ভাঙা পড়ছে কমলাপুর রেলস্টেশন
নতুনটি নির্মিত হবে ১৩০ মিটার উত্তরে
যুগান্তর রিপোর্ট
২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নির্মাণাধীন ঢাকা মেট্রোরেল ও কমলাপুর স্টেশন ঘিরে নেয়া মাল্টিমোডাল হাব নির্মাণের কারণে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ভাঙা পড়বে। ইতোমধ্যে এ ঐতিহ্যবাহী স্টেশনটি স্থানান্তরের প্রস্তাব এসেছে। বর্তমান স্থানে স্টেশনটি থাকলে নির্মাণাধীন ঢাকা মেট্রোরেলের স্থাপনার আড়ালে পড়ে যাবে। জাপানের কাজিমা কর্পোরেশনের নকশা ধরে এ স্টেশনটি ভেঙে এরই আদলে ১৩০ মিটার উত্তরে নতুন করে স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এতে মেট্রোরেলের নকশারও কোনো পরিবর্তন করা লাগবে না। মঙ্গলবার রেল ভবনে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি সাপেক্ষে নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে কারিগরি বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজিমা কর্পোরেশনের নেতৃত্বে একটি সাবওয়ার্কিং গ্রুপ।
মেট্রোরেল ও এর সব স্টেশনই হবে উড়ালপথে, মাটি থেকে কমবেশি ১৩ মিটার ওপরে। এর ফলে শেষ স্টেশনটি বিদ্যমান কমলাপুর রেলস্টেশন ভবনের সামনের অংশ ঢেকে দেবে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। এর শেষ স্টেশনটি পড়েছে কমলাপুর স্টেশনের ঠিক সামনে। মেট্রোরেলের পথ (রুট) পরিবর্তিত হবে নাকি কমলাপুর স্টেশন সরানো হবে, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান জানান, মেট্রোরেল কমলাপুর স্টেশনের সৌন্দর্যহানি করবে। তাই রুট পরিবর্তন করার জন্য আমরা বলে আসছিলাম। কিন্তু মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) রুট পরিবর্তন করতে চাইছিল না। আবার ডিএমটিসিএলের বক্তব্য ছিল, রুট পরিবর্তন করলে দু’তিন কিলোমিটার পথ বেড়ে যাবে। এতে খরচও বাড়বে। এছাড়া মেট্রোরেল কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। এর পরিবর্তন করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে।
রেলওয়ে মহাপরিচালক বলেন, কমলাপুর স্টেশন ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব গড়ে তোলা হবে, যা শাহজাহানপুরসহ আশপাশের রেলের জায়গাজুড়ে বিস্তৃত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান কমলাপুর রেলস্টেশনের আদলেই নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। পাঁচ বছরের মধ্যেই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। বাস্তবায়ন শেষ হতে ১০ বছর লাগতে পারে।
জানা যায়, প্রথমে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করে তা কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ২০১৮ সালে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) কমলাপুর স্টেশন ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব করার প্রকল্প সরকার নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। এর অধীন কমলাপুর স্টেশনের চারপাশে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। থাকবে হোটেল, শপিংমল, পাতাল ও উড়ালপথ। বহুতল আবাসন ভবনও নির্মাণ করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভাঙা পড়ছে কমলাপুর রেলস্টেশন
নতুনটি নির্মিত হবে ১৩০ মিটার উত্তরে
নির্মাণাধীন ঢাকা মেট্রোরেল ও কমলাপুর স্টেশন ঘিরে নেয়া মাল্টিমোডাল হাব নির্মাণের কারণে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ভাঙা পড়বে। ইতোমধ্যে এ ঐতিহ্যবাহী স্টেশনটি স্থানান্তরের প্রস্তাব এসেছে। বর্তমান স্থানে স্টেশনটি থাকলে নির্মাণাধীন ঢাকা মেট্রোরেলের স্থাপনার আড়ালে পড়ে যাবে। জাপানের কাজিমা কর্পোরেশনের নকশা ধরে এ স্টেশনটি ভেঙে এরই আদলে ১৩০ মিটার উত্তরে নতুন করে স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এতে মেট্রোরেলের নকশারও কোনো পরিবর্তন করা লাগবে না। মঙ্গলবার রেল ভবনে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি সাপেক্ষে নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে কারিগরি বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজিমা কর্পোরেশনের নেতৃত্বে একটি সাবওয়ার্কিং গ্রুপ।
মেট্রোরেল ও এর সব স্টেশনই হবে উড়ালপথে, মাটি থেকে কমবেশি ১৩ মিটার ওপরে। এর ফলে শেষ স্টেশনটি বিদ্যমান কমলাপুর রেলস্টেশন ভবনের সামনের অংশ ঢেকে দেবে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। এর শেষ স্টেশনটি পড়েছে কমলাপুর স্টেশনের ঠিক সামনে। মেট্রোরেলের পথ (রুট) পরিবর্তিত হবে নাকি কমলাপুর স্টেশন সরানো হবে, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান জানান, মেট্রোরেল কমলাপুর স্টেশনের সৌন্দর্যহানি করবে। তাই রুট পরিবর্তন করার জন্য আমরা বলে আসছিলাম। কিন্তু মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) রুট পরিবর্তন করতে চাইছিল না। আবার ডিএমটিসিএলের বক্তব্য ছিল, রুট পরিবর্তন করলে দু’তিন কিলোমিটার পথ বেড়ে যাবে। এতে খরচও বাড়বে। এছাড়া মেট্রোরেল কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। এর পরিবর্তন করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে।
রেলওয়ে মহাপরিচালক বলেন, কমলাপুর স্টেশন ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব গড়ে তোলা হবে, যা শাহজাহানপুরসহ আশপাশের রেলের জায়গাজুড়ে বিস্তৃত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান কমলাপুর রেলস্টেশনের আদলেই নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। পাঁচ বছরের মধ্যেই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। বাস্তবায়ন শেষ হতে ১০ বছর লাগতে পারে।
জানা যায়, প্রথমে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করে তা কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ২০১৮ সালে সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) কমলাপুর স্টেশন ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব করার প্রকল্প সরকার নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। এর অধীন কমলাপুর স্টেশনের চারপাশে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। থাকবে হোটেল, শপিংমল, পাতাল ও উড়ালপথ। বহুতল আবাসন ভবনও নির্মাণ করা হবে।