রিফাত নৌকা সাক্কু টেবিল ঘড়ি, কায়সার ঘোড়া
কুসিক নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ
আবুল খায়ের, কুমিল্লা
২৮ মে ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রসহ ১৪৭ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল পদে ৩৬ জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন নৌকা, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি, নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল হরিণ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম পেয়েছেন হাতপাখা।
প্রতীক পাওয়ার পর বিকাল ৩টা থেকে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন কায়সার এবং বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করেন। এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর ইভিএম নিয়ে আবারও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুরুতেই পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। মেয়র প্রার্থীরা গুটিকয়েক লোক নিয়ে প্রতীক বরাদ্দ নিতে এলেও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এসেছেন শত শত কর্মী সমর্থক নিয়ে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের ভিড় সামলাতে শিল্পকলা একাডেমির সামনে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
প্রতীক পাওয়ার পর বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার যুগান্তরকে বলেন, এ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান। কমিশন কতটা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে সেটা কুসিক নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে। এর আগে আমি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমিশনের কাছে সাত দফা প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কমিশনকে এখনো কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।
তিনি বলেন, ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে আমার অনেক সন্দেহ রয়েছে। আমরা নির্বাচনের মাঠে থেকে সার্বিক বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। কায়সার বিকালে নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া ইপিজেড, পদুয়ার বাজার ও নোয়াগাঁও চৌমুহনী এলাকায় গণসংযোগ করেন।
সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু যুগান্তরকে বলেন, ইভিএম নিয়ে আমি শঙ্কিত, এ পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হবে কিনা তা আমার জানা নেই। এ ছাড়া প্রশাসন কতটুকু স্বচ্ছ থাকবে সেটা দেখার বিষয়। আমার বিশ্বাস নতুন নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করার জন্য আসন্ন কুসিক নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করবে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কারও শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের নিরপেক্ষতা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করব। তিনি বলেন, আচরণবিধি মনিটরিং করার জন্য ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে করছে। সব প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নগরীতে বিপুলসংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার দুই লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। আগামী ১৫ জুন ১০৫টি কেন্দে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কুসিক নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ
রিফাত নৌকা সাক্কু টেবিল ঘড়ি, কায়সার ঘোড়া

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রসহ ১৪৭ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল পদে ৩৬ জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন নৌকা, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি, নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল হরিণ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম পেয়েছেন হাতপাখা।
প্রতীক পাওয়ার পর বিকাল ৩টা থেকে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন কায়সার এবং বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু করেন। এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর ইভিএম নিয়ে আবারও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুরুতেই পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। মেয়র প্রার্থীরা গুটিকয়েক লোক নিয়ে প্রতীক বরাদ্দ নিতে এলেও কাউন্সিলর প্রার্থীরা এসেছেন শত শত কর্মী সমর্থক নিয়ে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের ভিড় সামলাতে শিল্পকলা একাডেমির সামনে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
প্রতীক পাওয়ার পর বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার যুগান্তরকে বলেন, এ সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান। কমিশন কতটা নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে সেটা কুসিক নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে। এর আগে আমি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমিশনের কাছে সাত দফা প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কমিশনকে এখনো কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।
তিনি বলেন, ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে আমার অনেক সন্দেহ রয়েছে। আমরা নির্বাচনের মাঠে থেকে সার্বিক বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। কায়সার বিকালে নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া ইপিজেড, পদুয়ার বাজার ও নোয়াগাঁও চৌমুহনী এলাকায় গণসংযোগ করেন।
সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু যুগান্তরকে বলেন, ইভিএম নিয়ে আমি শঙ্কিত, এ পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হবে কিনা তা আমার জানা নেই। এ ছাড়া প্রশাসন কতটুকু স্বচ্ছ থাকবে সেটা দেখার বিষয়। আমার বিশ্বাস নতুন নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণ করার জন্য আসন্ন কুসিক নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করবে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কারও শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের নিরপেক্ষতা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করব। তিনি বলেন, আচরণবিধি মনিটরিং করার জন্য ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে করছে। সব প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নগরীতে বিপুলসংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার দুই লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। আগামী ১৫ জুন ১০৫টি কেন্দে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।