ফের ভোট ও হামলার বিচার দাবি
সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
পুলিশি হামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট, ঢাকা বারে বিক্ষোভ
যুগান্তর প্রতিবেদন
২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করে ফের সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন দাবি করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। একই সঙ্গে এই নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা। রোববার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন নির্বাচনে সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচন ঘিরে আইনজীবীদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষেরও ব্যাপক আগ্রহ ছিল। কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ করেছি যে, অন্যসব নির্বাচনের মতো দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক চরিত্র, এর নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আইনগতভাবে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও নাটক সাজিয়ে একতরফাভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনেও একই ধরনের প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে।
বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় আইনজীবীর কর্মকাণ্ড ও পুলিশের তাণ্ডব আইনজীবী হিসাবে সমাজের কাছে আমাদের হেয় করেছে। এটা শুধু আইনজীবী সমাজেরই নয়, পুরো জাতির জন্যই কলঙ্কজনক। চলমান ঘটনা নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দ্বারস্থ হয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ও সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া পুলিশের তাণ্ডবে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার বিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করা হয়েছে। এরপরও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশি তাণ্ডবের কোনো দৃশ্যমান প্রতিকার হয়নি। আইনজীবীদের একটি সমিতির নির্বাচনেও পুলিশকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করতে হয়! এটা বড় লজ্জার বিষয়।
নতুন নির্বাচন দাবি করে এতে বলা হয়, সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে কার্যকরী কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক অবিলম্বে একটি নির্বাচন সাব-কমিটি গঠন করে পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলার নির্দেশদাতা আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদত্যাগ করতে হবে।
বার নির্বাচনে পুলিশি হামলা চ্যালেঞ্জ করে রিট : সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে পুলিশি হামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১৫ মার্চ আবেদনকারী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়ার আর্জি জানিয়ে রোববার রিটটি করেছেন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থী। সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে আবেদনটি কার্যতালিকাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবির উপকমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
পুনরায় ভোট ও হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ : গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে নির্বাচন ও পুলিশি হামলার বিচার দাবিতে ঢাকা বারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল। রোববার দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকীর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ মিয়া আলম, নজরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক মিলন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাতের আঁধারে নির্বাচন কমিশনের প্রধানকে পদত্যাগে বাধ্য করে পুলিশি প্রহরায় নির্বাচন করা হয়েছে। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বিরোধী দলের আইনজীবীদের ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয়েছে।
হামলার নিন্দা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি : এদিকে সুপ্রিমকোর্ট প্রঙ্গণে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠন ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিল (এনএলসি)। সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এসএম জুলফিকার আলী জুনু রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, এই ঘটনা রাষ্ট্রকর্তৃক পুলিশকে অপব্যবহারের নির্মম দৃষ্টান্ত। হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দীন খোকনসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার আইনজীবীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
ফের ভোট ও হামলার বিচার দাবি
পুলিশি হামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট, ঢাকা বারে বিক্ষোভ
নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করে ফের সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন দাবি করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। একই সঙ্গে এই নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা। রোববার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন নির্বাচনে সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচন ঘিরে আইনজীবীদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষেরও ব্যাপক আগ্রহ ছিল। কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ করেছি যে, অন্যসব নির্বাচনের মতো দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক চরিত্র, এর নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আইনগতভাবে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও নাটক সাজিয়ে একতরফাভাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনেও একই ধরনের প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে।
বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কতিপয় আইনজীবীর কর্মকাণ্ড ও পুলিশের তাণ্ডব আইনজীবী হিসাবে সমাজের কাছে আমাদের হেয় করেছে। এটা শুধু আইনজীবী সমাজেরই নয়, পুরো জাতির জন্যই কলঙ্কজনক। চলমান ঘটনা নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দ্বারস্থ হয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ও সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া পুলিশের তাণ্ডবে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার বিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করা হয়েছে। এরপরও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশি তাণ্ডবের কোনো দৃশ্যমান প্রতিকার হয়নি। আইনজীবীদের একটি সমিতির নির্বাচনেও পুলিশকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করতে হয়! এটা বড় লজ্জার বিষয়।
নতুন নির্বাচন দাবি করে এতে বলা হয়, সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে কার্যকরী কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক অবিলম্বে একটি নির্বাচন সাব-কমিটি গঠন করে পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলার নির্দেশদাতা আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে পদত্যাগ করতে হবে।
বার নির্বাচনে পুলিশি হামলা চ্যালেঞ্জ করে রিট : সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে পুলিশি হামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে ১৫ ও ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১৫ মার্চ আবেদনকারী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়ার আর্জি জানিয়ে রোববার রিটটি করেছেন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ১৪ প্রার্থী। সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে আবেদনটি কার্যতালিকাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ডিবির উপকমিশনার ও শাহবাগ থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পেটানোর ঘটনা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
পুনরায় ভোট ও হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ : গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে নির্বাচন ও পুলিশি হামলার বিচার দাবিতে ঢাকা বারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল। রোববার দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকীর পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ মিয়া আলম, নজরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক মিলন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাতের আঁধারে নির্বাচন কমিশনের প্রধানকে পদত্যাগে বাধ্য করে পুলিশি প্রহরায় নির্বাচন করা হয়েছে। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় বিরোধী দলের আইনজীবীদের ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয়েছে।
হামলার নিন্দা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি : এদিকে সুপ্রিমকোর্ট প্রঙ্গণে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠন ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিল (এনএলসি)। সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এসএম জুলফিকার আলী জুনু রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, এই ঘটনা রাষ্ট্রকর্তৃক পুলিশকে অপব্যবহারের নির্মম দৃষ্টান্ত। হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দীন খোকনসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার আইনজীবীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।