এবার জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার
কাশিমপুর কারাগারে নারীসঙ্গ
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কাশিমপুর কারাগার-১-এ বন্দির সঙ্গে নারীর সাক্ষাতের ঘটনায় এবার ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে রোববার তাদেরকে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় এর আগের দিন ডেপুটি জেলার মো. গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এ নিয়ে দুই দিনে পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো।
এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে সদস্য করা হয়। ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে আরও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত জানতে গিয়ে জেল সুপারের কাছে টাকা লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। ১২ জানুয়ারি আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি জেল সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা জানান, অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সহযোগিতা করে জেলার নুর মোহাম্মদ এক লাখ, ডেপুটি জেলার ২৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর ও গেট সহকারী প্রধান কারারক্ষী পাঁচ হাজার টাকা করে ঘুস নিয়েছেন। এ সম্পর্কে জেল সুপার রত্না রায় কিছুই জানেন না বলে দাবি করে আসছিলেন।
কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ৬ জানুয়ারি কারাগারে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রঙের জামা পড়ে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা এক নারী অফিস কক্ষে ঢোকেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নুর মোহাম্মদের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটে। ওই নারীকে ভেতরে নেন ডেপুটি জেলার সাকলাইন। কিছুক্ষণ পর ওই কক্ষে আসেন তুষার। পরে জেল সুপার, জেলার ও ডেপুটি জেলার সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তুষার ও ওই নারী সেখানে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কাশিমপুর কারাগারে নারীসঙ্গ
এবার জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার
কাশিমপুর কারাগার-১-এ বন্দির সঙ্গে নারীর সাক্ষাতের ঘটনায় এবার ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে রোববার তাদেরকে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় এর আগের দিন ডেপুটি জেলার মো. গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এ নিয়ে দুই দিনে পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো।
এ ঘটনায় ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে সদস্য করা হয়। ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে আরও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত জানতে গিয়ে জেল সুপারের কাছে টাকা লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। ১২ জানুয়ারি আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি জেল সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা জানান, অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সহযোগিতা করে জেলার নুর মোহাম্মদ এক লাখ, ডেপুটি জেলার ২৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর ও গেট সহকারী প্রধান কারারক্ষী পাঁচ হাজার টাকা করে ঘুস নিয়েছেন। এ সম্পর্কে জেল সুপার রত্না রায় কিছুই জানেন না বলে দাবি করে আসছিলেন।
কারাগারের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ৬ জানুয়ারি কারাগারে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রঙের জামা পড়ে ঘোরাফেরা করছেন হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা এক নারী অফিস কক্ষে ঢোকেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নুর মোহাম্মদের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটে। ওই নারীকে ভেতরে নেন ডেপুটি জেলার সাকলাইন। কিছুক্ষণ পর ওই কক্ষে আসেন তুষার। পরে জেল সুপার, জেলার ও ডেপুটি জেলার সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তুষার ও ওই নারী সেখানে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন।