স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকসহ ২৫ জন নেবেন প্রথম দিন
টিকাদানের উদ্বোধন বুধবার
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রথম দিন তিনজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স, ১০ জন ভিআইপি নাগরিকসহ মোট ২৫ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং সংগীতজ্ঞও আছেন। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ২৭ জানুয়ারি বুধবার শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম। ওই দিন সকাল ১০টায় কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে টিকাদান শুরু হবে। এখানে যে ২৫ জন প্রথম দিন টিকা নেবেন ইতোমধ্যে তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স, হাসপাতালে কর্মরত একজন আনসার, একজন আউটসোর্সিং কর্মী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন বিভিন্ন পেশার খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব এবং অন্যান্য সাত স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
করোনা টিকা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনের পর ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর চারটি সরকারি হাসপাতালে এবং একটি স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে টিকাদান করা হবে। ইতোমধ্যে এসব হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে আটটি করে স্টেশন করা হবে। প্রত্যেকটি স্টেশনের জন্য দুজন টিকাদান কর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। ইপিআই স্টোরস বা ক্লোড চেইন থেকে টিকা হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। ওই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ জনকে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন এবং বাকি তিনটি হাসপাতাল যথাক্রমে কুর্মিটোলা, কুয়েত মৈত্রী এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব হাসপাতাল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ২৯৪টি টিকাদান কর্মীর দল করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে অর্থাৎ সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য আরও ছয় হাজার ৪২৭টি দল করা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ৬২৩টি টিকাদান দল প্রস্তুত থাকবে। এসব দলে দুজন কর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) এবং মিডিয়া সেলের সদস্য অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৭ তারিখ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে। এরপর ২৮ তারিখ ফার্স্ট রান হিসাবে পাঁচটি হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। তারপর এক সপ্তাহ অপেক্ষা। এদের শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা তা দেখা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে এই পাঁচটি হাসপাতালে কর্মরত সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান শুরু করা হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে নীতিমালা করা হয়েছে সেভাবেই দেওয়া হবে। রাজনীতিবিদ বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আগে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে। এ কারণে প্রথম দফায় অনেক রাজনীতিবিদ টিকা নিতে ইচ্ছুক হলেও দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, পর্যায়ক্রমে রাজনীতিবিদ, বয়স্ক ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য আগ্রহী ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
টিকাদানের উদ্বোধন বুধবার
স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকসহ ২৫ জন নেবেন প্রথম দিন
প্রথম দিন তিনজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স, ১০ জন ভিআইপি নাগরিকসহ মোট ২৫ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং সংগীতজ্ঞও আছেন। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ২৭ জানুয়ারি বুধবার শুরু হবে টিকাদান কার্যক্রম। ওই দিন সকাল ১০টায় কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে টিকাদান শুরু হবে। এখানে যে ২৫ জন প্রথম দিন টিকা নেবেন ইতোমধ্যে তাদের তালিকা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স, হাসপাতালে কর্মরত একজন আনসার, একজন আউটসোর্সিং কর্মী নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন বিভিন্ন পেশার খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব এবং অন্যান্য সাত স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
করোনা টিকা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনের পর ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর চারটি সরকারি হাসপাতালে এবং একটি স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে টিকাদান করা হবে। ইতোমধ্যে এসব হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে আটটি করে স্টেশন করা হবে। প্রত্যেকটি স্টেশনের জন্য দুজন টিকাদান কর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। ইপিআই স্টোরস বা ক্লোড চেইন থেকে টিকা হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। ওই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০০ জনকে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন এবং বাকি তিনটি হাসপাতাল যথাক্রমে কুর্মিটোলা, কুয়েত মৈত্রী এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব হাসপাতাল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ২৯৪টি টিকাদান কর্মীর দল করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে অর্থাৎ সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার জন্য আরও ছয় হাজার ৪২৭টি দল করা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ৬২৩টি টিকাদান দল প্রস্তুত থাকবে। এসব দলে দুজন কর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) এবং মিডিয়া সেলের সদস্য অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৭ তারিখ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে। এরপর ২৮ তারিখ ফার্স্ট রান হিসাবে পাঁচটি হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। তারপর এক সপ্তাহ অপেক্ষা। এদের শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা তা দেখা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে এই পাঁচটি হাসপাতালে কর্মরত সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান শুরু করা হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে নীতিমালা করা হয়েছে সেভাবেই দেওয়া হবে। রাজনীতিবিদ বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আগে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে। এ কারণে প্রথম দফায় অনেক রাজনীতিবিদ টিকা নিতে ইচ্ছুক হলেও দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, পর্যায়ক্রমে রাজনীতিবিদ, বয়স্ক ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য আগ্রহী ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে।