কাফরুলে অন্তঃসত্ত্বা সৎমাকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা
যুগান্তর রিপোর্ট
৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর কাফরুলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে সৎ ছেলে ও তার সহযোগীরা। ওই নারীর নাম সীমা বেগম (৩৩)। ঘাতকের নাম নাহিদ শিকদার (২০)। রোববার সকালে কাফরুলের মিরপুর ১৩ নম্বর ইমাননগর সমিতি কলোনির ৫৫/৬/সি নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, দু’জনের দীর্ঘদিনের বিরোধ রোববার চরম আকার ধারণ করে। এ নিয়ে বেলা ১১টার দিকে হাতাহাতি হয়। পরে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে সীমাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সীমার দগ্ধ শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই বাসার সপ্তম তলায় থাকতেন সীমা, তার স্বামী ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান শাহজাহান, সৎ ছেলে নাহিদ এবং নাহিদের স্ত্রী। ফ্ল্যাটটি শাহজাহানের। মিরপুরে ফ্যানের কার্টন তৈরির কারখানা আছে তার। স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেন। সন্ধ্যা ৭টার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, শাহজাহানের প্রথম স্ত্রী গলার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার পর এক বছর আগে সীমাকে বিয়ে করেন তিনি। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তেজগাঁও কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছেলে নাহিদ। প্রায়ই সে সৎমায়ের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হতো।
সীমার ভাই হেলাল শরীফ যুগান্তরকে জানান, শাহজাহানের ছেলে নাহিদ প্রায়ই তার বোনকে নির্যাতন করত। কারণে-অকারণে ঝগড়ার সৃষ্টি করত। ঝগড়া-নির্যাতনের কথা সীমা তাকে (হেলাল শরীফ) জানাত। রোববার সকালেও তার বোনের সঙ্গে নাহিদ ঝগড়া করে। একপর্যায়ে কুপিয়ে আহত করার পর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে নাহিদ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। সহযোগীদের মধ্যে নাহিদের স্ত্রী এবং মামাও ছিল। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতিকে বলেন, আমাদের ফ্ল্যাটে যান। সেখানে মারামারি হচ্ছে। পরে ফ্ল্যাট মালিক সমিতির লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে দরজা আটকানো। ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। দরজা খুলে সীমাকে মৃত অবস্থায় খাটে দেখা যায়। পরে তাকে খবর দেন ফ্ল্যাট মালিক সমিতির লোকজন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাফরুলে অন্তঃসত্ত্বা সৎমাকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা
রাজধানীর কাফরুলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে সৎ ছেলে ও তার সহযোগীরা। ওই নারীর নাম সীমা বেগম (৩৩)। ঘাতকের নাম নাহিদ শিকদার (২০)। রোববার সকালে কাফরুলের মিরপুর ১৩ নম্বর ইমাননগর সমিতি কলোনির ৫৫/৬/সি নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, দু’জনের দীর্ঘদিনের বিরোধ রোববার চরম আকার ধারণ করে। এ নিয়ে বেলা ১১টার দিকে হাতাহাতি হয়। পরে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে সীমাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সীমার দগ্ধ শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই বাসার সপ্তম তলায় থাকতেন সীমা, তার স্বামী ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান শাহজাহান, সৎ ছেলে নাহিদ এবং নাহিদের স্ত্রী। ফ্ল্যাটটি শাহজাহানের। মিরপুরে ফ্যানের কার্টন তৈরির কারখানা আছে তার। স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেন। সন্ধ্যা ৭টার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, শাহজাহানের প্রথম স্ত্রী গলার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার পর এক বছর আগে সীমাকে বিয়ে করেন তিনি। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তেজগাঁও কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছেলে নাহিদ। প্রায়ই সে সৎমায়ের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হতো।
সীমার ভাই হেলাল শরীফ যুগান্তরকে জানান, শাহজাহানের ছেলে নাহিদ প্রায়ই তার বোনকে নির্যাতন করত। কারণে-অকারণে ঝগড়ার সৃষ্টি করত। ঝগড়া-নির্যাতনের কথা সীমা তাকে (হেলাল শরীফ) জানাত। রোববার সকালেও তার বোনের সঙ্গে নাহিদ ঝগড়া করে। একপর্যায়ে কুপিয়ে আহত করার পর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে নাহিদ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। সহযোগীদের মধ্যে নাহিদের স্ত্রী এবং মামাও ছিল। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতিকে বলেন, আমাদের ফ্ল্যাটে যান। সেখানে মারামারি হচ্ছে। পরে ফ্ল্যাট মালিক সমিতির লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে দরজা আটকানো। ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। দরজা খুলে সীমাকে মৃত অবস্থায় খাটে দেখা যায়। পরে তাকে খবর দেন ফ্ল্যাট মালিক সমিতির লোকজন।