ভূমিকম্প চিহ্নিত করবে সাগরতলের ইন্টারনেট কেবল
নতুন প্রযুক্তি
আইটি ডেস্ক
২২ মে ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ভূমিকম্প ও সুনামি চিহ্নিত করা যাবে সাগরতলে ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেট কেবল দিয়ে। সাগরতলে ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেট কেবল দিয়েই ভূমিকম্প চিহ্নিত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। ওই কেবলগুলো দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সমুদ্রের স্রোতে পরিবর্তনের বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি (এনপিএল) এবং তাদের সহযোগীদের দাবি, গভীর সমুদ্রের ‘সায়েন্টিফিক সেন্সর’ হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব ইন্টারনেট কেবলগুলো।
সম্প্রতি ‘সায়েন্স ম্যাগাজিনে’ গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়। গবেষকরা বলছেন, সমুদ্রের তলদেশের নজর রাখার জন্য স্থায়ী সেন্সর যোগ করার প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল হওয়ায় বৈশ্বিক পর্যায়ে এমন সেন্সরের সংখ্যা খুবই কম। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ডেটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেক অপটিক্যাল-ফাইবার কেবল ছড়িয়ে আছে সমুদ্রের তলদেশে। এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের তলদেশে ছড়িয়ে থাকা ফাইবার-অপটিক কেবলের সংখ্যা ৪৩০টিরও বেশি। কেবলগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৩ লাখ কিলোমিটার। পারিপার্শ্বিক কম্পন, চাপ ও তাপের তারতম্যে প্রভাবিত হয় কেবলগুলোর ভেতরের ডেটা প্রবাহ। আর এ ডেটা প্রবাহের পরিবর্তনগুলো উচ্চমাত্রায় সংবদেনশীল যন্ত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব।
গবেষকরা জানিয়েছে, কানাডার হ্যালিফ্যাক্স আর যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্ট, ল্যাঙ্কাশায়ারের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী অপটিক্যাল-ফাইবারের মাধ্যমে ভূমিকম্প এবং ঢেউ ও স্রোতপ্রবাহে পরিবর্তন চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এ ক্ষেত্রে গবেষকরা পুরো অপটিক্যাল কেবলের ছোট ছোট অংশগুলোকে আলাদা সেন্সর হিসাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
ড. মাররা বলেন, ‘আমরা যদি একই কৌশল আরও বেশি সংখ্যক কেবলের ওপর প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে আমরা সমুদ্রতলের এ অবকাঠামোকে ভূমিকম্প ও সাগরের সে াতসহ আরও অনেক কিছু চিহ্নিত করার বিশাল মাধ্যমে পরিণত করতে পারব। স্থলভাগে অবস্থিত সাইসমোমিটারের মতোই কেবলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল চিহ্নিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নতুন প্রযুক্তি
ভূমিকম্প চিহ্নিত করবে সাগরতলের ইন্টারনেট কেবল
ভূমিকম্প ও সুনামি চিহ্নিত করা যাবে সাগরতলে ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেট কেবল দিয়ে। সাগরতলে ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেট কেবল দিয়েই ভূমিকম্প চিহ্নিত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। ওই কেবলগুলো দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সমুদ্রের স্রোতে পরিবর্তনের বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি (এনপিএল) এবং তাদের সহযোগীদের দাবি, গভীর সমুদ্রের ‘সায়েন্টিফিক সেন্সর’ হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব ইন্টারনেট কেবলগুলো।
সম্প্রতি ‘সায়েন্স ম্যাগাজিনে’ গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়। গবেষকরা বলছেন, সমুদ্রের তলদেশের নজর রাখার জন্য স্থায়ী সেন্সর যোগ করার প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল হওয়ায় বৈশ্বিক পর্যায়ে এমন সেন্সরের সংখ্যা খুবই কম। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ডেটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেক অপটিক্যাল-ফাইবার কেবল ছড়িয়ে আছে সমুদ্রের তলদেশে। এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের তলদেশে ছড়িয়ে থাকা ফাইবার-অপটিক কেবলের সংখ্যা ৪৩০টিরও বেশি। কেবলগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৩ লাখ কিলোমিটার। পারিপার্শ্বিক কম্পন, চাপ ও তাপের তারতম্যে প্রভাবিত হয় কেবলগুলোর ভেতরের ডেটা প্রবাহ। আর এ ডেটা প্রবাহের পরিবর্তনগুলো উচ্চমাত্রায় সংবদেনশীল যন্ত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব।
গবেষকরা জানিয়েছে, কানাডার হ্যালিফ্যাক্স আর যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্ট, ল্যাঙ্কাশায়ারের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী অপটিক্যাল-ফাইবারের মাধ্যমে ভূমিকম্প এবং ঢেউ ও স্রোতপ্রবাহে পরিবর্তন চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এ ক্ষেত্রে গবেষকরা পুরো অপটিক্যাল কেবলের ছোট ছোট অংশগুলোকে আলাদা সেন্সর হিসাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
ড. মাররা বলেন, ‘আমরা যদি একই কৌশল আরও বেশি সংখ্যক কেবলের ওপর প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে আমরা সমুদ্রতলের এ অবকাঠামোকে ভূমিকম্প ও সাগরের সে াতসহ আরও অনেক কিছু চিহ্নিত করার বিশাল মাধ্যমে পরিণত করতে পারব। স্থলভাগে অবস্থিত সাইসমোমিটারের মতোই কেবলভিত্তিক সেন্সরের মাধ্যমে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল চিহ্নিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষকরা।