মামলা তুলে নেওয়ার দাবি নোয়াবের
jugantor
মামলা তুলে নেওয়ার দাবি নোয়াবের

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

৩১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

সেইসঙ্গে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তিও চেয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নোয়াবের পক্ষে সভাপতি একে আজাদ এ দাবি জানান।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদও। বৃহস্পতিবার পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মতিউর রহমান ও যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুসহ সব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

নোয়াব : বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েকদিনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) আওতায় কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার পদক্ষেপকে আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম আলোর সম্পাদক ও নোয়াবের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে উক্ত আইনের ধারা-প্রয়োগ, তাকে হয়রানি করা ও তার পত্রিকার সাহসী সাংবাদিকতাকে ভয় দেখানের সমান মনে করি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিএসএর ক্রমবর্ধমান প্রয়োগ আমাদের কাছে শঙ্কাজনক মনে হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে ডিএসএ সম্পর্কে আমাদের আপত্তি জানিয়েছি। এ ধরনের আইন মুক্ত মতপ্রকাশ, স্বাধীন সাংবাদিকতা তথা প্রাগ্রসর সমাজ-নির্মাণের স্বপ্ন ও পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

নোয়াব সভাপতি বলেন, আমরা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা অবিলম্বে তুলে নিতে ও প্রথম আলোর রিপোর্টার শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি দাবি করছি। একই সঙ্গে আমরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আনীত সব ধরনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

সম্পাদক পরিষদ : বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মীরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় এই আইনের ২৫(২), ৩১ ও ৩৫ ধারায় প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোয় সম্পাদক পরিষদ গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

২৯ মার্চ পরিষদ এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। তারপরও দুঃখজনকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে শামসুজ্জামান শামসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামে যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম লাবলুর বিরুদ্ধে ৩০ মার্চ এই আইনে মামলা করা হয়েছে। অর্থাৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা সংবাদপত্র শিল্প ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে বিধি সংশোধনের কথা বলেছিলেন এবং সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আশ্বাসের পরও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলোকে আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি। আমরা এই কাজগুলোকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার হুমকির স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করি।

সম্পাদক পরিষদ মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান শামস এবং মাহবুবুল আলম লাবলুর বিরুদ্ধে করা মামলাসহ এই আইনে সংবাদকর্মীদের নামে যত মামলা হয়েছে, অবিলম্বে সেসব মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে পুনরায় জোরালো দাবি জানাচ্ছে।

মামলা তুলে নেওয়ার দাবি নোয়াবের

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
৩১ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

সেইসঙ্গে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তিও চেয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নোয়াবের পক্ষে সভাপতি একে আজাদ এ দাবি জানান।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় উদ্বেগ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদও। বৃহস্পতিবার পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মতিউর রহমান ও যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুসহ সব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

নোয়াব : বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েকদিনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) আওতায় কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করার পদক্ষেপকে আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম আলোর সম্পাদক ও নোয়াবের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে উক্ত আইনের ধারা-প্রয়োগ, তাকে হয়রানি করা ও তার পত্রিকার সাহসী সাংবাদিকতাকে ভয় দেখানের সমান মনে করি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একই সঙ্গে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিএসএর ক্রমবর্ধমান প্রয়োগ আমাদের কাছে শঙ্কাজনক মনে হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে ডিএসএ সম্পর্কে আমাদের আপত্তি জানিয়েছি। এ ধরনের আইন মুক্ত মতপ্রকাশ, স্বাধীন সাংবাদিকতা তথা প্রাগ্রসর সমাজ-নির্মাণের স্বপ্ন ও পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

নোয়াব সভাপতি বলেন, আমরা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা অবিলম্বে তুলে নিতে ও প্রথম আলোর রিপোর্টার শামসুজ্জামান শামসের মুক্তি দাবি করছি। একই সঙ্গে আমরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আনীত সব ধরনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

সম্পাদক পরিষদ : বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মীরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় এই আইনের ২৫(২), ৩১ ও ৩৫ ধারায় প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোয় সম্পাদক পরিষদ গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

২৯ মার্চ পরিষদ এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। তারপরও দুঃখজনকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে শামসুজ্জামান শামসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামে যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম লাবলুর বিরুদ্ধে ৩০ মার্চ এই আইনে মামলা করা হয়েছে। অর্থাৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা সংবাদপত্র শিল্প ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে বিধি সংশোধনের কথা বলেছিলেন এবং সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আশ্বাসের পরও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলোকে আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি। আমরা এই কাজগুলোকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার হুমকির স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করি।

সম্পাদক পরিষদ মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান শামস এবং মাহবুবুল আলম লাবলুর বিরুদ্ধে করা মামলাসহ এই আইনে সংবাদকর্মীদের নামে যত মামলা হয়েছে, অবিলম্বে সেসব মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে পুনরায় জোরালো দাবি জানাচ্ছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন