খুলনায় দুদিন ধরে বন্ধ স্বাস্থ্যসেবা
রোগীদের ক্ষোভ হতাশা
খুলনা ব্যুরো
০৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। এতে টানা দুদিন নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসক দায়িত্ব পালন না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে এসে চিকিৎসক না পেয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালের বাইরে রোগী-স্বজনদের অসহায় ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্যদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
তবে অভিযুক্ত এএসআই শেখ নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী নুসরাত আরা বলছেন, তার স্বামী হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। এদিকে সাতক্ষীরা এপিবিএনে কর্মরত নাঈমুজ্জামানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ নগরীর কোনো হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসক ছিলেন না। সকাল ৯টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের ভিড়। সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা রোগীদের সিরিয়াল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ বহির্বিভাগের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রোগীদের জানানো হয়, চিকিৎসক আসবেন না। এ সময় বাইরে অপেক্ষারত রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্লিপ কাউন্টারে বসা হাসপাতালের কর্মচারী ফারজানা আক্তার বলেন, আজকেও (বৃহস্পতিবার) চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা রোগী মনোয়ার হোসেন বলেন, চোখের সমস্যা নিয়ে বুধবার বাগেরহাট থেকে এসেছি। ডাক্তার দেখাতে না পেরে রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। ভেবেছিলাম আজ (বৃহস্পতিবার) দেখাতে পারব। সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ গেট বন্ধ করে বলা হয়, ডাক্তার আসবেন না। এখন গ্রামে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। একইরকম হতাশার কথা জানান বটিয়াঘাটা থেকে কিডনির সমস্যা নিয়ে আসা রোগী শাওন হোসেন, ডুমুরিয়া থেকে আসা আমিনুল ইসলাম, পাইকগাছা থেকে আসা নুরুল ইসলামসহ একাধিক রোগী।
অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সার্জারি বিভাগে ভর্তি আহমদ হাসান জানান, তার পিত্তথলিতে পাথরের কারণে রোববার থেকে ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকের দেখা পেয়েছিলেন। এরপর গত দুই দিনে আর কোনো চিকিৎসক আসেননি। শরীরের নানা উপসর্গ নিয়ে নার্সদের কাছে গেলেও তারা ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারছেন না।
রোগীদের এই ভোগান্তির বিষয় নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. রবিউল হাসান বলেন, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে বহির্বিভাগে রোগী দেখা হচ্ছে না। আমি জরুরি বিভাগ চালু রেখেছি। ভর্তি রোগীরাও যাতে সেবা বঞ্চিত না হয় এজন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একই অবস্থা খুলনা জেনারেল হাসপাতালেও। এখানেও সকাল থেকে রোগীরা এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গেছেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তেরখাদা উপজেলা থেকে প্রচণ্ড পেট ব্যথা নিয়ে আসেন মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবক। চিকিৎসক না থাকায় তাকে ফিরে যেতে হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও একই চিত্র দেখা গেছে। নগরীর সমৃদ্ধ হাসপাতাল হিসাবে পরিচিত সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজার হামিদুর রহমান জানান, এখানে বৃহস্পতিবার নতুন কোনো রোগী ভর্তি করা হয়নি। পুরনো যেসব রোগী ভর্তি ছিলেন তাদের রাখা হয়েছে। হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ বুধবার থেকেই বন্ধ।
সিটি ইমেজিং সেন্টারের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, চেম্বারে কোনো ডাক্তার না বসা এবং প্যাথলজি ও ইমেজিং সেকশনে কোনো ডাক্তার না আসার কারণে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা একদম বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জরুরি সভা শেষে সংগঠনের জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় করা মামলার আসামি গ্রেফতার ও চিকিৎসকের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। শনিবার (কাল) শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন সন্ধ্যা ৭টায় খুলনা বিএমএ ভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একইদিন দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এএসআই নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী নুসরাত আরা জানান, তার স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা অবহেলার কারণে তার মেয়ের আঙুল নষ্ট হওয়ায় ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে যে এজাহার দায়ের করেন তাতে রাত ১০টায় এবং ডা. বাহার সংবাদ সম্মেলনে রাত ১টায় হামলা ও ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে রাত ১১টা ৫৪ মিনিটের ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, নিশাত আব্দুল্লাহ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ওটি ভাঙচুরের কোনো আলামত নেই। নুসরাত আরা বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি এবং আমার মেয়েকে চিকিৎসা বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর ফলে আমার মেয়ের হাতের অবস্থার যে অবনতি হচ্ছে এর দায়ভার কে নেবে?
