দক্ষতার সংকট ও স্বচ্ছতার অভাব দেখছেন মেয়র
jugantor
চসিক রাজস্ব বিভাগ
দক্ষতার সংকট ও স্বচ্ছতার অভাব দেখছেন মেয়র

  চট্টগ্রাম ব্যুরো  

০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগে দক্ষতার সংকট ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মেয়র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজস্ব খাতে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়র রেজাউল বলেন, আমাদের নিজস্ব আয়ের উৎস হচ্ছে রাজস্ব খাত। চসিকের ব্যয়ের বিস্তার ও পরিধি বাড়লেও আনুপাতিক হারে রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়েনি। তাই এ খাতে গতিশীলতা ও পরিধি বৃদ্ধি প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও পেশাগত দায়বদ্ধতা। এটা থাকলে চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, চসিকের আটটি রাজস্ব সার্কেলে তেমন জনবল সংকট নেই। তবে পেশাগত দক্ষতার সংকট আছে। তাই ক্ষেত্রবিশেষে রাজস্ব আদায় অত্যন্ত নিম্ন। কিছু অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব আগেও ছিল এখনো তা কমেনি। এ ক্ষেত্রে নতুন করে যাতে কোনো অভিযোগ না আসে সেজন্য সচেষ্ট হতে হবে। অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

মেয়র আরও বলেন, অতীতে কোনো কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারী রাজস্বদাতার কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে অবৈধ ছাড় দিয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল এবং তা প্রমাণিতও হয়েছে। কিন্তু যারা অবৈধভাবে চসিকের রাজস্ব আদায়ের পরিধি সংকুচিত করেছে তারা প্রাপ্য শাস্তি পায়নি। এবার আমি তা হতে দেব না।

একটি তিনতলা বাড়ি যে হারে রাজস্ব দিত সেই বাড়িটি পাঁচতলা হলেও আগের হারে রাজস্ব দিচ্ছে এমন মন্তব্য করে মেয়র রেজাউল বলেন, এ বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারীর চোখে না পড়লে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা অবান্তর হতে পারে না। দায়িত্বপ্রাপ্তরা অ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে অযৌক্তিক কর নির্ধারণ করার ফলে যেসব করদাতা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের তালিকা তৈরি এবং সমাজের অসহায়, বিধবা ও অতি দরিদ্রদের কর দিতে চাপ না দেওয়া, প্রতিমাসে রাজস্ব আদায়ের মাসিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সার্কেল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মেয়র নগরীতে চসিকের যেসব জায়গা খালি পড়ে আছে তা চিহ্নিত করে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সচিব খালেদ মাহমুদের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্ততা করেন-প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. শহিদুল আলম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এম. আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী।

চসিক রাজস্ব বিভাগ

দক্ষতার সংকট ও স্বচ্ছতার অভাব দেখছেন মেয়র

 চট্টগ্রাম ব্যুরো 
০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগে দক্ষতার সংকট ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মঙ্গলবার আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মেয়র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজস্ব খাতে অনিয়মের কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়র রেজাউল বলেন, আমাদের নিজস্ব আয়ের উৎস হচ্ছে রাজস্ব খাত। চসিকের ব্যয়ের বিস্তার ও পরিধি বাড়লেও আনুপাতিক হারে রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়েনি। তাই এ খাতে গতিশীলতা ও পরিধি বৃদ্ধি প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও পেশাগত দায়বদ্ধতা। এটা থাকলে চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, চসিকের আটটি রাজস্ব সার্কেলে তেমন জনবল সংকট নেই। তবে পেশাগত দক্ষতার সংকট আছে। তাই ক্ষেত্রবিশেষে রাজস্ব আদায় অত্যন্ত নিম্ন। কিছু অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব আগেও ছিল এখনো তা কমেনি। এ ক্ষেত্রে নতুন করে যাতে কোনো অভিযোগ না আসে সেজন্য সচেষ্ট হতে হবে। অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।

মেয়র আরও বলেন, অতীতে কোনো কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারী রাজস্বদাতার কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে অবৈধ ছাড় দিয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল এবং তা প্রমাণিতও হয়েছে। কিন্তু যারা অবৈধভাবে চসিকের রাজস্ব আদায়ের পরিধি সংকুচিত করেছে তারা প্রাপ্য শাস্তি পায়নি। এবার আমি তা হতে দেব না।

একটি তিনতলা বাড়ি যে হারে রাজস্ব দিত সেই বাড়িটি পাঁচতলা হলেও আগের হারে রাজস্ব দিচ্ছে এমন মন্তব্য করে মেয়র রেজাউল বলেন, এ বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারীর চোখে না পড়লে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা অবান্তর হতে পারে না। দায়িত্বপ্রাপ্তরা অ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে অযৌক্তিক কর নির্ধারণ করার ফলে যেসব করদাতা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের তালিকা তৈরি এবং সমাজের অসহায়, বিধবা ও অতি দরিদ্রদের কর দিতে চাপ না দেওয়া, প্রতিমাসে রাজস্ব আদায়ের মাসিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সার্কেল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মেয়র নগরীতে চসিকের যেসব জায়গা খালি পড়ে আছে তা চিহ্নিত করে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেন।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সচিব খালেদ মাহমুদের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্ততা করেন-প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. শহিদুল আলম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এম. আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন