ভোট একতরফা হয়নি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল
সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি
যুগান্তর প্রতিবেদন
২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন একতরফা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তিনি বলেন, আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণাও দেননি। রোববার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মোমতাজ উদ্দিন ফকির বর্তমান সভাপতি। ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, বার নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিএনপিপন্থিদের সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে দায়ী করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রচলিত বিধান অনুযায়ী ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান এবং সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলাল সমিতির কনফারেন্স রুমে বসে ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করছিলেন। হঠাৎ বহিরাগত লোকজনসহ সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল কনফারেন্স রুমে ঢুকে আহ্বায়ককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। টেবিলের ওপরে থাকা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন এবং কিছু নিয়ে যান। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। এছাড়া ব্যালট পেপার তছনছ করেন এবং পায়ে মাড়িয়ে দলিত-মথিত করেন তারা। ফলে নির্বাচনের আগের রাতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
এতে বলা হয়, ভোটগ্রহণ শুরুর চেষ্টা করলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্যান্ডেলে ঢুকে পড়েন এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালান। অনেক আইনজীবীকে আহত করেন। তারা ভোট বর্জন করেছেন কি না, সেটাও জানাননি। তাদের বিকল্প প্রস্তাব কী, তাও জানাননি। তারা এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এতে ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হয় এবং একটানা ভাঙচুর চলতে থাকে। এ অবস্থায় ভোটগ্রহণ শুরু ও সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, দুই দিন দায়িত্ব পালনকালে ঘটনার আকস্মিকতায় সাংবাদিকরা কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকলে আইনজীবী সমিতি তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সামগ্রিক দায়ভার বিএনপিপন্থিদের। সামগ্রিক বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সংযম, দায়িত্বশীলতা এবং গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল অঙ্গীকারের পরিচয় দিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির বর্তমান সম্পাদক আবদুন নূর দুলালসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
ভোট একতরফা হয়নি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল
বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি
সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন একতরফা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তিনি বলেন, আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। এছাড়া বিএনপি সমর্থিতরা ভোট বর্জনের ঘোষণাও দেননি। রোববার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মোমতাজ উদ্দিন ফকির বর্তমান সভাপতি। ১৫ ও ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, বার নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিএনপিপন্থিদের সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে দায়ী করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রচলিত বিধান অনুযায়ী ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান এবং সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলাল সমিতির কনফারেন্স রুমে বসে ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করছিলেন। হঠাৎ বহিরাগত লোকজনসহ সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজল কনফারেন্স রুমে ঢুকে আহ্বায়ককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। টেবিলের ওপরে থাকা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন এবং কিছু নিয়ে যান। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। এছাড়া ব্যালট পেপার তছনছ করেন এবং পায়ে মাড়িয়ে দলিত-মথিত করেন তারা। ফলে নির্বাচনের আগের রাতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
এতে বলা হয়, ভোটগ্রহণ শুরুর চেষ্টা করলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা প্যান্ডেলে ঢুকে পড়েন এবং ব্যাপক ভাঙচুর চালান। অনেক আইনজীবীকে আহত করেন। তারা ভোট বর্জন করেছেন কি না, সেটাও জানাননি। তাদের বিকল্প প্রস্তাব কী, তাও জানাননি। তারা এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এতে ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হয় এবং একটানা ভাঙচুর চলতে থাকে। এ অবস্থায় ভোটগ্রহণ শুরু ও সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্য নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, দুই দিন দায়িত্ব পালনকালে ঘটনার আকস্মিকতায় সাংবাদিকরা কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকলে আইনজীবী সমিতি তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সামগ্রিক দায়ভার বিএনপিপন্থিদের। সামগ্রিক বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সংযম, দায়িত্বশীলতা এবং গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল অঙ্গীকারের পরিচয় দিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির বর্তমান সম্পাদক আবদুন নূর দুলালসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।