দ্বিতীয় দিনও গাছতলায় ক্লাস করলেন শিক্ষার্থীরা
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট
চবি প্রতিনিধি
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দীর্ঘ ৮২ দিন ক্লাস বর্জনের পর শর্তসাপেক্ষে ক্লাসে ফিরেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। সোম ও মঙ্গলবার নগরের বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত ক্যাম্পাসে ক্লাস করেন তারা। তবে ক্লাসে ফিরলেও ঝুঁকিপূর্ণ রুমে ক্লাস না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছতলাতেই ক্লাস করেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ৭ দিনের মধ্যে অ্যাকাডেমি ভবনকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করলে তবেই ক্লাসরুমে ফিরবেন তারা। এতে ব্যর্থ হলে পুনরায় আন্দোলনে নামবেন।
ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহেদী আলম যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবারও আমরা ক্লাসরুমের বাইরেই ক্লাস করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক ভবনকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করলে আমরা ক্লাসরুমে ফিরব।
ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শায়লা শারমিন যুগান্তরকে বলেন, চারুকলা শহরে থাকা কিংবা মূল ক্যাম্পাসে ফেরা-উভয়েরই কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে। তবে স্থানান্তর একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আমাদের স্টুডিও, ক্লাসরুম, গ্যালারিসহ অন্যান্য অবকাঠামো বিশেষভাবে চারুকলার শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া চারুকলার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি শিল্পী রশিদ চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল যে শহরকেন্দ্রিক শিল্পকলা চর্চার একটা কেন্দ্র গড়ে উঠবে। সেই প্রত্যাশাতেই চারুকলাকে শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সিনিয়ররা আমাদের জন্য যেটা ভেবেছিলেন সেই বিষয়টাও আমাদের ভাবতে হবে।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুফিয়া বেগম যুগান্তরকে বলেন, আমরা চাই ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে আসুক। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রকৌশল থেকে প্রকৌশলীরা এসে দেখে গেছেন। ঝুঁকিমুক্ত হিসাবে ঘোষণা করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এজন্য একটি কমিটি গঠন হবে। সংশ্লিষ্টদেরকে নিয়ে গঠিত কমিটি রিপোর্ট দিলে তারপর ঝুঁকিপূর্ণ নাকি ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে। নিয়মের ভেতরে থেকেই সব করতে হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট
দ্বিতীয় দিনও গাছতলায় ক্লাস করলেন শিক্ষার্থীরা
দীর্ঘ ৮২ দিন ক্লাস বর্জনের পর শর্তসাপেক্ষে ক্লাসে ফিরেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। সোম ও মঙ্গলবার নগরের বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত ক্যাম্পাসে ক্লাস করেন তারা। তবে ক্লাসে ফিরলেও ঝুঁকিপূর্ণ রুমে ক্লাস না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছতলাতেই ক্লাস করেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ৭ দিনের মধ্যে অ্যাকাডেমি ভবনকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করলে তবেই ক্লাসরুমে ফিরবেন তারা। এতে ব্যর্থ হলে পুনরায় আন্দোলনে নামবেন।
ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মেহেদী আলম যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবারও আমরা ক্লাসরুমের বাইরেই ক্লাস করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক ভবনকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করলে আমরা ক্লাসরুমে ফিরব।
ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শায়লা শারমিন যুগান্তরকে বলেন, চারুকলা শহরে থাকা কিংবা মূল ক্যাম্পাসে ফেরা-উভয়েরই কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে। তবে স্থানান্তর একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আমাদের স্টুডিও, ক্লাসরুম, গ্যালারিসহ অন্যান্য অবকাঠামো বিশেষভাবে চারুকলার শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া চারুকলার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি শিল্পী রশিদ চৌধুরীর স্বপ্ন ছিল যে শহরকেন্দ্রিক শিল্পকলা চর্চার একটা কেন্দ্র গড়ে উঠবে। সেই প্রত্যাশাতেই চারুকলাকে শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সিনিয়ররা আমাদের জন্য যেটা ভেবেছিলেন সেই বিষয়টাও আমাদের ভাবতে হবে।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুফিয়া বেগম যুগান্তরকে বলেন, আমরা চাই ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে আসুক। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রকৌশল থেকে প্রকৌশলীরা এসে দেখে গেছেন। ঝুঁকিমুক্ত হিসাবে ঘোষণা করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এজন্য একটি কমিটি গঠন হবে। সংশ্লিষ্টদেরকে নিয়ে গঠিত কমিটি রিপোর্ট দিলে তারপর ঝুঁকিপূর্ণ নাকি ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে। নিয়মের ভেতরে থেকেই সব করতে হবে।