ফুলেফেঁপে উঠেছে ফেইক রিভিউ বাণিজ্য
করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল খাত ছিল ই-কমার্স। লকডাউনে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষের যে কোনো কিছু কেনাকাটায় ভরসা করতে হয় অনলাইন তথা ই-কমার্সের ওপর। অথচ শত শত মিলিয়ন ডলারের দ্রুত সম্প্রসারণশীল ব্যবসা এখন এ ফেইক রিভিউয়ের জগৎ। এ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনেও চলছে ফেক রিভিওর কারবার। হাজার হাজার মানুষ অ্যামাজনের টেলিগ্রাম ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং চ্যানেলে যোগ দিচ্ছেন। এখানে নামপরিচয় অজ্ঞাত মধ্যস্থতাকারীরা তাদের কাজে নেন। সেই কাজটি হলো অর্থের বিনিময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেইসের পণ্যের জন্য ‘ফাইভ স্টার রিভিউ’ লিখে দেওয়া।
গত বছর প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, লস অ্যাঞ্জেলেসের গবেষণা অনুসারে, এসব ফেইক রিভিউ একটি পণ্যের রেটিং বাড়িয়ে দিতে পারে, পণ্যটিকে অ্যামাজন তালিকায় সামনে নিয়ে আসতে পারে এবং আরও বেশি সংখ্যক ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে।
এমনকি ফ্রি পণ্যের বিনিময়ে রিভিউয়ের বিষয়টি সাম্প্রতিক মাসগুলোয় অস্বাভাবিক সংখ্যায় বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩৭ বছর বয়সি এক সিসিলীয় বলেছেন, উপার্জন বাড়াতে প্রতি মাসে এমন কয়েক ডজন ফ্রি পাওয়া পণ্য তিনি নিজেই ফের বিক্রি করে দিয়েছেন।
‘এটি খুব নৈতিক কাজ হচ্ছে না, আইনসঙ্গতও নয়। তবে এটি আমাকে কয়েকটি জিনিসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে যেটি আমি আর কোনোভাবে মেটাতে পারছিলাম না।’ বলছিলেন ইতালির এক রিভিওয়ার। তিনি নিজ পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। কারণ, পরিচয় ফাঁস হয়ে গেলে অ্যামাজনের ইতালিয়ান সাইট তাকে নিষিদ্ধ করে দেবে।
অ্যামাজন বলছে, ভুয়া রিভিউ ঠেকানোর জন্য তারা যথেষ্ট উদ্যোগী। যেসব রিভিউ ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোতেও তারা সবসময়ই ফেইক রিভিউয়ের লক্ষণগুলো খুঁজে দেখেন। সেইসঙ্গে, বিধি লঙ্ঘন করেছে এমন কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া বা নিষিদ্ধ করার জন্যও প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তুত। এ ছাড়া অ্যামাজন দাবি করেছে, তারা যথাসাধ্য করছে এবং তারা নিয়মিতই হাজার হাজার রিভিউ মুছে ফেলে। তবে বাস্তবতা হলো এমন রিভিউ আছে লাখ লাখ।
গ্রাহকদের রিভিউয়ের মান বজায় রাখতে আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অ্যামাজনে প্রকাশিত প্রতিটি রিভিউ যেন সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা উদ্ভাবন চালিয়ে যাব, বলেছে ইকমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।
ফুলেফেঁপে উঠেছে ফেইক রিভিউ বাণিজ্য
আইটি ডেস্ক
১৪ আগস্ট ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল খাত ছিল ই-কমার্স। লকডাউনে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষের যে কোনো কিছু কেনাকাটায় ভরসা করতে হয় অনলাইন তথা ই-কমার্সের ওপর। অথচ শত শত মিলিয়ন ডলারের দ্রুত সম্প্রসারণশীল ব্যবসা এখন এ ফেইক রিভিউয়ের জগৎ। এ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনেও চলছে ফেক রিভিওর কারবার। হাজার হাজার মানুষ অ্যামাজনের টেলিগ্রাম ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং চ্যানেলে যোগ দিচ্ছেন। এখানে নামপরিচয় অজ্ঞাত মধ্যস্থতাকারীরা তাদের কাজে নেন। সেই কাজটি হলো অর্থের বিনিময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেইসের পণ্যের জন্য ‘ফাইভ স্টার রিভিউ’ লিখে দেওয়া।
গত বছর প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, লস অ্যাঞ্জেলেসের গবেষণা অনুসারে, এসব ফেইক রিভিউ একটি পণ্যের রেটিং বাড়িয়ে দিতে পারে, পণ্যটিকে অ্যামাজন তালিকায় সামনে নিয়ে আসতে পারে এবং আরও বেশি সংখ্যক ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে।
এমনকি ফ্রি পণ্যের বিনিময়ে রিভিউয়ের বিষয়টি সাম্প্রতিক মাসগুলোয় অস্বাভাবিক সংখ্যায় বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩৭ বছর বয়সি এক সিসিলীয় বলেছেন, উপার্জন বাড়াতে প্রতি মাসে এমন কয়েক ডজন ফ্রি পাওয়া পণ্য তিনি নিজেই ফের বিক্রি করে দিয়েছেন।
‘এটি খুব নৈতিক কাজ হচ্ছে না, আইনসঙ্গতও নয়। তবে এটি আমাকে কয়েকটি জিনিসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে যেটি আমি আর কোনোভাবে মেটাতে পারছিলাম না।’ বলছিলেন ইতালির এক রিভিওয়ার। তিনি নিজ পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। কারণ, পরিচয় ফাঁস হয়ে গেলে অ্যামাজনের ইতালিয়ান সাইট তাকে নিষিদ্ধ করে দেবে।
অ্যামাজন বলছে, ভুয়া রিভিউ ঠেকানোর জন্য তারা যথেষ্ট উদ্যোগী। যেসব রিভিউ ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোতেও তারা সবসময়ই ফেইক রিভিউয়ের লক্ষণগুলো খুঁজে দেখেন। সেইসঙ্গে, বিধি লঙ্ঘন করেছে এমন কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া বা নিষিদ্ধ করার জন্যও প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তুত। এ ছাড়া অ্যামাজন দাবি করেছে, তারা যথাসাধ্য করছে এবং তারা নিয়মিতই হাজার হাজার রিভিউ মুছে ফেলে। তবে বাস্তবতা হলো এমন রিভিউ আছে লাখ লাখ।
গ্রাহকদের রিভিউয়ের মান বজায় রাখতে আমরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অ্যামাজনে প্রকাশিত প্রতিটি রিভিউ যেন সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা উদ্ভাবন চালিয়ে যাব, বলেছে ইকমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023