নেইমারের হাতে স্বপ্নের মশাল

২০০২ সালে ব্রাজিল যেবার পঞ্চম ও শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছিল, নেইমারের বয়স তখন ১০ বছর।
বাবার সঙ্গে টিভি সেটের সামনে বসে দেখেছিলেন ব্রাজিল-জার্মানি ফাইনাল। সিউলে রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনহোদের শিরোপা উৎসবের ছবিটা ছোট্ট নেইমারের মনে গেঁথে যায়। সেই থেকে তার স্বপ্ন, বিশ্বসেরার মুকুট নিজেও একদিন উঁচিয়ে ধরবেন।
এরপর কেটে গেছে ২০ বছর। পেরিয়ে গেছে চারটি বিশ্বকাপ। শেষ দুবার নেইমার নিজেই ছিলেন দলের স্বপ্নসারথি। কিন্তু একবারও ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেনি পেলের দেশ। হতাশার চাদর সরিয়ে আরও একবার নেইমারের হাতে স্বপ্নের মশাল তুলে দিয়ে কাতার বিশ্বকাপে পরম আরাধ্য ‘হেক্সা’ (ষষ্ঠ শিরোপা) জয়ের অভিযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ব্রাজিল।
দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় সার্বিয়ার মুখোমুখি হবে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই মাঠেই গত পরশু মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে সৌদি আরব। ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকলেও তাই সার্বিয়াকে নিয়ে সতর্ক ব্রাজিল। গত বিশ্বকাপে ইউরোপের দলটিকে তারা হারিয়েছিল ২-০ গোলে।
ফর্ম ও স্কোয়াডের গভীরতার কারণে ব্রাজিলকে এবার শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার ভাবা হচ্ছে। অঘটনের আশায় প্রথম ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নিতে পারে সার্বিয়া। ব্রাজিলীয় মিডিয়ার দাবি, সেই রক্ষণ দেওয়াল ভাঙতে আজ একাদশে চার ফরোয়ার্ড খেলাবেন সেলেকাও কোচ তিতে। আক্রমণভাগে নেইমারের সঙ্গে থাকবেন রিচার্লিসন, রাফিনিয়া ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে আসা রাফিনিয়াও বললেন, আক্রমণই হবে তাদের শেষ কথা, ‘ডিএনএ’র কারণেই আমরা আক্রমণাত্মক দল। আক্রমণভাগে যত বেশি খেলোয়াড় থাকে, ততই ভালো।’
১৯৯৮ আসরের পর বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে কখনো হারেনি ব্রাজিল। এই পর্যায়ে টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত তারা। বিপরীতে বিশ্বকাপে শেষ নয় ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে সার্বিয়া। শতভাগ ফিট না হওয়ায় আজ শুরুর একাদশে হয়তো দেখা যাবে না সার্বিয়ার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা আলেকসান্দার মিত্রোভিচকে। সব মিলিয়ে রুসাইলে আরেকটি ভূমিকম্পের সম্ভাবনা ক্ষীণ!
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০০২ সালে ব্রাজিল যেবার পঞ্চম ও শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছিল, নেইমারের বয়স তখন ১০ বছর।
বাবার সঙ্গে টিভি সেটের সামনে বসে দেখেছিলেন ব্রাজিল-জার্মানি ফাইনাল। সিউলে রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনহোদের শিরোপা উৎসবের ছবিটা ছোট্ট নেইমারের মনে গেঁথে যায়। সেই থেকে তার স্বপ্ন, বিশ্বসেরার মুকুট নিজেও একদিন উঁচিয়ে ধরবেন।
এরপর কেটে গেছে ২০ বছর। পেরিয়ে গেছে চারটি বিশ্বকাপ। শেষ দুবার নেইমার নিজেই ছিলেন দলের স্বপ্নসারথি। কিন্তু একবারও ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেনি পেলের দেশ। হতাশার চাদর সরিয়ে আরও একবার নেইমারের হাতে স্বপ্নের মশাল তুলে দিয়ে কাতার বিশ্বকাপে পরম আরাধ্য ‘হেক্সা’ (ষষ্ঠ শিরোপা) জয়ের অভিযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ব্রাজিল।
দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় সার্বিয়ার মুখোমুখি হবে রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই মাঠেই গত পরশু মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে সৌদি আরব। ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকলেও তাই সার্বিয়াকে নিয়ে সতর্ক ব্রাজিল। গত বিশ্বকাপে ইউরোপের দলটিকে তারা হারিয়েছিল ২-০ গোলে।
ফর্ম ও স্কোয়াডের গভীরতার কারণে ব্রাজিলকে এবার শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার ভাবা হচ্ছে। অঘটনের আশায় প্রথম ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নিতে পারে সার্বিয়া। ব্রাজিলীয় মিডিয়ার দাবি, সেই রক্ষণ দেওয়াল ভাঙতে আজ একাদশে চার ফরোয়ার্ড খেলাবেন সেলেকাও কোচ তিতে। আক্রমণভাগে নেইমারের সঙ্গে থাকবেন রিচার্লিসন, রাফিনিয়া ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে আসা রাফিনিয়াও বললেন, আক্রমণই হবে তাদের শেষ কথা, ‘ডিএনএ’র কারণেই আমরা আক্রমণাত্মক দল। আক্রমণভাগে যত বেশি খেলোয়াড় থাকে, ততই ভালো।’
১৯৯৮ আসরের পর বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে কখনো হারেনি ব্রাজিল। এই পর্যায়ে টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত তারা। বিপরীতে বিশ্বকাপে শেষ নয় ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে সার্বিয়া। শতভাগ ফিট না হওয়ায় আজ শুরুর একাদশে হয়তো দেখা যাবে না সার্বিয়ার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা আলেকসান্দার মিত্রোভিচকে। সব মিলিয়ে রুসাইলে আরেকটি ভূমিকম্পের সম্ভাবনা ক্ষীণ!