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, এএসআই শেখ নাঈমুজ্জামানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
খুলনায় দুদিন ধরে বন্ধ স্বাস্থ্যসেবা
রোগীদের ক্ষোভ হতাশা
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। এতে টানা দুদিন নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসক দায়িত্ব পালন না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে এসে চিকিৎসক না পেয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালের বাইরে রোগী-স্বজনদের অসহায় ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্যদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
তবে অভিযুক্ত এএসআই শেখ নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী নুসরাত আরা বলছেন, তার স্বামী হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। এদিকে সাতক্ষীরা এপিবিএনে কর্মরত নাঈমুজ্জামানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ নগরীর কোনো হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসক ছিলেন না। সকাল ৯টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের ভিড়। সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা রোগীদের সিরিয়াল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ বহির্বিভাগের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রোগীদের জানানো হয়, চিকিৎসক আসবেন না। এ সময় বাইরে অপেক্ষারত রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্লিপ কাউন্টারে বসা হাসপাতালের কর্মচারী ফারজানা আক্তার বলেন, আজকেও (বৃহস্পতিবার) চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা রোগী মনোয়ার হোসেন বলেন, চোখের সমস্যা নিয়ে বুধবার বাগেরহাট থেকে এসেছি। ডাক্তার দেখাতে না পেরে রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। ভেবেছিলাম আজ (বৃহস্পতিবার) দেখাতে পারব। সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ গেট বন্ধ করে বলা হয়, ডাক্তার আসবেন না। এখন গ্রামে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। একইরকম হতাশার কথা জানান বটিয়াঘাটা থেকে কিডনির সমস্যা নিয়ে আসা রোগী শাওন হোসেন, ডুমুরিয়া থেকে আসা আমিনুল ইসলাম, পাইকগাছা থেকে আসা নুরুল ইসলামসহ একাধিক রোগী।
অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সার্জারি বিভাগে ভর্তি আহমদ হাসান জানান, তার পিত্তথলিতে পাথরের কারণে রোববার থেকে ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসকের দেখা পেয়েছিলেন। এরপর গত দুই দিনে আর কোনো চিকিৎসক আসেননি। শরীরের নানা উপসর্গ নিয়ে নার্সদের কাছে গেলেও তারা ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারছেন না।
রোগীদের এই ভোগান্তির বিষয় নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. রবিউল হাসান বলেন, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে বহির্বিভাগে রোগী দেখা হচ্ছে না। আমি জরুরি বিভাগ চালু রেখেছি। ভর্তি রোগীরাও যাতে সেবা বঞ্চিত না হয় এজন্য ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একই অবস্থা খুলনা জেনারেল হাসপাতালেও। এখানেও সকাল থেকে রোগীরা এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গেছেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তেরখাদা উপজেলা থেকে প্রচণ্ড পেট ব্যথা নিয়ে আসেন মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবক। চিকিৎসক না থাকায় তাকে ফিরে যেতে হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও একই চিত্র দেখা গেছে। নগরীর সমৃদ্ধ হাসপাতাল হিসাবে পরিচিত সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজার হামিদুর রহমান জানান, এখানে বৃহস্পতিবার নতুন কোনো রোগী ভর্তি করা হয়নি। পুরনো যেসব রোগী ভর্তি ছিলেন তাদের রাখা হয়েছে। হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ বুধবার থেকেই বন্ধ।
সিটি ইমেজিং সেন্টারের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, চেম্বারে কোনো ডাক্তার না বসা এবং প্যাথলজি ও ইমেজিং সেকশনে কোনো ডাক্তার না আসার কারণে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা একদম বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জরুরি সভা শেষে সংগঠনের জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় করা মামলার আসামি গ্রেফতার ও চিকিৎসকের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। শনিবার (কাল) শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন সন্ধ্যা ৭টায় খুলনা বিএমএ ভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একইদিন দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এএসআই নাঈমুজ্জামানের স্ত্রী নুসরাত আরা জানান, তার স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা অবহেলার কারণে তার মেয়ের আঙুল নষ্ট হওয়ায় ডা. নিশাত আব্দুল্লাহর বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, ডা. নিশাত আব্দুল্লাহ আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে যে এজাহার দায়ের করেন তাতে রাত ১০টায় এবং ডা. বাহার সংবাদ সম্মেলনে রাত ১টায় হামলা ও ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে রাত ১১টা ৫৪ মিনিটের ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, নিশাত আব্দুল্লাহ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ওটি ভাঙচুরের কোনো আলামত নেই। নুসরাত আরা বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি এবং আমার মেয়েকে চিকিৎসা বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর ফলে আমার মেয়ের হাতের অবস্থার যে অবনতি হচ্ছে এর দায়ভার কে নেবে?
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, এএসআই শেখ নাঈমুজ্জামানকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।