোবর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে পুলিশ সদর দফতর। ২৫ অক্টোবর পুলিশ প্রধানের কাছে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি। সেই প্রতিবেদনের সুপারিশ মোতাবেক সৌমেন মৈত্র, আবদুল বাতেন ভূইয়া ও কুতুব উদ্দিনকে বরখাস্তের জন্য এসএমপি উপ-কমিশনার (উত্তর) বরাবর নির্দেশনা পাঠানো হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সিলেটে রায়হান হত্যা
কোতোয়ালি থানার তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত
সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানার আরও তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন ঘটনার দিন কোতোয়ালি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সৌমেন মৈত্র, রায়হান হত্যা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবদুল বাতেন ভূইয়া এবং ঘটনার সময়ে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এএসআই কুতুব আলী।
এসএমপি কমিশনার নিশারুল আরিফ বুধবার যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসআই আকবর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইন্সপেক্টর সৌমেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করে ক্লোজ করা হয়েছে। বাতেন ও কুতুব আলীকে সিলেট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় আকবরসহ ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দায়িত্বে অবহেলার দায়ে আরও ৫ কর্মকর্তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠানো হয়েছে।
বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ১০ অক্টোবর গভীর রাতে নির্যাতনের পরদিন সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রায়হান। ওই দিনই রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। তখন এসএমপির তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নির্যাতনে সরাসরি অংশ নেয়ার দায়ে বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া, টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে আনার জন্য বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই আশেক এলাহী, কুতুব আলী, কনস্টেবল সজীব হোসেনকে। তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ অক্টোবর ছয় জনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হলেও আকবরকে খুঁজে পায়নি এসএমপি।
এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আকবর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশের কেউ দায়ী কি না তা অনুসন্ধানে ১৯ অক্টোবর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে পুলিশ সদর দফতর। ২৫ অক্টোবর পুলিশ প্রধানের কাছে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দেয় তদন্ত কমিটি। সেই প্রতিবেদনের সুপারিশ মোতাবেক সৌমেন মৈত্র, আবদুল বাতেন ভূইয়া ও কুতুব উদ্দিনকে বরখাস্তের জন্য এসএমপি উপ-কমিশনার (উত্তর) বরাবর নির্দেশনা পাঠানো হয়।