র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়নি ১০ আসামির
যুগান্তর রিপোর্ট
১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ১০ আসামির মধ্যে এখনও কোনো আসামিকে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়নি।
এদের মধ্যে ৭ জনকে নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার কারাগারে যান র্যাব কর্মকর্তারা। জেল কর্তৃপক্ষও আসামিদের র্যাব হেফাজতে দেয়ার জন্য সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে।
কিন্তু পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়নি। ওই সাত আসামি হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল- সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী- নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।
খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার সকালে জেলগেটে র্যাবের গাড়ি গেলেও তা ফিরে আসে। এর আগে বুধবার র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতার হওয়া আসামিকে ৩ (পুলিশের মামলার সাক্ষী) হেফাজতে নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ যুগান্তরকে জানান, রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিদের র্যাব হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। আগামী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে।
তবে সব আসামিকে একসঙ্গে হেফাজতে নাও নেয়া হতে পারে। পর্যায়ক্রমে সবার রিমান্ড কার্যকর করা হবে। তিনি জানান, সবার আগে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত এ মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসামি। তাই তাদের সবার শেষে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে।
৩১ আগস্ট রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সিনহা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে।
৫ আগস্ট বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ মামলায় ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে র্যাব আরও তিনজনকে (পুলিশের করা মামলার সাক্ষী) গ্রেফতার করে। এরই মধ্যে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়নি ১০ আসামির
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ১০ আসামির মধ্যে এখনও কোনো আসামিকে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়নি।
এদের মধ্যে ৭ জনকে নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার কারাগারে যান র্যাব কর্মকর্তারা। জেল কর্তৃপক্ষও আসামিদের র্যাব হেফাজতে দেয়ার জন্য সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে।
কিন্তু পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়নি। ওই সাত আসামি হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল- সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী- নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।
খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার সকালে জেলগেটে র্যাবের গাড়ি গেলেও তা ফিরে আসে। এর আগে বুধবার র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতার হওয়া আসামিকে ৩ (পুলিশের মামলার সাক্ষী) হেফাজতে নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ যুগান্তরকে জানান, রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিদের র্যাব হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। আগামী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে।
তবে সব আসামিকে একসঙ্গে হেফাজতে নাও নেয়া হতে পারে। পর্যায়ক্রমে সবার রিমান্ড কার্যকর করা হবে। তিনি জানান, সবার আগে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত এ মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসামি। তাই তাদের সবার শেষে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে।
৩১ আগস্ট রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সিনহা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করে।
৫ আগস্ট বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ মামলায় ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে র্যাব আরও তিনজনকে (পুলিশের করা মামলার সাক্ষী) গ্রেফতার করে। এরই মধ্যে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।