লাহোরে প্রথম টি ২০: হেরে শুরু বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

ডিপ মিডউইকেটে মোহাম্মদ রেজওয়ানের সহজ ক্যাচ যদি মোহাম্মদ মিঠুন ফেলে না দিতেন, মহাভারত অশুদ্ধ হতো না পাকিস্তানের। একটি উইকেট বেশি হারাত তারা, এই যা। সৌম্য একটি উইকেট পেতেন। এটুকুই। ওখানেই ম্যাচের সমাপ্তি।
দুই রান নিলেন রেজওয়ান। তিন বল বাকি থাকতে পাকিস্তান প্রথম টি ২০ জিতল পাঁচ উইকেটে। হারের হতাশায় শুরু হল বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর। বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালসে খেলে যাওয়া শোয়েব মালিকের অপরাজিত ৫৮ স্বাগতিকদের ইনিংসের অক্সিজেন।
শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৪২ তাড়া করতে নামা পাকিস্তান প্রথম ওভারেই হারিয়েছিল অধিনায়ক বাবর আজমকে। অভিষিক্ত আহসান আলী (৩৬) ও মালিকের ব্যাটে শেষতক ক্ষুদে ফরম্যাটে টানা পাঁচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল পাকিস্তান। এই মাঠেই গত বছরের শেষদিকে শ্রীলংকার কাছে টানা তিনটি টি ২০ হেরেছিল তারা।
কাল দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ককে হারানোর ধাক্কা সামলে পাকিস্তান নিজেদের সামলে নেয় অভিষিক্ত আহসান আলীর ৩২ বলে ৩৬ এবং মালিকের অভিজ্ঞতার বদান্যতায়। বাংলাদেশের পক্ষে শফিউল ইসলাম দুটি এবং মোস্তাফিজুর, আল-আমিন ও আমিনুল একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে উইকেট বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছে। শট খেলা ঈষৎ দুরূহ ছিল। ম্যাচ শেষে বলে গেলেন রমিজ রাজাকে। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, স্কোর বোর্ডে ১৫ রান কম হয়েছে তাদের।
একাধিক রানআউট ও ক্যাচ মিস করাটাও আফসোস বাড়িয়েছে তার। তবে এসবই ক্রিকেটের অংশ। মেনে নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহও। বাবর আজমও দুষলেন মন্থর উইকেটকে। ম্যাচসেরা শোয়েব মালিক কৃতিত্ব দিলেন তাদের বোলারদের।
ম্যাচের শেষটা বাংলাদেশের জন্য হয়ে রইল প্রতীকী। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দারুণ কিছুর সুযোগ তৈরি করেও নিজেদের ভুলেই সম্ভাবনার অপমৃত্যু।
দীর্ঘ এক যুগ পর পাকিস্তানে প্রথম সফরে যাওয়া বাংলাদেশের শুরু হয় টস জেতার মধ্যদিয়ে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে মাহমুদউল্লাহর প্রতিপক্ষকে ফিল্ডিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈমরা।
উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান তোলা এ দুই ওপেনার নিজেদের ইনিংস প্রলম্বিত করার সুযোগ হাতছাড়া করেন। তামিম ৩৪ বলে ৩৯ করে রানআউট হন। ভালো ব্যাট করতে থাকা তরুণ ওপেনার নাঈম সদ্যসমাপ্ত বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা স্পিনার শাদাব খানের শিকারে পরিণত হন। ৪১ বলে ৪৩ রান করেন রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে খেলা নাঈম তিনটি চার ও একটি ছয়ের সহায়তায়। তামিমের ব্যাট থেকে আসে একটি ছয় ও চারটি চার।
বাংলাদেশের ইনিংসে দুই অঙ্কের রান করেছেন আরও দু’জন। লিটন দাস (১২) ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (১৯*)। একটি করে উইকেট নেন স্বাগতিকদের তিন বোলার শাহিন আফ্রিদি, অভিষিক্ত হারিস রউফ ও শাদাব খান। ওয়াসিম আকরাম বলছিলেন, এ উইকেটে ১৬০/১৬৫ তাড়া করা একটু দুরূহ।
বাংলাদেশ তাই ২০/২৫ রানের আক্ষেপে পুড়তেই পারে। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি ২০ আজ একই ভেন্যুতে একই সময়ে শুরু হবে।
বাংলাদেশ ১৪১/৫, ২০ ওভারে
পাকিস্তান ১৪২/৫, ১৯.৩ ওভারে
