বেঁচে যাওয়া সবাই মাইক্রোবাসের পেছনে ছিলেন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
৩১ জুলাই ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মীরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বেঁচে যাওয়া ৭ জনই দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের পেছনের দিকের সিটে বসেছিলেন। লেভেল ক্রসিং পার হয়ে মাইক্রোবাসটি যখন রেললাইনে উঠে যায়, সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির মাঝখানে সজোরে ধাক্কা দেয় মহানগর প্রভাতী ট্রেন। এতে মাইক্রোবাসের পেছনের দরজা (ব্যাক ডোর) খুলে যায়। এতে পেছনে বসা সবাই তখন গাড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলেন।
শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৪ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জুনায়েদ কায়সার ইমন তার বেঁচে ফেরার অভিজ্ঞতা এমনভাবেই বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, তার বেঁচে যাওয়াটা এখনো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।
এদিকে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে তাছমীর পাভেল নামে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। শুক্রবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে জুনায়েদ কায়সার ইমনের শরীরের বিভিন্নস্থানে কেটে গেলেও তার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলতে পারছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ইমন বলেন, লেভেল ক্রসিংয়ে বার না থাকায় আমাদের ড্রাইভার রেললাইনে উঠে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসের মাঝ বরাবর ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এ সময় গাড়ির পেছনের দরজা খুলে যাওয়ায় আমিসহ পেছনে বসা সবাই নিচে পড়ে যাই। এতে বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাই আমরা। চমেক হাসপাতাল পরিচালক শামীম আহসান যুগান্তরকে বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে প্রায় সবাই কম-বেশি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর অবস্থা তিনজনের। পাভেল নামের একজনের অবস্থার অবনতি হলে সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বাকি দুজন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এছাড়া অন্য তিনজনের শরীরের একাধিক স্থানের হাড় ভেঙে গেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বেঁচে যাওয়া সবাই মাইক্রোবাসের পেছনে ছিলেন
মীরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বেঁচে যাওয়া ৭ জনই দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের পেছনের দিকের সিটে বসেছিলেন। লেভেল ক্রসিং পার হয়ে মাইক্রোবাসটি যখন রেললাইনে উঠে যায়, সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির মাঝখানে সজোরে ধাক্কা দেয় মহানগর প্রভাতী ট্রেন। এতে মাইক্রোবাসের পেছনের দরজা (ব্যাক ডোর) খুলে যায়। এতে পেছনে বসা সবাই তখন গাড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলেন।
শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৪ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জুনায়েদ কায়সার ইমন তার বেঁচে ফেরার অভিজ্ঞতা এমনভাবেই বর্ণনা করেছেন। বলেছেন, তার বেঁচে যাওয়াটা এখনো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।
এদিকে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে তাছমীর পাভেল নামে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। শুক্রবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে জুনায়েদ কায়সার ইমনের শরীরের বিভিন্নস্থানে কেটে গেলেও তার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলতে পারছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ইমন বলেন, লেভেল ক্রসিংয়ে বার না থাকায় আমাদের ড্রাইভার রেললাইনে উঠে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসের মাঝ বরাবর ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এ সময় গাড়ির পেছনের দরজা খুলে যাওয়ায় আমিসহ পেছনে বসা সবাই নিচে পড়ে যাই। এতে বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাই আমরা। চমেক হাসপাতাল পরিচালক শামীম আহসান যুগান্তরকে বলেন, ‘ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে প্রায় সবাই কম-বেশি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর অবস্থা তিনজনের। পাভেল নামের একজনের অবস্থার অবনতি হলে সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বাকি দুজন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এছাড়া অন্য তিনজনের শরীরের একাধিক স্থানের হাড় ভেঙে গেছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’