১৪ কোটির বেশি মানুষকে দেওয়া হয়েছে টিকা
jugantor
সংসদে প্রধানমন্ত্রী
১৪ কোটির বেশি মানুষকে দেওয়া হয়েছে টিকা

  সংসদ প্রতিবেদক  

২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসাবে টিকায় অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার।

এ লক্ষ্যে প্রথম থেকেই টিকা সংগ্রহে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে বিনামূল্যে কোভিড টিকা কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যাবধি অব্যাহত আছে।

বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান তিনি। আহসানুল ইসলামের (টিটু) এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী ৮ কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির পরিস্থিতি বিবেচনা করে, বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা প্রতিরোধে দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে দেশব্যাপী প্রায় ৭১৮টি স্থায়ী কেন্দ্রে, ৬০৫৮টি অস্থায়ী/ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে এবং ১৩ হাজার ৯৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মার্চের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম চালু হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নৈরাশ্যবাদীদের সব ভ্রান্ত ধারণাকে অমূলক প্রমাণ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার পর তার সরকার বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে-স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বৈশ্বিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার প্রেফারেন্সিয়াল মার্কেট অ্যাক্সেস অ্যান্ড ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বিষয়ে কৌশলপত্র এবং সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ। এ লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে ১০টি দেশ ও ৩টি জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে-ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, মালয়েশিয়া এবং আশিয়ান অর্থনৈতিক জোট, মার্কোসর জোট ও ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক জোট। এছাড়া তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, মরিশাস, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরালিওন, কেনিয়া ও জিসিসিভুক্ত দেশের সঙ্গে পিটিএ/এফটিএ/সেপা নেগোশিয়েশন কার্যক্রম পরিচালনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাশাপাশি ডব্লিওটিওতে উত্তরণকারী দেশগুলোর জন্য বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএম), বিশেষ করে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও বিভিন্ন ডব্লিওটিও থেকে অব্যাহতি সুবিধা, বেশ কয়েক বছরের জন্য উত্তরণের পরও যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

১৪ কোটির বেশি মানুষকে দেওয়া হয়েছে টিকা

 সংসদ প্রতিবেদক 
২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পরপরই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসাবে টিকায় অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার।

এ লক্ষ্যে প্রথম থেকেই টিকা সংগ্রহে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে দেশব্যাপী ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে বিনামূল্যে কোভিড টিকা কার্যক্রম শুরু হয় এবং অদ্যাবধি অব্যাহত আছে।

বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান তিনি। আহসানুল ইসলামের (টিটু) এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী ৮ কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৮৩৪ জনকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার ৮১২ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৬৫ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির পরিস্থিতি বিবেচনা করে, বাংলাদেশ সরকারও চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও বিদেশগামী কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা প্রতিরোধে দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে দেশব্যাপী প্রায় ৭১৮টি স্থায়ী কেন্দ্রে, ৬০৫৮টি অস্থায়ী/ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে এবং ১৩ হাজার ৯৬৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মার্চের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম চালু হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নৈরাশ্যবাদীদের সব ভ্রান্ত ধারণাকে অমূলক প্রমাণ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার পর তার সরকার বৈশ্বিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে-স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বৈশ্বিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার প্রেফারেন্সিয়াল মার্কেট অ্যাক্সেস অ্যান্ড ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বিষয়ে কৌশলপত্র এবং সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ। এ লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রাথমিকভাবে ১০টি দেশ ও ৩টি জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে-ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, মালয়েশিয়া এবং আশিয়ান অর্থনৈতিক জোট, মার্কোসর জোট ও ইউরেশিয়া অর্থনৈতিক জোট। এছাড়া তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, মরক্কো, মরিশাস, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরালিওন, কেনিয়া ও জিসিসিভুক্ত দেশের সঙ্গে পিটিএ/এফটিএ/সেপা নেগোশিয়েশন কার্যক্রম পরিচালনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাশাপাশি ডব্লিওটিওতে উত্তরণকারী দেশগুলোর জন্য বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজার্স (আইএসএম), বিশেষ করে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও বিভিন্ন ডব্লিওটিও থেকে অব্যাহতি সুবিধা, বেশ কয়েক বছরের জন্য উত্তরণের পরও যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপের মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন