আলাদা পথেই হাঁটবে বিভক্ত গণফোরাম
ঐক্যের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে অবশেষে প্রতিষ্ঠার ২৯ বছরের মাথায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্র্যাকেটবন্দি হলো গণফোরাম। নেতৃত্বের প্রশ্নে মতবিরোধ, পালটাপালটি বহিষ্কার, একাংশের আলাদা কমিটি গঠনের পরও বেশ কিছুদিন ধরে নেপথ্যে একটি সমঝোতার উদ্যোগ ছিল দলটির শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু কোনো উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে সামনে রেখে চলা এই প্রস্তুতির ছেদ ঘটল দিনশেষে।
শনিবার ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি এবং ডা. মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির ১০১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণার পর ১০১ সদস্যের নাম পড়ে শোনান নতুন সাধারণ সম্পাদক। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবেই ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে আলাদা কমিটি গঠন করেন দলটির বিক্ষুব্ধ অংশের নেতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।
গণফোরাম থেকে বেরিয়ে গিয়ে একটি অংশের আলাদা কমিটি গঠন প্রসঙ্গে ওই সময় দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ড. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলে অনেক সময় নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এটি অভ্যন্তরীণ। অচিরেই এসব ঠিক হয়ে যাবে। সবাই মিলেই আমরা একসঙ্গে পথ চলব।’ অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ অংশের নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছিলেন, ‘ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে আছেন। তিনি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা তাকে অভিভাবক মেনেই পথ চলব আগামী দিনে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. কামাল হোসেন ও মোস্তফা মহসিন মন্টুর এমন বক্তব্যের পর দুই পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতার পথ বাতলে নতুন করে পথচলার উদ্যোগ ছিল দলটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। করোনা মহামারির মধ্যেই এ নিয়ে নানা দফায় আলাপ-আলোচনাও চলে। বিশেষ করে এই বিভেদের সূত্রপাত যাকে কেন্দ্র করে, সেই সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়ার গণফোরাম ছেড়ে যাওয়া এবং নতুন আরেকটি দলের প্রধান হওয়ার পর ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগটি পুরোদমে এগোতে থাকে। কিন্তু কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই ড. কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে এবং তাকে সভাপতি পদে রেখেই ১০১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আলাদা পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল গণফোরামের দুই অংশ।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে উনি (ড. কামাল হোসেন) এই বয়সে আবারও ছেলেমানুষি করেছেন। অতীতের সব ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করে গণফোরামকে তিনি চারভাগে বিভক্ত করলেন। এই বিভক্তির মূল নায়ক তিনি নিজেই। গণফোরামের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তার এসব পদক্ষেপের কারণে আরও হতাশাগ্রস্ত করবে, যা মোটেই কাম্য ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওনার মতো একজন প্রবীণ রাজনীতিকের কাছ আমরা আশা করেছিলাম, দলের সব পক্ষকে নিয়ে তিনি বসবেন। নিজেদের মধ্যে যে কিছুটা ভুলভ্রান্তি হয়েছিল, তা অবসানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু তিনি তা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত কমিটির সভাপতি পরিষদ সদস্য, দলটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক আহমেদ এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, ‘যারা চলে গেছেন, তাদের বাদ দিয়েই আমরা নতুন করে যাত্রা শুরু করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা। আমরা তার নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা রেখে পথচলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা চলে গেছেন, তাদের নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি। রাখার সুযোগও নেই। আশা করছি, নবযাত্রায় গণফোরাম নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে।’
আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৯২ সালের ২৯ আগস্ট গণফোরাম নামে আলাদা রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন ড. কামাল হোসেন। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) থেকে বেরিয়ে আসা সাইফউদ্দিন আহম্মেদ মানিক। এভাবেই চলতে থাকে দলটি। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর শীর্ষ নেতা হন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। নির্বাচনে মাত্র একটি আসন পায় দলটি। তবে এই নির্বাচনের পর বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনসহ নানা ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ সংকট তৈরি হয় গণফোরামের ভেতরে।
এর মধ্যে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ২০১৯ সালের ২৬ মে অনুষ্ঠিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দলটিতে টানাপোড়েন প্রকাশ্যে আসে। ওই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সরিয়ে দলের নবাগত ড. রেজা কিবরিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বহিষ্কার-পালটা বহিষ্কারের পথ ধরে ভাঙনের মুখে হাঁটতে থাকে গণফোরাম। সম্মেলনের পরপরই দলটির শীর্ষ নেতারা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে আলটিমেটাম দিয়ে আলাদা আলাদা কাউন্সিল আয়োজনেরও উদ্যোগ নেয়। এ অবস্থায় ড. রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে দেওয়াসহ কমিটি বাতিল করে দিয়ে ড. কামাল হোসেন ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেন তার দলকে। তবে এতসবেও শেষরক্ষা হয়নি। কিছুদিন না যেতেই ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে আলাদা কমিটি গঠন করেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। বিক্ষুব্ধদের বাদ দিয়ে শনিবার ঘোষিত হলো আরেকটি নতুন কমিটি।
ড. কামাল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান : ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি পদে রেখে ঘোষিত গণফোরামের কমিটিতে সভাপতি পরিষদ সদস্য হয়েছেন এএইচএম খালেদুজ্জামান, ড. কামাল হোসেন, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এসএম আলতাফ হোসেন, সংসদ-সদস্য মোকাব্বির খান, আবদুল আজিজ, শান্তিপদ ঘোষ, আ ও ম শফিকউল্লাহ, মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ, মোমেন চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ, ডা. আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ, সেলিম আকবর, সুরাইয়া বেগম, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, হারুনুর রশীদ তালুকদার, ইসমাইল হোসেন ও ফরিদা ইয়াছমিন। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন শাহ মো. নূরুজ্জামান। যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দুজন হলেন মো. মাহফুজুর রহমান ও শফিউর রহমান খান বাচ্চু।
আলাদা পথেই হাঁটবে বিভক্ত গণফোরাম
শেখ মামুনুর রশীদ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ঐক্যের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে অবশেষে প্রতিষ্ঠার ২৯ বছরের মাথায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্র্যাকেটবন্দি হলো গণফোরাম। নেতৃত্বের প্রশ্নে মতবিরোধ, পালটাপালটি বহিষ্কার, একাংশের আলাদা কমিটি গঠনের পরও বেশ কিছুদিন ধরে নেপথ্যে একটি সমঝোতার উদ্যোগ ছিল দলটির শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু কোনো উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেনকে সামনে রেখে চলা এই প্রস্তুতির ছেদ ঘটল দিনশেষে।
শনিবার ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি এবং ডা. মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির ১০১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণার পর ১০১ সদস্যের নাম পড়ে শোনান নতুন সাধারণ সম্পাদক। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবেই ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে আলাদা কমিটি গঠন করেন দলটির বিক্ষুব্ধ অংশের নেতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।
গণফোরাম থেকে বেরিয়ে গিয়ে একটি অংশের আলাদা কমিটি গঠন প্রসঙ্গে ওই সময় দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ড. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলে অনেক সময় নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এটি অভ্যন্তরীণ। অচিরেই এসব ঠিক হয়ে যাবে। সবাই মিলেই আমরা একসঙ্গে পথ চলব।’ অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ অংশের নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেছিলেন, ‘ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে আছেন। তিনি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা তাকে অভিভাবক মেনেই পথ চলব আগামী দিনে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. কামাল হোসেন ও মোস্তফা মহসিন মন্টুর এমন বক্তব্যের পর দুই পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতার পথ বাতলে নতুন করে পথচলার উদ্যোগ ছিল দলটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। করোনা মহামারির মধ্যেই এ নিয়ে নানা দফায় আলাপ-আলোচনাও চলে। বিশেষ করে এই বিভেদের সূত্রপাত যাকে কেন্দ্র করে, সেই সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়ার গণফোরাম ছেড়ে যাওয়া এবং নতুন আরেকটি দলের প্রধান হওয়ার পর ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগটি পুরোদমে এগোতে থাকে। কিন্তু কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই ড. কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে এবং তাকে সভাপতি পদে রেখেই ১০১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে আলাদা পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল গণফোরামের দুই অংশ।