উত্তরা থেকে মতিঝিল এক সুতোয় গাঁথা
বসল মেট্রোরেলের শেষ ভায়াডাক্ট
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সর্বশেষ ভায়াডাক্ট যুক্ত করা হয়। এর মধ্যদিয়ে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেলের চলাচলের পথ এক সুতোয় যুক্ত হলো। এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক এ তথ্য জানান।
সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিয়ারের মাঝে সর্বশেষ ভায়াডাক্টটি বসানো হয়। পিয়ারগুলোর উপরে যে কংক্রিটের কাঠামো বসিয়ে যোগসূত্র তৈরি করা হয় সেটিকে ভায়াডাক্ট বলে। ভায়াডাক্টের উপর বসবে রেললাইন, তার উপর দিয়ে চলবে বৈদ্যুতিক ট্রেন বা মেট্রোট্রেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিক বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ করছি। তবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যসব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতো মেট্রোরেল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট শতাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মেট্রোরেলের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এমআরটি-৬ এর বর্ধিতাংশ বা মতিঝিল থেকে কমলাপুরের জমি অধিগ্রহণের কাজ আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে। এরপর ওই অংশের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। আর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২৩-এর ডিসেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের মেট্রোট্রেনের চলাচল শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, শুধু যাত্রী পরিবহণ করে মেট্রোট্রেন লাভজনক করা যায় না। প্রকল্প লাভজনক করতে আনুষঙ্গিক আয়ের কিছু খাত তৈরি করতে হয়। মেট্রোরেল প্রকল্প শুরুর সময় দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে মেট্রোপ্লাজা, টিওডি এবং মেট্রো স্টেশন করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু এগুলো প্রথম দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্পভুক্ত করা হয়নি। এগুলো এখন প্রকল্পে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য এসব কাজ বাস্তবায়ন ও জমি অধিগ্রহণ করতে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
বর্তমান মেট্রোরেল প্রকল্পের আকার প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। নতুন ব্যয় যুক্ত হলে এ প্রকল্পের আকার দাঁড়াবে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বসল মেট্রোরেলের শেষ ভায়াডাক্ট
উত্তরা থেকে মতিঝিল এক সুতোয় গাঁথা
রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সর্বশেষ ভায়াডাক্ট যুক্ত করা হয়। এর মধ্যদিয়ে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার মেট্রোরেলের চলাচলের পথ এক সুতোয় যুক্ত হলো। এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক এ তথ্য জানান।
সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিয়ারের মাঝে সর্বশেষ ভায়াডাক্টটি বসানো হয়। পিয়ারগুলোর উপরে যে কংক্রিটের কাঠামো বসিয়ে যোগসূত্র তৈরি করা হয় সেটিকে ভায়াডাক্ট বলে। ভায়াডাক্টের উপর বসবে রেললাইন, তার উপর দিয়ে চলবে বৈদ্যুতিক ট্রেন বা মেট্রোট্রেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিক বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ করছি। তবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যসব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতো মেট্রোরেল প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট শতাধিক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মেট্রোরেলের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এমআরটি-৬ এর বর্ধিতাংশ বা মতিঝিল থেকে কমলাপুরের জমি অধিগ্রহণের কাজ আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে। এরপর ওই অংশের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। আর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২৩-এর ডিসেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের মেট্রোট্রেনের চলাচল শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, শুধু যাত্রী পরিবহণ করে মেট্রোট্রেন লাভজনক করা যায় না। প্রকল্প লাভজনক করতে আনুষঙ্গিক আয়ের কিছু খাত তৈরি করতে হয়। মেট্রোরেল প্রকল্প শুরুর সময় দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে মেট্রোপ্লাজা, টিওডি এবং মেট্রো স্টেশন করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু এগুলো প্রথম দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্পভুক্ত করা হয়নি। এগুলো এখন প্রকল্পে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এজন্য এসব কাজ বাস্তবায়ন ও জমি অধিগ্রহণ করতে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
বর্তমান মেট্রোরেল প্রকল্পের আকার প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। নতুন ব্যয় যুক্ত হলে এ প্রকল্পের আকার দাঁড়াবে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা।