র্যাব সম্পর্কে জাতিসংঘে চিঠি লজ্জার ব্যাপার : মোশাররফ
যুগান্তর প্রতিবেদন
২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
র্যাব সম্পর্কে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘে যে চিঠি দিয়েছে তা লজ্জার ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ওই চিটিতে বলা হয়েছে, পিস মিশনে বাংলাদেশ থেকে র্যাবের কোনো কর্মকর্তা, কোনো সদস্য যেন যেতে না পারে। এটা অবশ্যই লজ্জার ব্যাপার। আজ সারা দুনিয়া জেনে গেছে বাংলাদেশে কোনো মানবাধিকার নেই। বর্তমান সরকার দেশকে এভাবেই বিশ্বের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করছে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তর-দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সভা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল নিপীড়ন-নির্যাতন করে মুখ বন্ধ করে রেখে আমরা বোধহয় পার পেয়ে গেছি। পার পেয়েছে? কিন্তু বিশ্ব জানে এ দেশে কোনো মানবাধিকার নেই। সেজন্য ইউএস ট্রেজারি থেকে বাংলাদেশের একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কতগুলো হাই-অফিসিয়ালের উপরে একই নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এটা কিন্তু গৌরবের বিষয় নয়, জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জার বিষয়। গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার সবকিছু করছে।
দেশের জনগণকে শোষণ করতে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের আরেকটি অস্ত্র-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির একটা প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে যেখানে দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা ছিল, এখন প্রস্তাব করা হয়েছে ২১০০ টাকা। এক চুলার দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ২০০০ টাকা। তার মানে প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না, মেনে নেওয়া হবে না।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কিছু দিন আগে তারা জ্বালানি তেল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে আজকে বড় বড় প্রজেক্ট করছে। বড় বড় কমিশন নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়, তাদের কোনো ম্যান্ডেট নেই। আর নয়, এসব অনাচার-অন্যায় থেকে রক্ষা পেতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সে লক্ষ্যে কাজ করি।
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার নিজের ইচ্ছায় যায় না, ধাক্কা দিতে হয়। পাকিস্তানের সময় আমাদের এ উদাহরণ আছে। এ দেশের মানুষ পারে। আইয়ুব খানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে পেরেছে। মুক্তিযুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের এ দেশ থেকে বিদায় করতে পেরেছে। আমরা আশাবাদী এ দেশের মানুষ ঠিক একইভাবে আজকের স্বৈরাচারকে উৎখাত করে দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করবে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ-দর্শনকে বাংলাদেশে আবার আমরা বাস্তবায়ন করব।
মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য-সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য-সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন-মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলের শাহ নেসারুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
র্যাব সম্পর্কে জাতিসংঘে চিঠি লজ্জার ব্যাপার : মোশাররফ
র্যাব সম্পর্কে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘে যে চিঠি দিয়েছে তা লজ্জার ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ওই চিটিতে বলা হয়েছে, পিস মিশনে বাংলাদেশ থেকে র্যাবের কোনো কর্মকর্তা, কোনো সদস্য যেন যেতে না পারে। এটা অবশ্যই লজ্জার ব্যাপার। আজ সারা দুনিয়া জেনে গেছে বাংলাদেশে কোনো মানবাধিকার নেই। বর্তমান সরকার দেশকে এভাবেই বিশ্বের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করছে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তর-দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সভা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করেছিল নিপীড়ন-নির্যাতন করে মুখ বন্ধ করে রেখে আমরা বোধহয় পার পেয়ে গেছি। পার পেয়েছে? কিন্তু বিশ্ব জানে এ দেশে কোনো মানবাধিকার নেই। সেজন্য ইউএস ট্রেজারি থেকে বাংলাদেশের একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কতগুলো হাই-অফিসিয়ালের উপরে একই নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এটা কিন্তু গৌরবের বিষয় নয়, জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জার বিষয়। গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার সবকিছু করছে।
দেশের জনগণকে শোষণ করতে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের আরেকটি অস্ত্র-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির একটা প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে যেখানে দুই চুলার গ্যাসের দাম ৯৭৫ টাকা ছিল, এখন প্রস্তাব করা হয়েছে ২১০০ টাকা। এক চুলার দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ২০০০ টাকা। তার মানে প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না, মেনে নেওয়া হবে না।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কিছু দিন আগে তারা জ্বালানি তেল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে আজকে বড় বড় প্রজেক্ট করছে। বড় বড় কমিশন নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়, তাদের কোনো ম্যান্ডেট নেই। আর নয়, এসব অনাচার-অন্যায় থেকে রক্ষা পেতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সে লক্ষ্যে কাজ করি।
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচার নিজের ইচ্ছায় যায় না, ধাক্কা দিতে হয়। পাকিস্তানের সময় আমাদের এ উদাহরণ আছে। এ দেশের মানুষ পারে। আইয়ুব খানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে পেরেছে। মুক্তিযুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের এ দেশ থেকে বিদায় করতে পেরেছে। আমরা আশাবাদী এ দেশের মানুষ ঠিক একইভাবে আজকের স্বৈরাচারকে উৎখাত করে দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করবে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ-দর্শনকে বাংলাদেশে আবার আমরা বাস্তবায়ন করব।
মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য-সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য-সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন-মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলের শাহ নেসারুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।