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে উনি (ড. কামাল হোসেন) এই বয়সে আবারও ছেলেমানুষি করেছেন। অতীতের সব ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করে গণফোরামকে তিনি চারভাগে বিভক্ত করলেন। এই বিভক্তির মূল নায়ক তিনি নিজেই। গণফোরামের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তার এসব পদক্ষেপের কারণে আরও হতাশাগ্রস্ত করবে, যা মোটেই কাম্য ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওনার মতো একজন প্রবীণ রাজনীতিকের কাছ আমরা আশা করেছিলাম, দলের সব পক্ষকে নিয়ে তিনি বসবেন। নিজেদের মধ্যে যে কিছুটা ভুলভ্রান্তি হয়েছিল, তা অবসানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু তিনি তা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।
অন্যদিকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত কমিটির সভাপতি পরিষদ সদস্য, দলটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক আহমেদ এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, ‘যারা চলে গেছেন, তাদের বাদ দিয়েই আমরা নতুন করে যাত্রা শুরু করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা। আমরা তার নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা রেখে পথচলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা চলে গেছেন, তাদের নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি। রাখার সুযোগও নেই। আশা করছি, নবযাত্রায় গণফোরাম নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে।’
আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসে ১৯৯২ সালের ২৯ আগস্ট গণফোরাম নামে আলাদা রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন ড. কামাল হোসেন। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) থেকে বেরিয়ে আসা সাইফউদ্দিন আহম্মেদ মানিক। এভাবেই চলতে থাকে দলটি। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর শীর্ষ নেতা হন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। নির্বাচনে মাত্র একটি আসন পায় দলটি। তবে এই নির্বাচনের পর বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনসহ নানা ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ সংকট তৈরি হয় গণফোরামের ভেতরে।
এর মধ্যে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ২০১৯ সালের ২৬ মে অনুষ্ঠিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দলটিতে টানাপোড়েন প্রকাশ্যে আসে। ওই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সরিয়ে দলের নবাগত ড. রেজা কিবরিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বহিষ্কার-পালটা বহিষ্কারের পথ ধরে ভাঙনের মুখে হাঁটতে থাকে গণফোরাম। সম্মেলনের পরপরই দলটির শীর্ষ নেতারা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে আলটিমেটাম দিয়ে আলাদা আলাদা কাউন্সিল আয়োজনেরও উদ্যোগ নেয়। এ অবস্থায় ড. রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে দেওয়াসহ কমিটি বাতিল করে দিয়ে ড. কামাল হোসেন ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেন তার দলকে। তবে এতসবেও শেষরক্ষা হয়নি। কিছুদিন না যেতেই ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে আলাদা কমিটি গঠন করেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। বিক্ষুব্ধদের বাদ দিয়ে শনিবার ঘোষিত হলো আরেকটি নতুন কমিটি।
ড. কামাল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান : ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি পদে রেখে ঘোষিত গণফোরামের কমিটিতে সভাপতি পরিষদ সদস্য হয়েছেন এএইচএম খালেদুজ্জামান, ড. কামাল হোসেন, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এসএম আলতাফ হোসেন, সংসদ-সদস্য মোকাব্বির খান, আবদুল আজিজ, শান্তিপদ ঘোষ, আ ও ম শফিকউল্লাহ, মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ, মোমেন চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ, ডা. আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ, সেলিম আকবর, সুরাইয়া বেগম, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, হারুনুর রশীদ তালুকদার, ইসমাইল হোসেন ও ফরিদা ইয়াছমিন। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন শাহ মো. নূরুজ্জামান। যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দুজন হলেন মো. মাহফুজুর রহমান ও শফিউর রহমান খান বাচ্চু।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023