সরকারের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই
jugantor
বিএনপিকে দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে সিইসি
সরকারের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির সঙ্গে সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই-এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে আকস্মিক ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন। বিএনপি চাইলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি নিয়ে ইসি আলোচনায় বসবে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান সিইসি।

বৃহস্পতিবার বিএনপিকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করলেন সিইসি। এতে সিইসি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ সংলাপের জন্য জানানো হয়নি, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার জন্য। বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো সরকারের কোনো কূটকৌশলের অংশ নয়, সরকারের সংশ্লেষ নেই।

কূটকৌশল হলে সেটা ইসির হতে পারে, সরকারের নয়। সরকারের পরামর্শেও চিঠি দেওয়া হয়নি। ইসি কোনো কূটকৌশল থেকে এই চিঠি দেয়নি। তিনি বলেন, মূল জিনিসটা হলো, আমরা কিন্তু সংলাপে আহ্বান করিনি। সংলাপ বিষয়টি আনুষ্ঠানিক। আমরা কোনোভাবেই উনাদের সংলাপে ডাকিনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আনুষ্ঠানিক না হলেও, অন্তত অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা আসতে পারেন। অত্যন্ত বিনীতভাবে এ আহ্বান করেছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই হচ্ছে মুখ্য। বিদ্রোহী প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর দ্বারা কখনো সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।

সেজন্য নির্বাচন কমিশনেরও লক্ষ্য আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ হোক, আরও সংহত হোক। দলীয় চর্চা এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চা আরও সংহত হোক। সেটা আমাদের প্রথমদিন থেকে সদিচ্ছা। সেই সদিচ্ছার প্রতিফলন প্রথমদিন থেকে সব সময় আপনাদের (গণমাধ্যমের) মাধ্যমে ঘটানোর চেষ্টা করেছি।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার আগের আগের দিন এক কূটনীতিক ক্ষমতাসীন দলকে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। ওই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, বা অন্য কোনো চাপ আছে কিনা,

এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, চাপ যেটা বলেছেন এটা একেবারেই একটা অমূলক ধারণা। এটা একটা অমূলক ধারণা, যে এই কতক্ষণ পরপর আমাদের চাপ দেবে আর আমরা দেবে যাব, এটা হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, পত্রটি আমাদের এখান থেকে গেছে, সরকারের ওখান থেকে নয়। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে আমরা কোনো কাজ করব-এমনটা মনে করায় আমরা অনেক সময় ব্যথিত হই। আমরা চিন্তা-ভাবনা ও আলোচনা করেছি। আমাদের চিন্তার মধ্য দিয়ে এটি ফুটে উঠেছে যে বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়।

ইসির চিঠির বিষয়ে বিএনপি বলেছে এটা সরকার ও ইসির নাটক। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে-এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সিইসি বলেন, বিএনপি থেকে আমরা কোনো চিঠি পাইনি। আমি যেহেতু চিঠি দিয়েছি। যে কোনো সাড়া আমাকে চিঠির মাধ্যমেই পেতে হবে।

বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দাবির বিষয়ে ইসি আলোচনা করবে কী-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে চাচ্ছি না। কথা হচ্ছে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উনারা যদি আসেন, কী আলোচনা করব সেটা সময়ই বলে দেবে। আলোচনার মধ্যেই ফুটে উঠবে উনারা কী বললেন আমরা কী বলব। আগাম কোনো বক্তব্য বা আগাম কোনো ধারণাও আমি দিতে পারছি না।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, চিঠি দেওয়ার বিষয়টি পুরো কমিশন জানত। সবাই চিঠি অক্ষরে অক্ষরে পাঠ করেছেন। সদস্যরা কিছু সংশোধনীও দিয়েছেন। সেটাও সবাই দেখেছেন। কাজেই এটা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পত্র নয়। এটা সিইসি লিখেছেন কমিশনের পক্ষ থেকে।

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের দায়ে ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে ইসি যে সাজা দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা ১৩৩টি চিঠি দিয়েছি। ৪০টার মতো জবাব পেয়েছি যে অ্যাকশন নিচ্ছে। তিনি বলেন, অনেকের কাছ থেকে আমরা জবাব পাইনি। আমরা দ্বিতীয়বার চিঠি দেব। এরপর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। অথবা অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের কাছে কিনা, সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের জানাব।

বিএনপিকে দেওয়া চিঠি প্রসঙ্গে সিইসি

সরকারের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপিকে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির সঙ্গে সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই-এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে আকস্মিক ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন। বিএনপি চাইলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি নিয়ে ইসি আলোচনায় বসবে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান সিইসি।

বৃহস্পতিবার বিএনপিকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করলেন সিইসি। এতে সিইসি বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ সংলাপের জন্য জানানো হয়নি, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার জন্য। বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো সরকারের কোনো কূটকৌশলের অংশ নয়, সরকারের সংশ্লেষ নেই।

কূটকৌশল হলে সেটা ইসির হতে পারে, সরকারের নয়। সরকারের পরামর্শেও চিঠি দেওয়া হয়নি। ইসি কোনো কূটকৌশল থেকে এই চিঠি দেয়নি। তিনি বলেন, মূল জিনিসটা হলো, আমরা কিন্তু সংলাপে আহ্বান করিনি। সংলাপ বিষয়টি আনুষ্ঠানিক। আমরা কোনোভাবেই উনাদের সংলাপে ডাকিনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, আনুষ্ঠানিক না হলেও, অন্তত অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা আসতে পারেন। অত্যন্ত বিনীতভাবে এ আহ্বান করেছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই হচ্ছে মুখ্য। বিদ্রোহী প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর দ্বারা কখনো সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।

সেজন্য নির্বাচন কমিশনেরও লক্ষ্য আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ হোক, আরও সংহত হোক। দলীয় চর্চা এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চা আরও সংহত হোক। সেটা আমাদের প্রথমদিন থেকে সদিচ্ছা। সেই সদিচ্ছার প্রতিফলন প্রথমদিন থেকে সব সময় আপনাদের (গণমাধ্যমের) মাধ্যমে ঘটানোর চেষ্টা করেছি।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার আগের আগের দিন এক কূটনীতিক ক্ষমতাসীন দলকে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। ওই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, বা অন্য কোনো চাপ আছে কিনা,

এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, চাপ যেটা বলেছেন এটা একেবারেই একটা অমূলক ধারণা। এটা একটা অমূলক ধারণা, যে এই কতক্ষণ পরপর আমাদের চাপ দেবে আর আমরা দেবে যাব, এটা হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, পত্রটি আমাদের এখান থেকে গেছে, সরকারের ওখান থেকে নয়। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে আমরা কোনো কাজ করব-এমনটা মনে করায় আমরা অনেক সময় ব্যথিত হই। আমরা চিন্তা-ভাবনা ও আলোচনা করেছি। আমাদের চিন্তার মধ্য দিয়ে এটি ফুটে উঠেছে যে বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়।

ইসির চিঠির বিষয়ে বিএনপি বলেছে এটা সরকার ও ইসির নাটক। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে-এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সিইসি বলেন, বিএনপি থেকে আমরা কোনো চিঠি পাইনি। আমি যেহেতু চিঠি দিয়েছি। যে কোনো সাড়া আমাকে চিঠির মাধ্যমেই পেতে হবে।

বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দাবির বিষয়ে ইসি আলোচনা করবে কী-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে চাচ্ছি না। কথা হচ্ছে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উনারা যদি আসেন, কী আলোচনা করব সেটা সময়ই বলে দেবে। আলোচনার মধ্যেই ফুটে উঠবে উনারা কী বললেন আমরা কী বলব। আগাম কোনো বক্তব্য বা আগাম কোনো ধারণাও আমি দিতে পারছি না।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, চিঠি দেওয়ার বিষয়টি পুরো কমিশন জানত। সবাই চিঠি অক্ষরে অক্ষরে পাঠ করেছেন। সদস্যরা কিছু সংশোধনীও দিয়েছেন। সেটাও সবাই দেখেছেন। কাজেই এটা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পত্র নয়। এটা সিইসি লিখেছেন কমিশনের পক্ষ থেকে।

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের দায়ে ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে ইসি যে সাজা দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা ১৩৩টি চিঠি দিয়েছি। ৪০টার মতো জবাব পেয়েছি যে অ্যাকশন নিচ্ছে। তিনি বলেন, অনেকের কাছ থেকে আমরা জবাব পাইনি। আমরা দ্বিতীয়বার চিঠি দেব। এরপর আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব। অথবা অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের কাছে কিনা, সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের জানাব।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন