নির্বাচনে সাংবাদিক পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে ৭ বছর জেল
মন্ত্রিসভায় আরপিও অনুমোদন
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)’ সংশোধনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নির্বাচন কমিশনের কার্ডধারী গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও কাজে বাধা দেওয়া যাবে না।
যদি দেওয়া হয় তবে, সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং সর্বনিম্ন দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভিত্তিক রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
তিনি জানান, আরপিও সংশোধন সংক্রান্ত আইনটি আরও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেবিনেটে আনা হবে। সচিব বলেন, আরপিওতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এখন থেকে আয়কর সনদের কপি জমা দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন ক্ষুদ্র ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের বকেয়া জমা দিয়ে প্রার্থী হওয়া যাবে। বিদ্যমান আইনে ৭ দিন আগে পরিশোধের বিধান রয়েছে।
কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, জানানো হবে আগেই : কার কত ভূমি উন্নয়ন কর-তা আগেই জানিয়ে দেওয়ার বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি (ক্যালেন্ডার) অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইনে জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে বলেও তিনি জানান। কোনো ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করার বিধান রাখা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মন্ত্রিসভায় আরপিও অনুমোদন
নির্বাচনে সাংবাদিক পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে ৭ বছর জেল
জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)’ সংশোধনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নির্বাচন কমিশনের কার্ডধারী গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও কাজে বাধা দেওয়া যাবে না।
যদি দেওয়া হয় তবে, সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং সর্বনিম্ন দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভিত্তিক রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
তিনি জানান, আরপিও সংশোধন সংক্রান্ত আইনটি আরও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেবিনেটে আনা হবে। সচিব বলেন, আরপিওতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এখন থেকে আয়কর সনদের কপি জমা দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন ক্ষুদ্র ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের বকেয়া জমা দিয়ে প্রার্থী হওয়া যাবে। বিদ্যমান আইনে ৭ দিন আগে পরিশোধের বিধান রয়েছে।
কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, জানানো হবে আগেই : কার কত ভূমি উন্নয়ন কর-তা আগেই জানিয়ে দেওয়ার বিধান রেখে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, এখন বাংলা বর্ষপঞ্জি (ক্যালেন্ডার) অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন আইনে জুলাই থেকে জুন মেয়াদে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে। আর্থিক বছরের সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আগে পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে বলেও তিনি জানান। কোনো ভূমির মালিক যদি একসঙ্গে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর আদায় করার বিধান রাখা হয়েছে।