ঢাবি প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আঞ্চলিক স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিক সমাধানের আহ্বান এসেছে গণহত্যাবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে। বাংলা একাডেমিতে শুক্রবার ১৯৭১-এর গণহত্যা, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিক সমাধান যদি না হয়, এ অঞ্চলে, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে শিগগির বিভিন্ন অন্তর্ঘাতমূলক সংঘাত তৈরি হবে। যে জঙ্গি-মৌলবাদী কাজ শুরু হবে, সেটা থেকে ভারত, বাংলাদেশ বাদ পড়বে না। সার্কের স্বার্থেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে ড. মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক শিল্পী হাশেম খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখক হিরণ্ময় কার্লেকার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
সম্মেলনে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, যুক্তরাজ্য থেকে ৫০ জন বিশেষজ্ঞ গবেষক যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া সারা দেশ থেকে এসেছেন শতাধিক গবেষক। প্রথম দিনের ৬টি অধিবেশনে ২৮ জন গবেষক তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বক্তব্য দেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ভারতের জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জয়তি শ্রীবাস্তব, তুরস্কের লেখক, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক ফেরহাত আতিক। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় এ আয়োজন করে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারছি না বৃহৎ শক্তিবর্গের জন্য। চীন ও ভারতের স্বার্থ আমাদের বাধা দিচ্ছে। এর জন্য আমাদের দণ্ড দিতে হচ্ছে। আশা করব, রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। তিনি বলেন, যদি আমরা পাকিস্তানিদের বিচার করতে পারতাম তাহলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এ কাজ করার সাহস পেত না।
এই ইতিহাসবিদ আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা প্রথম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। তবে একটি দুঃখ আছে- আমরা এখনও পাকিস্তানি বাহিনীর বিচার শুরু করতে পারিনি। তিনি বলেন, হত্যাকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য পৃথিবীর মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ডিজিটাল জেনোসাইড ম্যাপিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা পর্যায়ে জরিপ শেষ হয়েছে। পুরো কাজটি প্রায় শেষের দিকে রয়েছে।
কর্ম অধিবেশন-১-এর সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, নিজেদের বিপদ বুঝতে পারলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিশ্চয়ই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও সক্রিয় হবে।
মিয়ানমারের মানবাধিকার কর্মী খিন জ উইন রোহিঙ্গা ইস্যুকে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা উল্লেখ করে তা মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। এই সমস্যা বেশি দিন জিইয়ে রাখা ঠিক হবে না বলেও মত দেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