কুষ্টিয়ায় আট পুলিশ সদস্য চাকরিচ্যুত
ডোপ টেস্ট পজিটিভ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত প্রমাণিত হওয়ায় কুষ্টিয়ার আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতদের মধ্যে দু’জন উপপরিদর্শক, দু’জন সহকারী উপপরিদর্শক ও বাকিরা কনস্টেবল। এছাড়া একজনের কাছে ইয়াবা ও গাঁজা পাওয়া গেছে। তার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
সোমবার কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়। মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চলছে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া থেকে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি পুলিশ থেকেও মাদকাসক্তদের বাড়িতে পাঠানো হবে। কোনো মাদক সেবনকারীর পুলিশ বিভাগে চাকরি করার অধিকার নেই।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, তানভীর আরাফাত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেয়ার পর মাদকের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন। তার নির্দেশে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের পাকড়াও করার পাশাপাশি পুলিশেও শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়। মাদকের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত থাকায় দুই বছরে শতাধিক পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়। যারা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতেন, অর্থ ও মাসোয়ারা নিতেন; তাদের বিরুদ্ধে বদলিসহ বিভাগীয় নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আইজিপির নির্দেশে জেলার পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেন পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত। সহেন্দভাজন ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তিনি প্রথম ২০১৯ সালের মে মাসে কয়েক পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানোর নির্দেশ দেন। এরপর গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১১ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। তাদের মধ্যে আটজনের পজিটিভ এসেছে। রিপোর্ট আসার পর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ডোপ টেস্ট পজিটিভ
কুষ্টিয়ায় আট পুলিশ সদস্য চাকরিচ্যুত
ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত প্রমাণিত হওয়ায় কুষ্টিয়ার আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিচ্যুতদের মধ্যে দু’জন উপপরিদর্শক, দু’জন সহকারী উপপরিদর্শক ও বাকিরা কনস্টেবল। এছাড়া একজনের কাছে ইয়াবা ও গাঁজা পাওয়া গেছে। তার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
সোমবার কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়। মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চলছে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া থেকে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি পুলিশ থেকেও মাদকাসক্তদের বাড়িতে পাঠানো হবে। কোনো মাদক সেবনকারীর পুলিশ বিভাগে চাকরি করার অধিকার নেই।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, তানভীর আরাফাত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেয়ার পর মাদকের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন। তার নির্দেশে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের পাকড়াও করার পাশাপাশি পুলিশেও শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়। মাদকের সঙ্গে নানাভাবে সম্পৃক্ত থাকায় দুই বছরে শতাধিক পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়। যারা ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতেন, অর্থ ও মাসোয়ারা নিতেন; তাদের বিরুদ্ধে বদলিসহ বিভাগীয় নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়।
আইজিপির নির্দেশে জেলার পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেন পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত। সহেন্দভাজন ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তিনি প্রথম ২০১৯ সালের মে মাসে কয়েক পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানোর নির্দেশ দেন। এরপর গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১১ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। তাদের মধ্যে আটজনের পজিটিভ এসেছে। রিপোর্ট আসার পর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।