ফল : পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লাহোরে প্রথম টি ২০: হেরে শুরু বাংলাদেশের

ডিপ মিডউইকেটে মোহাম্মদ রেজওয়ানের সহজ ক্যাচ যদি মোহাম্মদ মিঠুন ফেলে না দিতেন, মহাভারত অশুদ্ধ হতো না পাকিস্তানের। একটি উইকেট বেশি হারাত তারা, এই যা। সৌম্য একটি উইকেট পেতেন। এটুকুই। ওখানেই ম্যাচের সমাপ্তি।
দুই রান নিলেন রেজওয়ান। তিন বল বাকি থাকতে পাকিস্তান প্রথম টি ২০ জিতল পাঁচ উইকেটে। হারের হতাশায় শুরু হল বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর। বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালসে খেলে যাওয়া শোয়েব মালিকের অপরাজিত ৫৮ স্বাগতিকদের ইনিংসের অক্সিজেন।
শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১৪২ তাড়া করতে নামা পাকিস্তান প্রথম ওভারেই হারিয়েছিল অধিনায়ক বাবর আজমকে। অভিষিক্ত আহসান আলী (৩৬) ও মালিকের ব্যাটে শেষতক ক্ষুদে ফরম্যাটে টানা পাঁচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল পাকিস্তান। এই মাঠেই গত বছরের শেষদিকে শ্রীলংকার কাছে টানা তিনটি টি ২০ হেরেছিল তারা।
কাল দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ককে হারানোর ধাক্কা সামলে পাকিস্তান নিজেদের সামলে নেয় অভিষিক্ত আহসান আলীর ৩২ বলে ৩৬ এবং মালিকের অভিজ্ঞতার বদান্যতায়। বাংলাদেশের পক্ষে শফিউল ইসলাম দুটি এবং মোস্তাফিজুর, আল-আমিন ও আমিনুল একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে উইকেট বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছে। শট খেলা ঈষৎ দুরূহ ছিল। ম্যাচ শেষে বলে গেলেন রমিজ রাজাকে। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, স্কোর বোর্ডে ১৫ রান কম হয়েছে তাদের।
একাধিক রানআউট ও ক্যাচ মিস করাটাও আফসোস বাড়িয়েছে তার। তবে এসবই ক্রিকেটের অংশ। মেনে নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহও। বাবর আজমও দুষলেন মন্থর উইকেটকে। ম্যাচসেরা শোয়েব মালিক কৃতিত্ব দিলেন তাদের বোলারদের।
ম্যাচের শেষটা বাংলাদেশের জন্য হয়ে রইল প্রতীকী। ব্যাটিং-বোলিংয়ে দারুণ কিছুর সুযোগ তৈরি করেও নিজেদের ভুলেই সম্ভাবনার অপমৃত্যু।
দীর্ঘ এক যুগ পর পাকিস্তানে প্রথম সফরে যাওয়া বাংলাদেশের শুরু হয় টস জেতার মধ্যদিয়ে। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে মাহমুদউল্লাহর প্রতিপক্ষকে ফিল্ডিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈমরা।
উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান তোলা এ দুই ওপেনার নিজেদের ইনিংস প্রলম্বিত করার সুযোগ হাতছাড়া করেন। তামিম ৩৪ বলে ৩৯ করে রানআউট হন। ভালো ব্যাট করতে থাকা তরুণ ওপেনার নাঈম সদ্যসমাপ্ত বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা স্পিনার শাদাব খানের শিকারে পরিণত হন। ৪১ বলে ৪৩ রান করেন রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে খেলা নাঈম তিনটি চার ও একটি ছয়ের সহায়তায়। তামিমের ব্যাট থেকে আসে একটি ছয় ও চারটি চার।
বাংলাদেশের ইনিংসে দুই অঙ্কের রান করেছেন আরও দু’জন। লিটন দাস (১২) ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (১৯*)। একটি করে উইকেট নেন স্বাগতিকদের তিন বোলার শাহিন আফ্রিদি, অভিষিক্ত হারিস রউফ ও শাদাব খান। ওয়াসিম আকরাম বলছিলেন, এ উইকেটে ১৬০/১৬৫ তাড়া করা একটু দুরূহ।
বাংলাদেশ তাই ২০/২৫ রানের আক্ষেপে পুড়তেই পারে। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি ২০ আজ একই ভেন্যুতে একই সময়ে শুরু হবে।
বাংলাদেশ ১৪১/৫, ২০ ওভারে
পাকিস্তান ১৪২/৫, ১৯.৩ ওভারে
ফল : পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী