ঘরে বসে রিটার্ন দেওয়া যাবে
ইআরএফ-গোল্ডেন বাংলাদেশের অনুষ্ঠান
যুগান্তর প্রতিবেদন
৩০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
করদাতাদের সুবিধার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ই-রিটার্ন ফাইলিং চালু করেছে। এর মাধ্যমে করদাতারা ঘরে বসেই রিটার্ন তৈরি, রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন নম্বর নেওয়াসহ সবকিছু সহজেই করতে পারবেন। সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং গোল্ডেন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য আলমগীর হোসেন। ইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী।
আলমগীর হোসেন বলেন, আপাতত বেতনভুক্ত কর্মচারী এবং ছোট উদ্যোক্তাদের জন্যই (যাদের আয় কম) এই ‘সিস্টেম’টি তৈরি করা হয়েছে। তারা ঘরে বসেই এটি করতে পারবেন। এখানে পুরো কাজটাই সিস্টেম করে দেবে। এজন্য কোনো বিধিবিধান জানারও প্রয়োজন নেই। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য সিস্টেমে প্রবেশ করে একটা ইউজার আইডি দিতে হবে। এরপর সিস্টেম থেকেই তার কাছে একটি ওটিপি নম্বর আসবে। সেটার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পূরণ করলেই হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তবে বড় উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের আয়কর দেওয়ার জন্য অবশ্যই একজন পরামর্শকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা আয়করের মতো জটিল বিষয়ে পরামর্শকের পরামর্শ না নিলে সেখানে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। আর এক্ষেত্রে ভুল হলে করদাতাকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানও তার আইনজীবীকে নয়, তাকেই খুঁজবে। এজন্য রিটার্ন দাখিল করার সময় একজন দক্ষ আইনজীবীকে দিয়েই সেটা করানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, এনবিআরের পক্ষ থেকে বাংলা আয়কর আইনের একটা চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছি। এটি বর্তমানে সংশ্লিষ্টদের মতামতের জন্য এনবিআরের ওয়েবসাইটে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ডিসেম্বরে এটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আয়কর সম্পর্কে মানুষের ধারণা কম। ফলে ছোট ছোট সমস্যা তৈরি হয়। যেগুলো সহজেই মেটানো সম্ভব। ইআরএফ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ২০০২ সাল থেকে আমরা ৬৪ জেলায় ডেটাবেজ তৈরির কাজ করেছি। এখনো এ বিষয়ে অনেক কাজ করে যাচ্ছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইআরএফ-গোল্ডেন বাংলাদেশের অনুষ্ঠান
ঘরে বসে রিটার্ন দেওয়া যাবে
করদাতাদের সুবিধার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ই-রিটার্ন ফাইলিং চালু করেছে। এর মাধ্যমে করদাতারা ঘরে বসেই রিটার্ন তৈরি, রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন নম্বর নেওয়াসহ সবকিছু সহজেই করতে পারবেন। সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং গোল্ডেন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য আলমগীর হোসেন। ইআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী।
আলমগীর হোসেন বলেন, আপাতত বেতনভুক্ত কর্মচারী এবং ছোট উদ্যোক্তাদের জন্যই (যাদের আয় কম) এই ‘সিস্টেম’টি তৈরি করা হয়েছে। তারা ঘরে বসেই এটি করতে পারবেন। এখানে পুরো কাজটাই সিস্টেম করে দেবে। এজন্য কোনো বিধিবিধান জানারও প্রয়োজন নেই। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য সিস্টেমে প্রবেশ করে একটা ইউজার আইডি দিতে হবে। এরপর সিস্টেম থেকেই তার কাছে একটি ওটিপি নম্বর আসবে। সেটার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পূরণ করলেই হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তবে বড় উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের আয়কর দেওয়ার জন্য অবশ্যই একজন পরামর্শকের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা আয়করের মতো জটিল বিষয়ে পরামর্শকের পরামর্শ না নিলে সেখানে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। আর এক্ষেত্রে ভুল হলে করদাতাকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানও তার আইনজীবীকে নয়, তাকেই খুঁজবে। এজন্য রিটার্ন দাখিল করার সময় একজন দক্ষ আইনজীবীকে দিয়েই সেটা করানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, এনবিআরের পক্ষ থেকে বাংলা আয়কর আইনের একটা চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছি। এটি বর্তমানে সংশ্লিষ্টদের মতামতের জন্য এনবিআরের ওয়েবসাইটে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ডিসেম্বরে এটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আয়কর সম্পর্কে মানুষের ধারণা কম। ফলে ছোট ছোট সমস্যা তৈরি হয়। যেগুলো সহজেই মেটানো সম্ভব। ইআরএফ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ২০০২ সাল থেকে আমরা ৬৪ জেলায় ডেটাবেজ তৈরির কাজ করেছি। এখনো এ বিষয়ে অনেক কাজ করে যাচ্ছি।