বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা ভালো
অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর ডেস্ক
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। বরং তারা শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছেন।
ভারতের লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি।
লোকসভায় সোমবার অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামাটাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনার অন্যতম কারণ। এর প্রতিক্রিয়ায় মোমেন বলেন, আমরা বলতেই পারি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা এখন খুব ভালো। আগে যারা বিদেশে চলে গিয়েছিলেন, তারাও এখন ফিরে আসছেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিয়ে থাকেন, তাহলে তা ঠিক নয় বলে মনে করেন মোমেন। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতীয়রা কী করলেন, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেটা তারা জানেন। তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা খুব শান্তি এবং সম্প্রীতিতে আছেন।
লোকসভায় বিল পেশ করার সময় অমিত শাহ বাংলাদেশসহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, এই দেশগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলেই সেখানে অন্য ধর্মের মানুষরা নিপীড়িত হচ্ছেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ ঠিক নয়। এখানে সব ধর্মের মানুষই তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিনা বাধায় উদযাপন করে থাকে। এ দেশের নিয়ম হচ্ছে- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাস করি। আমাদের দেশে নির্যাতনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই। বরং ভারতে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা যায়।
এদিকে কূটনৈতিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন ‘শ্রেষ্ঠ সময়’ বা ‘সোনালি অধ্যায়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে দুই দেশের নেতারা প্রায়ই দাবি করে থাকেন। অমিত শাহের এমন বক্তব্যের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, আমি আশা করি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। ব
ন্ধুপ্রতিম ভারত এমন কিছু করবে না, যা উভয় দেশের জনগণের দুশ্চিন্তার কারণ হয় কিংবা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, কী কারণে অমিত শাহ এগুলো বলেছেন, তা ওনাকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। আমি এখনও বিলটি দেখিনি, দেখতে হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা ভালো
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। বরং তারা শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছেন।
ভারতের লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি।
লোকসভায় সোমবার অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামাটাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনার অন্যতম কারণ। এর প্রতিক্রিয়ায় মোমেন বলেন, আমরা বলতেই পারি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা এখন খুব ভালো। আগে যারা বিদেশে চলে গিয়েছিলেন, তারাও এখন ফিরে আসছেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিয়ে থাকেন, তাহলে তা ঠিক নয় বলে মনে করেন মোমেন। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতীয়রা কী করলেন, সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেটা তারা জানেন। তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা খুব শান্তি এবং সম্প্রীতিতে আছেন।
লোকসভায় বিল পেশ করার সময় অমিত শাহ বাংলাদেশসহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, এই দেশগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলেই সেখানে অন্য ধর্মের মানুষরা নিপীড়িত হচ্ছেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ ঠিক নয়। এখানে সব ধর্মের মানুষই তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিনা বাধায় উদযাপন করে থাকে। এ দেশের নিয়ম হচ্ছে- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাস করি। আমাদের দেশে নির্যাতনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই। বরং ভারতে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা যায়।
এদিকে কূটনৈতিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন ‘শ্রেষ্ঠ সময়’ বা ‘সোনালি অধ্যায়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে দুই দেশের নেতারা প্রায়ই দাবি করে থাকেন। অমিত শাহের এমন বক্তব্যের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, আমি আশা করি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। ব
ন্ধুপ্রতিম ভারত এমন কিছু করবে না, যা উভয় দেশের জনগণের দুশ্চিন্তার কারণ হয় কিংবা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে কি না- এ বিষয়ে তিনি বলেন, কী কারণে অমিত শাহ এগুলো বলেছেন, তা ওনাকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। আমি এখনও বিলটি দেখিনি, দেখতে হবে।