২ লাখ নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনবে ভারত
করোনাভাইরাস
যুগান্তর ডেস্ক
১৫ মে ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
করোনাভাইরাস সংকটের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে যে হাজার হাজার ভারতীয় আটকা পড়ে আছেন, তাদের বিমানে ও জাহাজে করে দেশে ফিরিয়ে আনবে ভারত। প্রথম ধাপে প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি ভারতীয়কে ফেরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে- যেটাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ইভ্যাকুয়েশন। খবর বিবিসি বাংলার।
তবে ভারত এই দফায় নাগরিকদের কাছ থেকে চড়া হারে বিমান ভাড়া নেবে বলে ঘোষণা করেছে। এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন আমেরিকায় আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রী থেকে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের অনেকেই।
১৯৯০-এ প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারের মতো ভারতীয়কে ফিরিয়ে এনেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে এতদিন সেটাই বেসামরিক নাগরিকদের বৃহত্তম ইভ্যাকুয়েশন বলে স্বীকৃত।
চলতি করোনাভাইরাস সংকটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া অন্তত তিন লাখ ভারতীয় দেশে ফিরে আসার জন্য দূতাবাসগুলোয় আবেদন করেছেন। এদের একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে আনতেই ৭ মে থেকে শুরু হয় ভারতের মেগা অভিযান। উদ্ধার করা মানুষের সংখ্যা বা অভিযানের ব্যাপ্তি- দু’দিক থেকেই আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে চলেছে এই অপারেশন। তবে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিশেষ ফ্লাইটে ভাড়া দিয়েই টিকিট কিনতে হবে এবং দেশে ফিরেও চৌদ্দ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তিনি বলেন, লন্ডন থেকে ভারতে আসার ভাড়া হবে ৫০ হাজার রুপি, আমেরিকা থেকে এক লাখ রুপির মতো। ঢাকা-দিল্লি বা ঢাকা-শ্রীনগরের ভাড়া হবে ১২ হাজার রুপির মতো।
ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ- আইএনএস জলশ্ব, আইএনএস মগর ও আইএনএস শার্দুলকেও এই অভিযানে যুক্ত করা হচ্ছে। এই রণতরীগুলো উভচর অর্থাৎ সোজা সমুদ্রতটের বালুতে গিয়েও ভিড়তে পারে আর এগুলোকে কাজে লাগানো হবে মধ্যপ্রাচ্য ও মালদ্বীপে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে।
দেড় মাসেরও ওপর ভারতের আকাশে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ, তারপর সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিদেশে আটকে পড়া অনেক ভারতীয়র মুখেই হাসি ফোটাচ্ছে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী নূপুর প্যাটেল বলছিলেন, চল্লিশ দিনেরও বেশি অপেক্ষা করার পর অবশেষে হাইকমিশন থেকে এই খবর পেয়ে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছি।
আমেরিকায় বহু কলেজ-ইউনিভার্সিটি বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। তারা এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ইভ্যাকুয়েশন ফ্লাইটের খবরেও তেমন আশ্বস্ত নন। নর্থ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টসের কর্ণধার সুধাংশু কৌশিক জানান, এ দেশে বহু ছাত্রছাত্রী খোলা গ্যারেজে রাত কাটাচ্ছেন কারণ তাদের লটবহরসহ বের করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় কিভাবে তারা লাখ টাকা প্লেনের ভাড়া দেবেন?
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
করোনাভাইরাস
২ লাখ নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনবে ভারত
করোনাভাইরাস সংকটের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে যে হাজার হাজার ভারতীয় আটকা পড়ে আছেন, তাদের বিমানে ও জাহাজে করে দেশে ফিরিয়ে আনবে ভারত। প্রথম ধাপে প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি ভারতীয়কে ফেরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে- যেটাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ইভ্যাকুয়েশন। খবর বিবিসি বাংলার।
তবে ভারত এই দফায় নাগরিকদের কাছ থেকে চড়া হারে বিমান ভাড়া নেবে বলে ঘোষণা করেছে। এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন আমেরিকায় আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রী থেকে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের অনেকেই।
১৯৯০-এ প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারের মতো ভারতীয়কে ফিরিয়ে এনেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে এতদিন সেটাই বেসামরিক নাগরিকদের বৃহত্তম ইভ্যাকুয়েশন বলে স্বীকৃত।
চলতি করোনাভাইরাস সংকটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া অন্তত তিন লাখ ভারতীয় দেশে ফিরে আসার জন্য দূতাবাসগুলোয় আবেদন করেছেন। এদের একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে আনতেই ৭ মে থেকে শুরু হয় ভারতের মেগা অভিযান। উদ্ধার করা মানুষের সংখ্যা বা অভিযানের ব্যাপ্তি- দু’দিক থেকেই আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে চলেছে এই অপারেশন। তবে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিশেষ ফ্লাইটে ভাড়া দিয়েই টিকিট কিনতে হবে এবং দেশে ফিরেও চৌদ্দ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তিনি বলেন, লন্ডন থেকে ভারতে আসার ভাড়া হবে ৫০ হাজার রুপি, আমেরিকা থেকে এক লাখ রুপির মতো। ঢাকা-দিল্লি বা ঢাকা-শ্রীনগরের ভাড়া হবে ১২ হাজার রুপির মতো।
ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ- আইএনএস জলশ্ব, আইএনএস মগর ও আইএনএস শার্দুলকেও এই অভিযানে যুক্ত করা হচ্ছে। এই রণতরীগুলো উভচর অর্থাৎ সোজা সমুদ্রতটের বালুতে গিয়েও ভিড়তে পারে আর এগুলোকে কাজে লাগানো হবে মধ্যপ্রাচ্য ও মালদ্বীপে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে।
দেড় মাসেরও ওপর ভারতের আকাশে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ, তারপর সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিদেশে আটকে পড়া অনেক ভারতীয়র মুখেই হাসি ফোটাচ্ছে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী নূপুর প্যাটেল বলছিলেন, চল্লিশ দিনেরও বেশি অপেক্ষা করার পর অবশেষে হাইকমিশন থেকে এই খবর পেয়ে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছি।
আমেরিকায় বহু কলেজ-ইউনিভার্সিটি বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। তারা এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ইভ্যাকুয়েশন ফ্লাইটের খবরেও তেমন আশ্বস্ত নন। নর্থ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টসের কর্ণধার সুধাংশু কৌশিক জানান, এ দেশে বহু ছাত্রছাত্রী খোলা গ্যারেজে রাত কাটাচ্ছেন কারণ তাদের লটবহরসহ বের করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় কিভাবে তারা লাখ টাকা প্লেনের ভাড়া দেবেন?