মেটাভার্সে পুলিশিং করবে ইন্টারপোল
‘মেটাভার্স’ নতুন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্ম দিতে পারে এবং বিদ্যমান অপরাধকে বৃহত্তর পরিসরে সংঘটিত করার ক্ষমতা রাখে। দাবি করেছে বৈশ্বিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। অনলাইন দুনিয়ায় ‘মেটাভার্স’ নতুন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটি বলছে, ‘মেটাভার্স’ নতুন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্ম দিতে পারে এবং বিদ্যমান অপরাধকে বৃহত্তর পরিসরে সংঘটিত করারও ক্ষমতা রাখে। এ আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে অন্তর্জালের নতুন সংস্করণ মেটাভার্সে পুলিশিংয়ের উপায় খুঁজছে ইন্টারপোল। বিবিসি।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটির মহাসচিব জার্গেন স্টক বলেন, ‘পেশাদার অপরাধীরা দ্রুত নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে অপরাধের উপায় বের করে ফেলে। আমাদের সেজন্য তৈরি থাকতে হবে। মেটাভার্সের মতো অন্যান্য প্রযুক্তিতে অপরাধীদের বিচরণ রয়েছে। অপরাধী এগুলো ব্যবহার করে অপরাধ করছে। আমরা যদি মেটাভার্সে অপরাধ ঠেকানোর উপায় বের করতে দেরি করি তাহলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
ইন্টারপোলের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ড. মদন ওবেরয় বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ভুক্তভোগীকে যদি সাহায্য করতে চায় তাহলে তাদের আগে জানতে হবে মেটাভার্স কী। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য তাদের সেটা জানানো এবং মেটাভার্স ব্যবহারে প্রস্তুত করে তোলা।’
ধারণা করা হচ্ছে, মেটাভার্সই হবে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগৎকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতো, যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো কিছু শুধু দেখা নয়, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলাও যাবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মেটাভার্সে পুলিশিং করবে ইন্টারপোল
‘মেটাভার্স’ নতুন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্ম দিতে পারে এবং বিদ্যমান অপরাধকে বৃহত্তর পরিসরে সংঘটিত করার ক্ষমতা রাখে। দাবি করেছে বৈশ্বিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। অনলাইন দুনিয়ায় ‘মেটাভার্স’ নতুন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটি বলছে, ‘মেটাভার্স’ নতুন ধরনের সাইবার অপরাধের জন্ম দিতে পারে এবং বিদ্যমান অপরাধকে বৃহত্তর পরিসরে সংঘটিত করারও ক্ষমতা রাখে। এ আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে অন্তর্জালের নতুন সংস্করণ মেটাভার্সে পুলিশিংয়ের উপায় খুঁজছে ইন্টারপোল। বিবিসি।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটির মহাসচিব জার্গেন স্টক বলেন, ‘পেশাদার অপরাধীরা দ্রুত নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে অপরাধের উপায় বের করে ফেলে। আমাদের সেজন্য তৈরি থাকতে হবে। মেটাভার্সের মতো অন্যান্য প্রযুক্তিতে অপরাধীদের বিচরণ রয়েছে। অপরাধী এগুলো ব্যবহার করে অপরাধ করছে। আমরা যদি মেটাভার্সে অপরাধ ঠেকানোর উপায় বের করতে দেরি করি তাহলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
ইন্টারপোলের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ড. মদন ওবেরয় বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ভুক্তভোগীকে যদি সাহায্য করতে চায় তাহলে তাদের আগে জানতে হবে মেটাভার্স কী। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য তাদের সেটা জানানো এবং মেটাভার্স ব্যবহারে প্রস্তুত করে তোলা।’
ধারণা করা হচ্ছে, মেটাভার্সই হবে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগৎকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতো, যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো কিছু শুধু দেখা নয়, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলাও যাবে।