পুলিশ ছাড়াই সমাধানের পরামর্শ
উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে তিনি করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসেন।
এ সময় শাবির চলমান ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গ উঠে আসে। তখন শিক্ষামন্ত্রী কথায় কথায় ক্যাম্পাসে পুলিশ না ডাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া এ ঘটনার রেশ ধরে যাতে অন্য কোনো ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্যাম্পাস খোলা বা বন্ধ রাখা কিংবা অনলাইনে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখতিয়ার দেওয়া হয়।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, মোটা দাগে করোনা ও টিকাদান এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষা পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়।
করোনাকালে বন্ধে শিক্ষা বেশ পিছিয়েছে। বিদেশে কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নেই। যেখানে সরাসরি শ্রেণি ও ল্যাবরেটরি কাজ হচ্ছে না, সেখানে অনলাইন কার্যক্রম চালু আছে। তাই সরকার এখনই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে যাচ্ছে না।
তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজ নিজ সিন্ডিকেটে আলোচনা সাপেক্ষে অনলাইন হোক বা অনসাইট-যে কোনো পন্থায় একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবে। শিক্ষামন্ত্রী সরকারের এ অবস্থানের কথা উপাচার্যদের জানিয়ে দিয়েছেন।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীকসহ ইউজিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
জানা গেছে, বৈঠকে উপাচার্যরা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এবং অন্য জনবল টিকার আওতায় এসেছেন সেই চিত্র তুলে ধরেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে টিকা দেওয়ার হার খুবই বেশি।
আবার জাতীয় এবং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় টিকাদানের ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে। যে কারণে সবমিলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা দেওয়ার হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। বৈঠকে আলোচনা হয়, সংক্রমণ পরিস্থিতির সূত্র অনুযায়ী, প্রতি ৪ জনে একজন বর্তমানে করোনাভাইরাস বহন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কিছু শিক্ষার্থী আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি করোনা পরীক্ষা, মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার ব্যবস্থা, আইসোলেশন সুবিধা ইত্যাদি প্রস্তুত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় উপাচার্যরা ছাত্রদের জন্য টিকার বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করতে শিক্ষামন্ত্রীকে পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রসঙ্গক্রমে শাবি পরিস্থিতি আলোচনা হয়। বিশেষ করে ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের বিষয়টি বেশ সময় ধরে আলোচনা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমদ পরিস্থিতি বৈঠককে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, খুবই একটি ছোট ঘটনা থেকে পরিস্থিতি এ পর্যায়ে এসেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি কথা বলতে যান। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই শান্তিপূর্ণ অবস্থায় তাদের দাবি জানাচ্ছিল। কিন্তু কয়েকজন তার সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে।
এমনকি ধাওয়া দেয়। এ পরিস্থিতিতে তাকে পার্শ্ববর্তী ভবনে যেতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতি কেউ তৈরি করবে তা তিনি ভাবেননি। চিন্তারও বাইরে ছিল। আইসিটি ভবনে পুলিশ উদ্ধার করতে আসে।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান যুগান্তরকে বলেন, শাবির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। ছোট বিষয় দিয়ে শুরু, এখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ চায়। যদিও এটা কোনো সমাধান নয়।
কেননা, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ একজন খুবই দক্ষ উপাচার্য। ৪ বছর শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান চালিয়েছেন। এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন এগিয়ে নিয়েছেন।
ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের যে ঘটনা সেটা অপ্রত্যাশিত। এ ব্যাপারে (অ্যাকশনের) উপাচার্য আদেশও দেননি। সাধারণত শিক্ষার্থীদের এমন ঘটনা প্রক্টর সামাল দেন। তিনি ব্যর্থ হলে সিনিয়র শিক্ষকরা হস্তক্ষেপ করেন।
সবকটি বিকল্প ব্যর্থ হলে পুলিশ ডাকা হয়। তবে এটাও ঠিক যে, পুলিশ দেখলেই ছাত্রদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে অস্থিরতা বাড়ে। শাবির ঘটনাক্রম হয়তো এভাবেই আজকের পর্যায়ে এসেছে।
তবে এ ঘটনা থেকে অন্যদের শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ছাত্রদের বয়স কম। কথায় কথায় পুলিশ না ডেকে নিজেরা বসে সমাধান করতে হবে। দাবি ন্যায্য হলে মেনে নিতে হবে। পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি কখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয় উপাচার্যদের এ ব্যাপারে বলেছে, সরকার চায় ক্যাম্পাস শান্তিপূর্ণ থাকুক। করোনা এবং অস্থিরতা-এ দুই সমস্যা না ঘটুক। কেননা, ঘটে গেলে তা সামলানো কঠিন। আর এমনটি হলে ছাত্ররাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেশনজট বাড়বে। এটা কাম্য নয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক
পুলিশ ছাড়াই সমাধানের পরামর্শ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে তিনি করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসেন।
এ সময় শাবির চলমান ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গ উঠে আসে। তখন শিক্ষামন্ত্রী কথায় কথায় ক্যাম্পাসে পুলিশ না ডাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া এ ঘটনার রেশ ধরে যাতে অন্য কোনো ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্যাম্পাস খোলা বা বন্ধ রাখা কিংবা অনলাইনে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখতিয়ার দেওয়া হয়।
এসব বিষয় নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, মোটা দাগে করোনা ও টিকাদান এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষা পরিস্থিতি আলোচনা করা হয়।
করোনাকালে বন্ধে শিক্ষা বেশ পিছিয়েছে। বিদেশে কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নেই। যেখানে সরাসরি শ্রেণি ও ল্যাবরেটরি কাজ হচ্ছে না, সেখানে অনলাইন কার্যক্রম চালু আছে। তাই সরকার এখনই কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে যাচ্ছে না।
তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজ নিজ সিন্ডিকেটে আলোচনা সাপেক্ষে অনলাইন হোক বা অনসাইট-যে কোনো পন্থায় একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবে। শিক্ষামন্ত্রী সরকারের এ অবস্থানের কথা উপাচার্যদের জানিয়ে দিয়েছেন।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীকসহ ইউজিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
জানা গেছে, বৈঠকে উপাচার্যরা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এবং অন্য জনবল টিকার আওতায় এসেছেন সেই চিত্র তুলে ধরেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে টিকা দেওয়ার হার খুবই বেশি।
আবার জাতীয় এবং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় টিকাদানের ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে। যে কারণে সবমিলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা দেওয়ার হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। বৈঠকে আলোচনা হয়, সংক্রমণ পরিস্থিতির সূত্র অনুযায়ী, প্রতি ৪ জনে একজন বর্তমানে করোনাভাইরাস বহন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কিছু শিক্ষার্থী আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি করোনা পরীক্ষা, মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার ব্যবস্থা, আইসোলেশন সুবিধা ইত্যাদি প্রস্তুত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় উপাচার্যরা ছাত্রদের জন্য টিকার বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করতে শিক্ষামন্ত্রীকে পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রসঙ্গক্রমে শাবি পরিস্থিতি আলোচনা হয়। বিশেষ করে ছাত্রদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের বিষয়টি বেশ সময় ধরে আলোচনা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমদ পরিস্থিতি বৈঠককে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, খুবই একটি ছোট ঘটনা থেকে পরিস্থিতি এ পর্যায়ে এসেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি কথা বলতে যান। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই শান্তিপূর্ণ অবস্থায় তাদের দাবি জানাচ্ছিল। কিন্তু কয়েকজন তার সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে।
এমনকি ধাওয়া দেয়। এ পরিস্থিতিতে তাকে পার্শ্ববর্তী ভবনে যেতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতি কেউ তৈরি করবে তা তিনি ভাবেননি। চিন্তারও বাইরে ছিল। আইসিটি ভবনে পুলিশ উদ্ধার করতে আসে।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান যুগান্তরকে বলেন, শাবির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। ছোট বিষয় দিয়ে শুরু, এখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ চায়। যদিও এটা কোনো সমাধান নয়।
কেননা, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ একজন খুবই দক্ষ উপাচার্য। ৪ বছর শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠান চালিয়েছেন। এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন এগিয়ে নিয়েছেন।
ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের যে ঘটনা সেটা অপ্রত্যাশিত। এ ব্যাপারে (অ্যাকশনের) উপাচার্য আদেশও দেননি। সাধারণত শিক্ষার্থীদের এমন ঘটনা প্রক্টর সামাল দেন। তিনি ব্যর্থ হলে সিনিয়র শিক্ষকরা হস্তক্ষেপ করেন।
সবকটি বিকল্প ব্যর্থ হলে পুলিশ ডাকা হয়। তবে এটাও ঠিক যে, পুলিশ দেখলেই ছাত্রদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে অস্থিরতা বাড়ে। শাবির ঘটনাক্রম হয়তো এভাবেই আজকের পর্যায়ে এসেছে।
তবে এ ঘটনা থেকে অন্যদের শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ছাত্রদের বয়স কম। কথায় কথায় পুলিশ না ডেকে নিজেরা বসে সমাধান করতে হবে। দাবি ন্যায্য হলে মেনে নিতে হবে। পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি কখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয় উপাচার্যদের এ ব্যাপারে বলেছে, সরকার চায় ক্যাম্পাস শান্তিপূর্ণ থাকুক। করোনা এবং অস্থিরতা-এ দুই সমস্যা না ঘটুক। কেননা, ঘটে গেলে তা সামলানো কঠিন। আর এমনটি হলে ছাত্ররাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেশনজট বাড়বে। এটা কাম্য নয়।