সন্তানের আত্মহত্যায় মেটার বিরুদ্ধে মায়ের মামলা
আইটি ডেস্ক
২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ফেসবুকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’ ও ‘স্ন্যাপ’-এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটের অঙ্গরাজ্যের এক মা। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের এনফিল্ড শহরে বসবাসকারী ১১ বছর বয়সি সেলিনা রডিগুয়েজ আত্মহত্যা করে। তার এই আত্মহত্যার জন্য তার মা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিপজ্জনক ফিচারকে দায়ী করেছে।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিরূপ প্রভাব নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই এলো এই মামলার খবর। জানা গেছে, এ দুই প্রতিষ্ঠানের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতি আসক্তিই সন্তানের আত্মহত্যার মূল কারণ বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সেলেনা রডরিগেজের মা’র পক্ষে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে মামলা দায়ের করেছে ‘স্যোশাল মিডিয়া ভিকটিমস ল সেন্টার (এসএমভিএলসি) নামের একটি সংগঠন। বিবৃতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সেলেনা ‘চরমভাবে’ ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটে আসক্ত ছিলেন।
একাধিকবার সন্তানের ডিভাইস জব্দ করেছিলেন মা। কিন্তু সামজিক মাধ্যম ব্যবহারের জন্য সেলেনা পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে।
২০২১ সালের ২১ জুলাই জীবনাবসান ঘটানোর আগের কয়েক মাস হতাশায় ভুগেছেন সেলেনা, রাতে ঘুম হতো না ওই শিশুর। কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমের প্রতি আরও বেশি আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
এ ছাড়াও স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সেলেনা একাধিকবার যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে মামলায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে দায়েরকৃত মামলায় মেটা ও স্ন্যাপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বলছে, উভয় প্রতিষ্ঠান ‘জেনেশুনে ও ইচ্ছাকৃতভাবে’ এমন পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করেছে, যা ‘উল্লেখযোগ্য’সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্কের জন্য ক্ষতিকর।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সন্তানের আত্মহত্যায় মেটার বিরুদ্ধে মায়ের মামলা
ফেসবুকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’ ও ‘স্ন্যাপ’-এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটের অঙ্গরাজ্যের এক মা। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের এনফিল্ড শহরে বসবাসকারী ১১ বছর বয়সি সেলিনা রডিগুয়েজ আত্মহত্যা করে। তার এই আত্মহত্যার জন্য তার মা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিপজ্জনক ফিচারকে দায়ী করেছে।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিরূপ প্রভাব নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই এলো এই মামলার খবর। জানা গেছে, এ দুই প্রতিষ্ঠানের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতি আসক্তিই সন্তানের আত্মহত্যার মূল কারণ বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সেলেনা রডরিগেজের মা’র পক্ষে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে মামলা দায়ের করেছে ‘স্যোশাল মিডিয়া ভিকটিমস ল সেন্টার (এসএমভিএলসি) নামের একটি সংগঠন। বিবৃতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সেলেনা ‘চরমভাবে’ ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটে আসক্ত ছিলেন।
একাধিকবার সন্তানের ডিভাইস জব্দ করেছিলেন মা। কিন্তু সামজিক মাধ্যম ব্যবহারের জন্য সেলেনা পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে।
২০২১ সালের ২১ জুলাই জীবনাবসান ঘটানোর আগের কয়েক মাস হতাশায় ভুগেছেন সেলেনা, রাতে ঘুম হতো না ওই শিশুর। কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমের প্রতি আরও বেশি আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
এ ছাড়াও স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সেলেনা একাধিকবার যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে মামলায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে দায়েরকৃত মামলায় মেটা ও স্ন্যাপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বলছে, উভয় প্রতিষ্ঠান ‘জেনেশুনে ও ইচ্ছাকৃতভাবে’ এমন পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করেছে, যা ‘উল্লেখযোগ্য’সংখ্যক অপ্রাপ্তবয়স্কের জন্য ক্ষতিকর।