পেঁয়াজ ১শ’ টাকার কমে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই
রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে বেশি দামে বিক্রি, ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
যুগান্তর রিপোর্ট ও রংপুর ব্যুরো
০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পেঁয়াজ ১শ’ টাকার কমে পাওয়ার আপাতত সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, মিসর থেকে ৫০ টন পেঁয়াজ এলে দেশে পেঁয়াজের দাম একটু কমবে।
শুক্রবার রংপুরের একটি হোটেলে ইটভাটা মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে মূলত আমরা পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। সেখানেই বর্তমানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৮০ টাকা। তা আমাদের দেশে ১শ’ টাকা হবে। তাই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে কোনো লাভ নেই।
তাই আপাতত পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে।
তিনি বলেন, যারা পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি করছেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। পেয়াজের বাজার দর মনিটরিং করার জন্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বাজার দর প্রতি কেজি ১শ’ টাকার কম হওয়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ নিয়ে কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রংপর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুবার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে রাজধানীতে পেঁয়াজের দামে কারসাজি করে বেশি দামে বিক্রি করায় চার পাইকারি প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় এনেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম।
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে এ চার প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার পেঁয়াজের সর্ববৃহৎ পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল।
এছাড়া অভিযানকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
অভিযান শেষে আবদুল জব্বার মণ্ডল যুগান্তরকে বলেন, পেঁয়াজের দামে নৈরাজ্য ঠেকাতে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজের আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সেখানে আড়তদারদের মালিক সমিতি আমদানি করা ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী তুরস্ক, মিসর ও চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা।
আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৮০-৮৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবে।
কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে, কয়েকটি আড়তে ৬০ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৯০ টাকা কেজি বিক্রির কথা থাকলেও পাইকাররা বিক্রি করেছে ১০৬ টাকায়। যাতে তাদের সমিতির দেয়া নির্দেশ ভঙ্গ হয়েছে।
তাই এসব প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এজন্য নগর বাণিজ্যালয়কে ২০ হাজার টাকা, আমানত ভাণ্ডারকে ২০ হাজার টাকা, নিউ বাণিজ্যালয়কে ২০ হাজার টাকা ও আলহাজ বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, যা চলমান থাকবে।
অভিযানের সময় অনিয়ম পেলে দোষীদের জরিমানার পাশাপাশি বিশেষভাবে সতর্কও করেছি। ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের অপরাধ পুনরায় করলে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। কারণ কোনোভাবে অনৈতিক কাজ করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী
পেঁয়াজ ১শ’ টাকার কমে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই
রাজধানীতে বেশি দামে বিক্রি, ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পেঁয়াজ ১শ’ টাকার কমে পাওয়ার আপাতত সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, মিসর থেকে ৫০ টন পেঁয়াজ এলে দেশে পেঁয়াজের দাম একটু কমবে।
শুক্রবার রংপুরের একটি হোটেলে ইটভাটা মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে মূলত আমরা পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। সেখানেই বর্তমানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৮০ টাকা। তা আমাদের দেশে ১শ’ টাকা হবে। তাই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে কোনো লাভ নেই।
তাই আপাতত পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে।
তিনি বলেন, যারা পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি করছেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। পেয়াজের বাজার দর মনিটরিং করার জন্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বাজার দর প্রতি কেজি ১শ’ টাকার কম হওয়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ নিয়ে কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন রংপর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুবার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে রাজধানীতে পেঁয়াজের দামে কারসাজি করে বেশি দামে বিক্রি করায় চার পাইকারি প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় এনেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম।
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে এ চার প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার পেঁয়াজের সর্ববৃহৎ পাইকারি আড়ত শ্যামবাজারে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার তদারকি টিম পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল।
এছাড়া অভিযানকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
অভিযান শেষে আবদুল জব্বার মণ্ডল যুগান্তরকে বলেন, পেঁয়াজের দামে নৈরাজ্য ঠেকাতে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজের আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সেখানে আড়তদারদের মালিক সমিতি আমদানি করা ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী তুরস্ক, মিসর ও চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা।
আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৮০-৮৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবে।
কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে, কয়েকটি আড়তে ৬০ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৯০ টাকা কেজি বিক্রির কথা থাকলেও পাইকাররা বিক্রি করেছে ১০৬ টাকায়। যাতে তাদের সমিতির দেয়া নির্দেশ ভঙ্গ হয়েছে।
তাই এসব প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এজন্য নগর বাণিজ্যালয়কে ২০ হাজার টাকা, আমানত ভাণ্ডারকে ২০ হাজার টাকা, নিউ বাণিজ্যালয়কে ২০ হাজার টাকা ও আলহাজ বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, যা চলমান থাকবে।
অভিযানের সময় অনিয়ম পেলে দোষীদের জরিমানার পাশাপাশি বিশেষভাবে সতর্কও করেছি। ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের অপরাধ পুনরায় করলে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। কারণ কোনোভাবে অনৈতিক কাজ করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।