দ্বিতীয় যাত্রী হেইলি আর্সেনৌ
এবার মহাকাশ মিশন ‘অল সিভিলিয়ান’
আইটি ডেস্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্পেসএক্স তাদের দ্বিতীয় মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা সম্প্র্রতি ঘোষণা করেছে। এটি হবে বেসরকারিভাবে উদীয়মান স্পেসফ্লাইট এবং পর্যটনশিল্পের জন্য একটি বড় মাইলফলক। এবারের অভিযানে সব অসামরিক যাত্রী যাবেন মহাকাশে। সেই তালিকায় রয়েছে সেইন্ট জুড চিলড্রেন’স রিসার্চ হসপিটালের সহকারী চিকিৎসক হেইলি আর্সেনৌ। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর ‘ইনস্পিরেশন ৪’ অভিযানের অংশ হিসাবে ক্রু ড্রাগন ক্যাপসিউলে করে পাঁচ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবেন আর্সেনৌ।
দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুসারে মার্কিন মহাকাশ অভিযানে সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্যরাই থাকেন। এর বাইরে প্রয়োজন অনুসারে যুক্ত হন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী বা চিকিৎসকরা। একই রেওয়াজ পালন করে রাশিয়া ও চীনসহ অন্যান্য দেশও। নাসার প্রথম অভিযানে ৩৩০ নভোচারীর মধ্যে দু’শতাধিকই ছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্য। কোনো নভোযানে সব অসামরিক যাত্রী বহন করার ঘটনা ঘটেনি এখন পর্যন্ত। সেই রেওয়াজই এবার ভাঙতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এক অভিযানে সব অসামরিক নভোচারী যাবেন এক মহাকাশ অভিযানে। এ ‘অভিযানের চার স্তম্ভ- নেতৃত্ব, প্রত্যাশা, উদারতা এবং উন্নয়নের’ ওপর ভিত্তি করে বাছাই করা হচ্ছে ক্রু সদস্য। এখানে আর্সেনৌ ‘প্রত্যাশার’ ভূমিকায় বাছাই হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স।
উল্লেখ্য, ১০ বছর বয়সে হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন আর্সেনৌ। চিকিৎসার জন্য তার পায়ের কিছু হাড় টাইটেনিয়াম দিয়ে বদলানো হয়েছে। সেইন্ট জুডে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ওই একই হাসপাতালে লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় কাজ করছেন তিনি। অভিযানটি সফল হলে সবচেয়ে কম বয়সে মহাকাশে যাওয়া মার্কিন নাগরিকও হতে পারেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এবার মহাকাশ মিশন ‘অল সিভিলিয়ান’
দ্বিতীয় যাত্রী হেইলি আর্সেনৌ
স্পেসএক্স তাদের দ্বিতীয় মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা সম্প্র্রতি ঘোষণা করেছে। এটি হবে বেসরকারিভাবে উদীয়মান স্পেসফ্লাইট এবং পর্যটনশিল্পের জন্য একটি বড় মাইলফলক। এবারের অভিযানে সব অসামরিক যাত্রী যাবেন মহাকাশে। সেই তালিকায় রয়েছে সেইন্ট জুড চিলড্রেন’স রিসার্চ হসপিটালের সহকারী চিকিৎসক হেইলি আর্সেনৌ। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর ‘ইনস্পিরেশন ৪’ অভিযানের অংশ হিসাবে ক্রু ড্রাগন ক্যাপসিউলে করে পাঁচ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবেন আর্সেনৌ।
দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুসারে মার্কিন মহাকাশ অভিযানে সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্যরাই থাকেন। এর বাইরে প্রয়োজন অনুসারে যুক্ত হন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী বা চিকিৎসকরা। একই রেওয়াজ পালন করে রাশিয়া ও চীনসহ অন্যান্য দেশও। নাসার প্রথম অভিযানে ৩৩০ নভোচারীর মধ্যে দু’শতাধিকই ছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্য। কোনো নভোযানে সব অসামরিক যাত্রী বহন করার ঘটনা ঘটেনি এখন পর্যন্ত। সেই রেওয়াজই এবার ভাঙতে যাচ্ছে স্পেসএক্স। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এক অভিযানে সব অসামরিক নভোচারী যাবেন এক মহাকাশ অভিযানে। এ ‘অভিযানের চার স্তম্ভ- নেতৃত্ব, প্রত্যাশা, উদারতা এবং উন্নয়নের’ ওপর ভিত্তি করে বাছাই করা হচ্ছে ক্রু সদস্য। এখানে আর্সেনৌ ‘প্রত্যাশার’ ভূমিকায় বাছাই হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স।
উল্লেখ্য, ১০ বছর বয়সে হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন আর্সেনৌ। চিকিৎসার জন্য তার পায়ের কিছু হাড় টাইটেনিয়াম দিয়ে বদলানো হয়েছে। সেইন্ট জুডে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ওই একই হাসপাতালে লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় কাজ করছেন তিনি। অভিযানটি সফল হলে সবচেয়ে কম বয়সে মহাকাশে যাওয়া মার্কিন নাগরিকও হতে পারেন তিনি।