হাওড় দ্বীপ চর ভাতা পাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা
যুগান্তর প্রতিবেদন
১০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
হাওড়, দ্বীপ ও চর ভাতা পাবেন সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। সে নির্দেশনায় হাওড়, দ্বীপ ও চর হিসাবে ঘোষিত ১৬টি উপজেলায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দিষ্ট হারে ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে মূল বেতনের সঙ্গে সর্বনিম্ন ১ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ভাতা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা এসব ১৬টি উপজেলায় কর্মরত থাকলে এক হাজার ৬৫০ টাকা ভাতা পাবেন। ১৯তম গ্রেড ১ হাজার ৭০০, ১৮তম গ্রেড ১ হাজার ৭৬০ এবং ১৭তম গ্রেড ১ হাজার ৮০০ টাকা করে পাবেন বলে নির্দেশনায় জানানো হয়। এ ছাড়া ১৬ গ্রেডের কর্মীরা ১ হাজার ৮৬০, ১৫ গ্রেডের ১ হাজার ৯৪০, ১৪ গ্রেডের ২ হাজার ৪০, ১৩ গ্রেডের ২ হাজার ২০০, ১২ গ্রেডের ২ হাজার ২৬০, ১১ গ্রেডের কর্মকর্তারা ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে এ ভাতা পাবেন। অপরদিকে ১০ম গ্রেডের ৩ হাজার ২০০, ৯ম গ্রেডের ৪ হাজার ৪০০, ৮ম গ্রেডের ৪ হাজার ৬০০ ও ৭ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা হারে ভাতা পাবেন।
এ প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর থেকে এ ভাতা কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। হাওড় দ্বীপ ও চরাঞ্চলের ১৬টি উপজেলায় নাগরিক সুবিধা কিছুটা কম বলে জানায় ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এখানকার শাখাগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এসব এলাকায় কাজ করতে চান না। বদলি হওয়ার জন্য তদবির করে বিভিন্ন পর্যায় থেকে। কেউ যদি এসব এলাকায় না থাকে তবে শাখাগুলো চলবে কি করে? তাই বাড়তি এ ভাতা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ করতে উৎসাহিত করল সরকার।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
হাওড় দ্বীপ চর ভাতা পাবেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা
হাওড়, দ্বীপ ও চর ভাতা পাবেন সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গেল বছরের ৯ ডিসেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। সে নির্দেশনায় হাওড়, দ্বীপ ও চর হিসাবে ঘোষিত ১৬টি উপজেলায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নির্দিষ্ট হারে ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে মূল বেতনের সঙ্গে সর্বনিম্ন ১ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ভাতা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা এসব ১৬টি উপজেলায় কর্মরত থাকলে এক হাজার ৬৫০ টাকা ভাতা পাবেন। ১৯তম গ্রেড ১ হাজার ৭০০, ১৮তম গ্রেড ১ হাজার ৭৬০ এবং ১৭তম গ্রেড ১ হাজার ৮০০ টাকা করে পাবেন বলে নির্দেশনায় জানানো হয়। এ ছাড়া ১৬ গ্রেডের কর্মীরা ১ হাজার ৮৬০, ১৫ গ্রেডের ১ হাজার ৯৪০, ১৪ গ্রেডের ২ হাজার ৪০, ১৩ গ্রেডের ২ হাজার ২০০, ১২ গ্রেডের ২ হাজার ২৬০, ১১ গ্রেডের কর্মকর্তারা ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে এ ভাতা পাবেন। অপরদিকে ১০ম গ্রেডের ৩ হাজার ২০০, ৯ম গ্রেডের ৪ হাজার ৪০০, ৮ম গ্রেডের ৪ হাজার ৬০০ ও ৭ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা হারে ভাতা পাবেন।
এ প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর থেকে এ ভাতা কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। হাওড় দ্বীপ ও চরাঞ্চলের ১৬টি উপজেলায় নাগরিক সুবিধা কিছুটা কম বলে জানায় ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এখানকার শাখাগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এসব এলাকায় কাজ করতে চান না। বদলি হওয়ার জন্য তদবির করে বিভিন্ন পর্যায় থেকে। কেউ যদি এসব এলাকায় না থাকে তবে শাখাগুলো চলবে কি করে? তাই বাড়তি এ ভাতা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ করতে উৎসাহিত করল সরকার।