যুগান্তর ডেস্ক ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ- এ ধরনের যে কোনো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে আসা নীল আলো ব্যবহারকারীদের চোখের ক্ষতি করতে পারে। আর এর ফলে বয়সজনিত ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন সৃষ্টি হতে পারে, নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন হচ্ছে চোখের প্রতিকার অযোগ্য একটি রোগ। ফলে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়স থেকে রোগীর দৃষ্টিশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে থাকে। এ রোগের ফলে রেটিনার ফটোরিসেপ্টর কোষগুলো মারা যায়, আলো শনাক্তের পর তার সংকেত মস্তিষ্কে পাঠাতে এ রেটিনাল কাজে লাগে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক গবেষকের করা এ গবেষণায় দেখা যায়, নীল আলো রেটিনায় এমন ক্রিয়া করে যার ফলে ফটোরিসেপ্টর কোষগুলোয় বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োর ইউনিভার্সিটি অফ টুলিডোর সহকারী অধ্যাপক আজিত কারুনারাথনে বলেন, ‘আমরা অব্যাহতভাবে নীল আলো দেখে যাচ্ছি, আর চোখের কর্ণিয়া ও লেন্স এটি থামাতে বা প্রতিফলিত করতেও পারে না। ‘নীল আলো যে চোখের রেটিনা নষ্ট করার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি করছে তা গোপন কিছু নয়। ’
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী কাসুন রাতনায়েক বলেন, ‘ফটোরিসেপ্টর চোখে নতুন করে তৈরি হয় না। এগুলো যখন মারা যায়, ওই শূন্যতা আর পূরণ হয় না।’ কারুনারাথনে বলেন, ‘নীল আলোর মাধ্যমে রেটিনাল বিষাক্ততা সর্বজনীন। এটি যে কোনো ধরনের কোষ মেরে ফেলতে পারে।’
সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামের এক জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীরের ক্যান্সার কোষ, হৃৎপিণ্ডের কোষ আর নিউরনসহ বিভিন্ন কোষে নীল আলো দেয়ার পর গবেষকরা দেখেন যে এগুলোও রেটিনাল বিষাক্ততার সঙ্গে মেলার ফলে মারা যায়।
রেটিনাল ছাড়া শুধু নীল আলো বা নীল আলো ছাড়া রেটিনাল কোনো কোষে কোনো প্রভাব ফেলে না। এ থেকে চোখ বাঁচাতে অতিবেগুনি রশ্মি ও নীল আলো ঠেকায় এমন চশমা পরতে ও অন্ধকারে সেলফোন বা ট্যাবলেটের দিকের না তাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন এ গবেষক। বিডিনিউজ -আইটি ডেস্ক
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