সুখী সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রোববার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে গোটা জাতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়েছেন সবাই। সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আরও সুখী, সমৃদ্ধিশালী এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের কথাও জানান তারা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে পাওনা না-পাওয়ার হিসাবও কষেছেন অনেকে। এদিন বিশ্বের নানা প্রান্তে বাঙালিরা স্মরণ করেছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। পাকিস্তানিদের নারকীয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিরও জোরালো দাবি ওঠে। মহান স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীসহ সারা দেশ সেজেছিল বর্ণিল সাজে।
সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। সাভারে স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলে যাওয়ার পর সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জাতীয় পার্টি, বিএনপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো, জাতীয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর বিভিন্ন হল, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, গণবিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাপ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলা একাডেমি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বীর শহিদদের প্রতি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বয়সি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দেওয়া ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে অনেকে সাভার স্মৃতিসৌধে যান।
স্পিকারের শ্রদ্ধা : জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শহিদদের স্মরণে তিনি নীরবতা পালন করেন। এরপর তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, মেহের আফরোজ এমপি ও সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ সুপ্রিমকোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা। এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি স্পিকারের শ্রদ্ধা : জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি শহিদদের স্মরণে নীরবতা পালন করেন। এরপর রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ এ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।
জাতীয় পার্টির শ্রদ্ধা : জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মোস্তফা আল মাহমুদ, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইসরাফিল খোকন, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম শাহাজাদা, বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় নেতা জিয়াউর রহমান বিপুল ও আবুল হাসনাত আজাদ প্রমুখ।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শ্রদ্ধা : জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীরা। এ সময় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। বারের সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির নেতৃত্বে সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল, নির্বাচিত অন্য সব সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা : মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে কিছু সময় কাটান।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাবাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সড়কে জমায়েত হতে থাকে। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজারো মানুষের ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। এ সময় তারা ‘স্বাধীনতার অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান’ ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’ স্লোগান দিতে থাকে। বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মহিলা শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদসহ বিভিন্ন দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার : স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু এবং সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
ডাকটিকিট অবমুক্ত : স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকার উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকার ডাটা কার্ড উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ‘মুজিব’স বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ : স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী, সাবেক সচিব এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান কেএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীরপ্রতীক, পিডব্লিউডির সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ ভূঁইয়া, সড়ক ও জনপদের সাবেক এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিম জোয়ারদার, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শাহাবুদ্দিন ও মেজর ওহিদুজ্জামান লেলিন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বার কাউন্সিলের শ্রদ্ধা : বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, লিগ্যাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন, উপসচিব আফজাল উর রহমান ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতাসহ বার কাউন্সিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান’র শ্রদ্ধা : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান’ ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হাজি এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি নুরুজ্জামান ভুট্টো, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল বাহার মজুমদার, এনামুল হক কাজল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অনি সামদানী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রউফ আনসারী, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ রানা টগর প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা : স্বাধীনতা দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের প্রমুখ।
ডিএনসিসি ৪২নং ওয়ার্ড (বেরাইদ) : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২নং ওয়ার্ডের (বেরাইদ) বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, হাতের লেখা প্রতিযোগিতা এবং আত্মদানকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। বেরাইদ গণপাঠাগার, ডিএনসিসি ৪২নং ওয়ার্ড (বেরাইদ) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো, একেএম রহমতুল্লাহ কলেজ, বেরাইদ মুসলিম হাইস্কুল, রশনআরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ রাহীমুল্লাহ মোল্লা দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা, বেরাইদ মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও বেরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিবসটি পালন করে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
সুখী সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ

নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। রোববার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে গোটা জাতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়েছেন সবাই। সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে আরও সুখী, সমৃদ্ধিশালী এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের কথাও জানান তারা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে পাওনা না-পাওয়ার হিসাবও কষেছেন অনেকে। এদিন বিশ্বের নানা প্রান্তে বাঙালিরা স্মরণ করেছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। পাকিস্তানিদের নারকীয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিরও জোরালো দাবি ওঠে। মহান স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীসহ সারা দেশ সেজেছিল বর্ণিল সাজে।
সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। সাভারে স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলে যাওয়ার পর সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জাতীয় পার্টি, বিএনপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো, জাতীয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর বিভিন্ন হল, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, গণবিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাপ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলা একাডেমি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বীর শহিদদের প্রতি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বয়সি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দেওয়া ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে অনেকে সাভার স্মৃতিসৌধে যান।
স্পিকারের শ্রদ্ধা : জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শহিদদের স্মরণে তিনি নীরবতা পালন করেন। এরপর তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, মেহের আফরোজ এমপি ও সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ সুপ্রিমকোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা। এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি স্পিকারের শ্রদ্ধা : জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি শহিদদের স্মরণে নীরবতা পালন করেন। এরপর রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ এ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।
জাতীয় পার্টির শ্রদ্ধা : জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মোস্তফা আল মাহমুদ, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইসরাফিল খোকন, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম শাহাজাদা, বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় নেতা জিয়াউর রহমান বিপুল ও আবুল হাসনাত আজাদ প্রমুখ।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শ্রদ্ধা : জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীরা। এ সময় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। বারের সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির নেতৃত্বে সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল, নির্বাচিত অন্য সব সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা : মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে কিছু সময় কাটান।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাবাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সড়কে জমায়েত হতে থাকে। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজারো মানুষের ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। এ সময় তারা ‘স্বাধীনতার অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান’ ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’ স্লোগান দিতে থাকে। বঙ্গবন্ধু ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মহিলা শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদসহ বিভিন্ন দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার : স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু এবং সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
ডাকটিকিট অবমুক্ত : স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকার উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকার ডাটা কার্ড উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ‘মুজিব’স বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ : স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী, সাবেক সচিব এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান কেএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীরপ্রতীক, পিডব্লিউডির সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ ভূঁইয়া, সড়ক ও জনপদের সাবেক এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিম জোয়ারদার, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শাহাবুদ্দিন ও মেজর ওহিদুজ্জামান লেলিন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বার কাউন্সিলের শ্রদ্ধা : বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, লিগ্যাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন, উপসচিব আফজাল উর রহমান ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতাসহ বার কাউন্সিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান’র শ্রদ্ধা : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান’ ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হাজি এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি নুরুজ্জামান ভুট্টো, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল বাহার মজুমদার, এনামুল হক কাজল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অনি সামদানী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রউফ আনসারী, ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ রানা টগর প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা : স্বাধীনতা দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের প্রমুখ।
ডিএনসিসি ৪২নং ওয়ার্ড (বেরাইদ) : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২নং ওয়ার্ডের (বেরাইদ) বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, হাতের লেখা প্রতিযোগিতা এবং আত্মদানকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। বেরাইদ গণপাঠাগার, ডিএনসিসি ৪২নং ওয়ার্ড (বেরাইদ) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো, একেএম রহমতুল্লাহ কলেজ, বেরাইদ মুসলিম হাইস্কুল, রশনআরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ রাহীমুল্লাহ মোল্লা দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা, বেরাইদ মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও বেরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিবসটি পালন করে।