চিকিৎসা নিতে এসে লাশ হলেন মামুন
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শিশু হাসপাতাল এলাকায় চোর সন্দেহে মো. মামুন (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে তিনি চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। দুপুরের দিকে হাসপাতালের সামনে তাকে মারধর শুরু করেন অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ কয়েকজন। গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে টেনেহিঁচড়ে হাসপাতালের মসজিদের পাশে ফেলে রাখে মারধরকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই মামুনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া যুগান্তরকে বলেন, চোর সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। তবে মারধরে জড়িতদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে। এর মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. মাসুদ রানা (৩৯) বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এতে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহতের ভাই মো. মাসুদ রানা জানান, তারা পল্লবী থানার মিরপুর-১১ এর ই ব্লকে থাকতেন। মামুন মাদকাসক্ত হওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য রোববার সকাল ১০টার দিকে শ্যামলী মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন মামুনের স্ত্রী রহিমা বেগম ও তাদের মা শাহানারা বেগম শানু। কিন্তু মাদকাসক্ত কেন্দ্র মামুনকে ভর্তি করেনি। এরপর বেলা ১১টার দিকে স্ত্রী ও মাকে শ্যামলী থেকে একটি বাসে উঠিয়ে দেন মামুন। কাজ আছে বলে নিজে থেকে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে মো. নুর উদ্দিনের মাধ্যমে জানতে পারেন তার ভাইকে সাইকেল চোর সন্দেহে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা আরও জানান, মামুন ছিলেন চা বিক্রেতা। ঘটনার সময় কয়েকজন ব্যক্তি শিশু হাসপাতালের গেটের বাইরে থেকে মামুনকে ধরে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মিলে তাকে মারধর করে। এর কিছু সময় পরেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে মোস্তাকিম নামের এক ব্যক্তির ভূমিকা খুবই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বলেও জানান তারা। তবে এই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এরপর লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে পাঠান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা
চিকিৎসা নিতে এসে লাশ হলেন মামুন
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শিশু হাসপাতাল এলাকায় চোর সন্দেহে মো. মামুন (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে তিনি চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। দুপুরের দিকে হাসপাতালের সামনে তাকে মারধর শুরু করেন অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ কয়েকজন। গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে টেনেহিঁচড়ে হাসপাতালের মসজিদের পাশে ফেলে রাখে মারধরকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই মামুনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া যুগান্তরকে বলেন, চোর সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। তবে মারধরে জড়িতদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে। এর মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. মাসুদ রানা (৩৯) বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এতে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহতের ভাই মো. মাসুদ রানা জানান, তারা পল্লবী থানার মিরপুর-১১ এর ই ব্লকে থাকতেন। মামুন মাদকাসক্ত হওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য রোববার সকাল ১০টার দিকে শ্যামলী মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন মামুনের স্ত্রী রহিমা বেগম ও তাদের মা শাহানারা বেগম শানু। কিন্তু মাদকাসক্ত কেন্দ্র মামুনকে ভর্তি করেনি। এরপর বেলা ১১টার দিকে স্ত্রী ও মাকে শ্যামলী থেকে একটি বাসে উঠিয়ে দেন মামুন। কাজ আছে বলে নিজে থেকে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে মো. নুর উদ্দিনের মাধ্যমে জানতে পারেন তার ভাইকে সাইকেল চোর সন্দেহে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা আরও জানান, মামুন ছিলেন চা বিক্রেতা। ঘটনার সময় কয়েকজন ব্যক্তি শিশু হাসপাতালের গেটের বাইরে থেকে মামুনকে ধরে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে আনসার সদস্য ও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা মিলে তাকে মারধর করে। এর কিছু সময় পরেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে মোস্তাকিম নামের এক ব্যক্তির ভূমিকা খুবই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল বলেও জানান তারা। তবে এই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এরপর লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে পাঠান।