এমএফএসে ক্যাশলেস ৪৩ শতাংশ লেনদেন
jugantor
এমএফএসে ক্যাশলেস ৪৩ শতাংশ লেনদেন

  আইটি ডেস্ক  

১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

প্রযুক্তির অগ্রগতির এ সময়ে প্রতিনিয়ত মানুষ এ খাতের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। প্রযুক্তির অন্যতম আশীর্বাদ স্মার্টফোন। এ ডিভাইসটি হাতে থাকার অর্থ পুরো পৃথিবী যেন হাতের মুঠোয়। শুধু যোগাযোগ নয় বরং মিটিং, ক্লাস, রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি, বিনোদন এমনকি অর্থ লেনদেনও এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। প্রযুক্তির হাত ধরে প্রচলিত আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের হাওয়া আসে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। গত ৪০ বছরে প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উৎকর্ষ সাধন হয়েছে। লেনদেন করতে এখন ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসে স্মার্টফোনেই কাজ করা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোবাইলে লেনদেন সেবা এমএফএস-এর মাধ্যমে গত অক্টোবরে একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে ১৯ হাজার ৭১০ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছেন। এ মাধ্যমে কেনাকাটা হয়েছে ২ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। এ ছাড়াও সরকারি ভাতা বিতরণ হয়েছে ৪৪ কোটি টাকার, বেতন দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা ও মোবাইল রিচার্জ হয়েছে ৬৬৬ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ হিসাব বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ৪৩ শতাংশ লেনদেনই হচ্ছে এখন ক্যাশলেস।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের একই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ ছিল ক্যাশলেস লেনদেন। আর ৭০ শতাংশ লেনদেন হতো নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলনে। সেই হিসাবে, দুই বছরের ব্যবধানে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে, তার বিপরীতে কমেছে নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলন।

ডাক বিভাগের ‘নগদ’ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩টি এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে এই সেবায় লেনদেন হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৬৫ হাজার ১৪১ কোটি টাকা।

সদ্য বিদয়ী বছরের অক্টোবরে মোট লেনদেনের মধ্যে টাকা জমা হয়েছিল ২১ হাজার ৪৯ কোটি ও উত্তোলিত হয়েছিল ১৭ হাজার ৬৮১ কোটি। ফলে মোট লেনদেনে ৫৭ শতাংশই ছিল জমা ও উত্তোলন। বাকি ৪৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ক্যাশলেস।

এমএফএসে ক্যাশলেস ৪৩ শতাংশ লেনদেন

 আইটি ডেস্ক 
১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

প্রযুক্তির অগ্রগতির এ সময়ে প্রতিনিয়ত মানুষ এ খাতের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। প্রযুক্তির অন্যতম আশীর্বাদ স্মার্টফোন। এ ডিভাইসটি হাতে থাকার অর্থ পুরো পৃথিবী যেন হাতের মুঠোয়। শুধু যোগাযোগ নয় বরং মিটিং, ক্লাস, রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি, বিনোদন এমনকি অর্থ লেনদেনও এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। প্রযুক্তির হাত ধরে প্রচলিত আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের হাওয়া আসে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। গত ৪০ বছরে প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উৎকর্ষ সাধন হয়েছে। লেনদেন করতে এখন ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসে স্মার্টফোনেই কাজ করা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোবাইলে লেনদেন সেবা এমএফএস-এর মাধ্যমে গত অক্টোবরে একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে ১৯ হাজার ৭১০ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছেন। এ মাধ্যমে কেনাকাটা হয়েছে ২ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। এ ছাড়াও সরকারি ভাতা বিতরণ হয়েছে ৪৪ কোটি টাকার, বেতন দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা ও মোবাইল রিচার্জ হয়েছে ৬৬৬ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ হিসাব বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ৪৩ শতাংশ লেনদেনই হচ্ছে এখন ক্যাশলেস।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালের একই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ ছিল ক্যাশলেস লেনদেন। আর ৭০ শতাংশ লেনদেন হতো নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলনে। সেই হিসাবে, দুই বছরের ব্যবধানে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে, তার বিপরীতে কমেছে নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলন।

ডাক বিভাগের ‘নগদ’ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩টি এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে এই সেবায় লেনদেন হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৬৫ হাজার ১৪১ কোটি টাকা।

সদ্য বিদয়ী বছরের অক্টোবরে মোট লেনদেনের মধ্যে টাকা জমা হয়েছিল ২১ হাজার ৪৯ কোটি ও উত্তোলিত হয়েছিল ১৭ হাজার ৬৮১ কোটি। ফলে মোট লেনদেনে ৫৭ শতাংশই ছিল জমা ও উত্তোলন। বাকি ৪৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ক্যাশলেস।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন